পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট 6:S মুসলমান আয়মাদার, মজকুরিদারের সংখ্যা অদ্যাপি বিস্তর । ভরতপুর থানার মধ্যে সালার তালিবপুর ও সীজগ্রাম প্রভৃতি স্থানে ধনাঢ্য মুসলমান জমি দারের বাস । ফতেসিংহে একখানি গ্রামের নাম সৈয়দ কুলট । হাড়ি রাজার স্মৃতি এই প্রদেশে এখনও বৰ্ত্তমান আছে। কিংবদন্তী মতে হাড়ি রাজার নাম ফতেসিংহ । তাহার রাজধানী ফতেপুর গ্রাম ; কান্দি হইতে তিন ক্রোশ দক্ষিণে গনুটিয়া যাইবার পথে, ময়ূরাক্ষী নদীর অদূরে । ফতেপুরের পাশ্ববৰ্ত্তী মুণ্ডমালা নামক স্থানে হাড়িবংশের ধবংস হয় এইরূপ জনপ্রসিদ্ধি । হাড়ি রাজার ধ্বংসের পর সবিতা রায় ফতেসিংহ লাভ করেন । ফতেসিংহ ব্যতীত পলাশী পরগণা সবিতার বংশধরগণের অধিকারে বহুদিন পর্য্যন্ত ছিল । জনশ্রুতি আছে যে এই পরগণার এলাকায় একটা হাঙ্গামা ঘটে । রাজদণ্ডের ভয়ে ফতেসিংহের জমিদার ঐ পরগণার স্বামিত্ব অস্বীকার করেন, এবং নদীয়ার রাজার কৰ্ম্মচারী নিজ প্রভুর স্বামিত্ব উল্লেখ করায় পলাশী পরগণা নদীয় রাজ্যভুক্ত হইয়া যায়। সম্ভবতঃ কপিলেশ্বর শিবের মন্দিরসহ শক্তিপুরাদি গ্রামও ঐ সময়ে নদীয়ার অধিকারভুক্ত হয়। পলাশী পরগণা সম্বন্ধে ঐরূপ একটা কিংবদন্তীর উল্লেথ ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতেও দেখা যায়। (3) কপিলেশ্বর জেমোকান্দি হইতে অগ্নিকোণে প্রায় ছয় ক্রোশ ব্যবধানে ভাগীরথীর পশ্চিমতীরে শক্তিপুর গ্রাম। শক্তিপুরের সন্নিহিত গ্রাম গৌরীপুর, মহত৷ প্রভৃতি । গঙ্গার অপর পারে বেলডাঙ্গা, দাদপুর, রমণ প্রভৃতি গ্রাম। শক্তিপুরের পূর্বে ভাগীরথী ও পশ্চিমে দ্বারকা নদী। দ্বারকা এখানে দক্ষিণবাহিনী ; দ্বারকার এই অংশকে বাবলা বলে। দ্বারক হইতে গঙ্গা পৰ্য্যন্ত একটা নালা আছে, ঐ নালাকে ডাকরা বলে। ডাকরা বর্ষাকালে জলপুর্ণ হয়। ঐ নালার দক্ষিণে শক্তিপুর গ্রাম ও উত্তরে ৮কপিলেশ্বরের মন্দির।