পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা পুণ্ডরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকা একটি গৃহস্তবংশের ইতিবৃত্ত । সেই পরিবারস্থ ব্যক্তিগণ, তাহাদের আত্মীয় স্বজন বা ভাবী বংশধর ব্যতীত অন্তের চিত্তাকর্ষণের কোন বিষয় এই গ্রন্থে সম্ভবতঃ নাই । সাধারণের নিমিত্তও এই গ্রন্থ প্রকাশিত হয় নাই । সুতরাং ইহার প্রকাশক সাধারণের সমালোচনার সৰ্ব্বতোভাবে বহিভূত । যে সংশের বুন্তান্ত এই গ্রস্থে ৭ণিত হইয়াছে, সেই ৭ংশের স্থাপয়িতা সবিতা রায় রাজা মানসিংহের সময়ে পশ্চিম হুইতে আসিয়৷ এই দেশে বাস করেন । এই তিনশতমাত্র বৎসরের প্রাচীন তাও বাঙ্গাল দেশের জমিদারবংশমধ্যে বিরল। এই প্রাচীনতার জন্ত, উচ্চ ব্রাহ্মণ বংশে উৎপত্তির জন্ত, ও সদাচার ও লোকহিতৈষার জন্য এই বংশের স্তনীয় সমাজে প্রচুর প্রতিষ্ঠা আছে পুণ্ডরীক কুলোৎপন্ন জমিদারের তিনশত বৎসর কাল স্তানীয় সমাজের নেতৃস্বরূপে নানাহি তকর কায্য করিয়া জনসাধারণের সন্মানলাভ করিয়া মাসিতে(,धुन । હક્ર কারণে এই ইতিবৃত্ত রক্ষার যোগ্য বোধ হইতে পারে । শুনিতে পাওয়া যার অন্তান্ত দেশে অতি ক্ষুদ্র গ্রামের ও ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায় ; ক্ষুদ্র গৃহস্থ পরিবারও আপনার ইতিবৃত্ত সযত্নে রক্ষা করিয়া স্পদ্ধ। বোধ করে । বাঙ্গালাদেশে সে রীতি নাই। পুণ্ডরীক বংশ হইতে স্থালী স্থ সমাজ নানাবিধ উপকার পাইয়া আসিয়াছে ; কিন্তু স্থানীয় সমাজ সেই বংশের ইতিবৃত্ত্ব সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে অজ্ঞ ; এমন কি, এই বংশের প্রতিষ্ঠাতা সবিতা রায়ের নাম পর্যা স্তু তুষ্ট চারি জন লোক ভিন্ন জানে না ; সবিতা রায় ৪ গুঞ্জ নীলকণ্ঠ রায়ের মধ্যবর্তী কয়েক পুরুষের নাম কোন ব্যক্তিই বলিতে পাপে পী । এমন কি সবিতা রায়ের বর্তমান বংশধরগণও নীলকণ্ঠ রায়ের পূৰ্ব্বতন ক’লের বৃত্তান্ত ও তদানীন্তন স্বকীয় পূৰ্ব্বপুরুষগণের নাম পৰ্য্যন্তও সম্পূর্ণভাৰে ভুলিয়৷ গিয়াছেন । পুণ্ডরীকবংশের সম্পত্তি কি সূত্রে গৌতমগোত্রীয়গণের হস্তে যায়, তাহারও কেহ সদুত্তর দিতে পারে না। সৌভাগ্যক্রমে পুণ্ডরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকার একখানি তেরেটের পুথি অদ্ধচ্ছিন্ন অপস্থায় বর্তমান ছিল। সে বৎসর