পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ○○ ভক্তিহীন শ্ৰীজগন্মোহন মহাতা । সন ১২৪১ সাল । জনশ্রতি আছে পূৰ্ব্বে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত মন্দির ছিল, উহা গঙ্গাগৰ্ভস্থ হইয়াছে। সেই মন্দিরের ভগ্নাবশেষ প্রস্তরখণ্ড স্তানে স্থানে বিক্ষিপ্ত আছে। মন্দিরের পশ্চিমে কিছু দূরে ইষ্টকনিৰ্ম্মিত সোপানাবলি আছে ; কিন্তু সে সোপানে কোথায় নামিতে হইত বলা যায় না । বর্তমান মন্দিরের পশ্চাতে উত্তরে একটি কাঠাল গাছ ও দক্ষিণপশ্চিম দিকে সাতটি আমগাছ ও চারিটি বেলগাছ আছে । আরও দক্ষিণপশ্চিমে আনদাজ চারি রশি দূরে একটি আমবাগান আছে ; ঐ আমবাগানও দেবসম্পত্তি । মন্দিরের নিকটে দক্ষিণপূৰ্ব্বে ৮চন্দ্রশেখর শিবের মন্দির । এই মন্দির প্রায় ১০ হাত দীর্ঘ ১০ হাত প্রস্ত ও ২ • হাত উচ্চ । বাঘডাঙ্গার রাণী শ্ৰীযুক্ত মুক্তকেশী দেবীর পিতামহ ৮শম্ভুনাথ বাবু এই মন্দির নিৰ্ম্মাণ করিয়া শিবস্থাপন করেন । পুরাতন মুক্তি ভগ্ন হইলে রাণী মহাশয়৷ নুতন লিঙ্গের স্থাপনা করিয়াছেন । ৮চন্দ্রশেখরের সেবার্থ ফতেসিংহমধ্যে নিষ্কর ভূমি নির্দিষ্ট আছে । দক্ষিণে একখানা ভগ্ন ইষ্টকগৃহে মৃন্ময়ী মূৰ্ত্তির নিৰ্ম্মাণ দ্বারা বৎসর বৎসর শিবোত্তর সম্পত্তির ব্যয়ে স্যামাপূজা হইয়া থাকে। শিবোত্তর সম্পত্তি শিবপুর হইতেই দেবসেবা নিৰ্ব্বাহিত হয়। তদ্ভিন্ন ফতেসিংহের ( জেমো ও বাঘাডাঙ্গার ) প্রদত্ত পৃথক নিষ্কর ভূমি হইতেও দেবসেবার সাহায্য হয়। বর্তমান সেবাইত কৃষ্ণনগরাধিপ। দশকগণের প্রণামী হইতেও সামান্ত অtয় আছে। শিবচতুর্দশীর দিন শিবের অভিষেক ও সমারোহের সহিত পূজা হয়। প্রথমে কৃষ্ণনগরের মহারাজের, পরে জেমো বাঘডাঙ্গার, ও তৎপরে শক্তিপুরের জমীদারের পূজা হয়। ঐ দিন প্রায় দশ হাজার লোকের সমাগম হইয়া থাকে। আগন্তুকগণের মধ্যে অনেক সন্ন্যাসী থাকেন। ঐ দিন হইতে একমাসব্যাপী একটি মেলা বসে। মেলার অবস্থা পূৰ্ব্বের অপেক্ষ মন্দ। কপিলেশ্বরের বাগানে ও শক্তিপুরের অধিকারের মধ্যে মেলার স্থান। জমীদারের ও পুলিশের পক্ষ হইতে মেলtশ্ন তত্ত্বাবধান হয় ।