পাতা:পাহাড়ে মেয়ে - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ।


ষোলকলা পূর্ণ।

 “দ্বিতীয় দিবসে কিন্তু আর তত চিন্তা রহিল না, তৃতীয় দিবসে আরও কমিয়া গেল। এইরূপে দশপনের দিবসের মধ্যে সমস্ত চিন্তাই আমার মন হইতে দূরে পলায়ন করিল; তবে হঠাৎ কখন কখন পিতামাতার চিন্তা আমার মনে উদিত হইত বটে; কিন্তু তাহাও জলবিম্বের মত তখনই আবার অগাধ আমোদ-সাগরে মিশিয়া যাইত।

 “এইরূপে দেখিতে দেখিতে ক্রমে তিনমাস অতীত হইয়া গেল। বাটীর সমস্ত লোকের সহিত আমার ভালবাসা জন্মিল, তাহাদের মত আদব-কায়দা, ভাবভঙ্গি, চালচলন প্রভৃতি সমস্তই শিক্ষা করিলাম। ধূমপান করিতে শিখিলাম, ক্রমে সুরাদেবীর আরাধনা করিতেও পরাঙ্মুখ হইলাম না। তখন ক্রমে দেবী আমার মস্তকে পদার্পণ করিয়া আমাকে আশীর্ব্বাদ করিলেন, ও আমার উপর তাহার সম্পূর্ণ অধিকার বিস্তার করিয়া চিরদিনই আমার পূজা গ্রহণ করিতে আরম্ভ করিলেন।

 ‘‘—‘তাহার’ সহিত তাঁহার অন্যান্য দুই একটী বন্ধুও ক্রমে আমার ঘরে আসিয়া বসিতে আরম্ভ করিলেন। আমি ভদ্রলোকদিগকে আমার সাধ্যমত যত্ন করিতে কোনক্রমেই ক্রটি করিতাম না। সুতরাং আমার ঘরে যিনি একবার আসিতেন, তিনি আমার উপর কখন অসন্তুষ্ট হইতেন না। প্রথম প্রথম কিছুদিবস তাঁহার