পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট (ta, ইতিমধ্যে সুলতান আজিম উস শান অযোধ্যা, কাশী ও বিহারের জমিদারগণের সাহায্যসহ বহু সৈনিক লইয়া বাঙ্গলায় প্রবেশ করিলেন । র্তাহার আগমনে জবরদস্ত খ ও র্তাহার পদচ্যুত পিতা ইব্রাহিম যুদ্ধে নিরস্ত হইলেন । আজিমউসশানের বদ্ধমানে অবস্থিতিকালে রহিম পুনরায় নদীয়া ও হুগলি প্রদেশ লুঠ করিতে লাগিল । আজিম উল্লাস শানের সহিত যুদ্ধে রহিম খাঁ নিহত হইলে বিদ্রোহ প্রশান্ত হয় (১৬৯৮) । এই সময়ে ইংরাজের! আজিম উল্লাস শানের অনুমতিক্রমে কলিকাতা, সুতানুটি ও গোবিন্দপুরের জমিদারী লাভ করেন । (> 0) পুণ্ডরীক বংশের ইতিহাস । পুণ্ডরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকায় সবিতা রায় হইতে উদয়চন্দ্র পর্য্যন্ত পুণ্ডরীক বংশের ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে। বাঘডাঙ্গ রাজবাটীর পুরোহিত ৮ হরিশ্চন্দ্র দুবের পুথি মধ্যে টিপ্পনীতে লেখা আছে, সবিতার পিতার নাম বসন্ত। ঐ টিপ্পনীতে সবিতার দুই ভ্রাতার নামেরও উল্লেখ আছে, কমলা ও অজৈ । এই দুই নাম কতদূর প্রামাণিক বলা যায় না । সবিতা চুই পুত্র ও চারি পৌত্রের সহিত রাজা মানসিংহের সহিত বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন। রাজা মানসিংহের বঙ্গাগমনের কাল খৃঃ ১৫৯০ ৷ বঙ্গে প্রবেশের পূৰ্ব্বে মানসিংহ খরগপুরের জমিদার রাজা সংগ্রাম সিংহ সহায়কে দমন করেন । তৎপরে বঙ্গদেশে আসিয়া কয়েক বৎসর ধরিয়া উড়িষ্যাবাসী পাঠানগণের দমনে ব্যাপৃত ছিলেন। এই সময়ে কোচবিহাররাজ লক্ষ্মীনারায়ণ দিল্লীর বহুত স্বীকার করেন। সবিতা রায় খরগপুরে ও কোচবিহারে ও “কুচোড়া” মহলে বীরত্ব প্রদর্শন করিয়া মানসিংহের সন্তোষ উৎপাদন করেন । ১৬০০ খৃঃ অব্দে ফতেসিংহের উত্তরবর্তী শেরপুর আতাইয়ের যুদ্ধে পাঠানের পরাজিত হয় । সম্ভবতঃ এই সময়ে রাজ্যধরপুর ও ফতেপুরের হাড়ি রাজাকে পরাজিত করিয়া সবিতা রায় মানসিংহের প্রসাদে ফতেসিংহের জমিদারি লাভ করেন। এই যুদ্ধের পর রাজা মানসিংহ সম্রাটের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সাত হাজারী মনসবদারের শ্লাঘনীয় পদ লাভ করেন । সবিতা রায়ও সম্ভবতঃ সেই সময়ে ফত্তেসিংহের সনন্দ লইয়া আসিয়ছিলেন । Եw