পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" পুণ্ডরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকা এই যুদ্ধের পর মানসিংহ সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন। সম্রাটু তাহাকে সাত হাজারী মনসবদার পদে উন্নীত করিলেন। ইতিপূৰ্ব্বে বাদশাহের পুত্র পৌত্র ভিন্ন কোন হিন্দু বা মুসলমান এই উন্নত পদ প্রাপ্ত হন নাই। সম্ভবতঃ সবিতা স্নায় এই সময়েই মানসিংহের সহিত বাদশাহের সমীপে গমন করিয়া ফারমান লইয়া আসিয়াছিলেন । চারি বৎসর পরে ১৬১৪ খৃঃ অব্দে বাদসাহের মৃত্যুর কিছু পূৰ্ব্বে মানসিংহ বাঙ্গালার শাসনকর্তৃত্ব ত্যাগ করিয়া রাজধানীতে গমন করেন। সেখানে সেলিমের বিপক্ষে তাহার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়। পর বৎসরে সেলিম (জাহাগীর) সাম্রাজ্য লাভের পর মানসিংহকে পুনরায় বাঙ্গালীয় প্রেরণ করেন । এবার মানসিংহ আট মাস মাত্র বাঙ্গালায় অবস্থিতি করিয়াছিলেন। এই সময়েই তাহার বদ্ধমানে ভবানন্দ মজুমদারের সহিত সাক্ষাৎ ও বল্লভপুরে ভবানন্দভবনে অন্নদামঙ্গলবর্ণিত আতিথ্য গ্রহণ ঘটে। ফিরিবার সময় মানসিংহ রাজা প্রতাপাদিত্যকে পরাস্ত ও বন্দী করিয়া লইয়া যান। ভবানন্দ মজুমদার জাহাগীর বাদশাহের নিকট হইতে মানসিংহের অনুগ্রহে যে সনন্দ পান, তাহার তারিখ হিজিরা ১০১৫, খৃঃ ১৬০৬ [ ক্ষিতীশংশাবলীচরিত, ৭৮ ৮০ ও ২২০ ] । নবদ্বীপ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা এই সময় হইতেই ধরা যাইতে পারে } বীরভুম প্রদেশে নগর বা রাজনগরে পাঠান রাজ্যের প্রতিষ্ঠাও এই সময়ে ঘটিয়াছিল । দুশ্চরিত্র। রাণীর সহায়তায় তাৎকালিক হিন্দু রাজাকে হত্য করিয়া জোনেদ খা পাঠান নগর রাজ্যের কর্তৃত্ব গ্রহণ করেন। তাহার মৃত্যুর পর ১৬• • খৃঃ অব্দে তাহায় পুত্র নগরের প্রথম পাঠান ভূপতি হইয়াছিলেন। [Hunter's Annals of Rural Bengal, vol. I.) (4) কোচাড়, কোচবিহার, খরগপুর কোচাড় শব্দে কোন প্রদেশ বুঝাইতেছে ঠিক বুঝা গেল না। কোচবিহার—১৫৯৫ খৃঃ অব্দে কোচবিহারাধিপতি রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ মহারাজা মানসিংহের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ও র্তাহাকে ভগিনী সম্প্রদান করিয়া