পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট * や> তায়দাদ মধ্যে আস্তোষের নাম পুনঃ পুনঃ উল্লিখিত দেখা যায়। সস্তোষের নাম ও স্থতি ফতেসিংহ মধ্যে অদ্যাপি বিলুপ্ত হয় নাই । - সন্তোষের তিৰ পত্নী ছিল । জ্যেষ্ঠ পত্নীর স্বামিসমক্ষে মৃত্যু হয়। সস্তোষের ছয় পুত্র ; রঘুনাথ, বনমালী, গোপাল, মনোহর, রাজারাম, ভবানন্দ। ইহাদেৱ প্রত্যেকের নামানুসারে গ্রাম বিদ্যমান আছে । ইহারা সকলেই খৃষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বৰ্ত্তমান ছিলেন। সন্তোষের জ্যেষ্ঠ পুত্র রঘুনাথ রায় দিল্লী হইতে সম্পত্তির ফরমাণ আনিয়া পিতার আনন্দবৰ্দ্ধন করেন । পুওরীককুলকাৰ্ত্তিপঞ্জিকার এই উক্তি দেখিয়া মনে হয়, সবিতার বংশয়ের সকলেই এই সময়ে সম্পত্তিস্থত হইয়াছিলেন । জয়রামবংশীয় জগৎ রায় প্রভৃতির রাজদ্রোহে যোগ দেওয়াই এই অধিকারচুতির কারণ। সম্পত্তি এইরূপে বাজেয়াপ্ত হইলে রঘুনাথ রায় দিল্লী গিয়া উহার পুনরুদ্ধার করিয়া আনেন । রঘুনাথ রায় পঞ্চকুটের রাজাকে আক্রমণ ও পরাজয় করিয়া তাহার নিকট হইতে এক খণ্ড হীরক উপঢৌকন স্বরূপ আনেন। পঞ্চকুট বা পাচেট বাকুড়ার অন্তর্গত । পঞ্চকুটের সহিত ফতেসিংহের বিবাদের অন্ত কোন জনশ্রুতি বৰ্ত্তমান নাই । সন্তোষের ছয় পুত্র ; ইহাদের মধ্যে পাচ জনকে পঞ্জিকাকার “পাচবাবু” বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । কোন পাচ জন তাহা লিখেন নাই। পাচ বাবুর খ্যাতি ফতেসিংহে বিখ্যাত। সবিতা ও তাহার পুত্রপৌত্রাদির নাম পৰ্য্যন্ত লুপ্ত হইয়াছে ; কিন্তু ফতেসিংহের জমাদার পচিবাবুর খ্যাতি সকলেই জানে । সবিতার বংশধরেরা সকলেই পাচবাবুর গোষ্ঠী বলিয়া পরিচিত । রঘুনাথের পুত্র লক্ষ্মীনারায়ণ ও রামেশ্বর ; বনমালীর পুত্র বিশ্বেশ্বর ও ইন্দ্রমণি ; গোপালের পুত্র জীত রায় ; মনোহরের পুত্র রত্নেশ্বর। এই রত্নেশ্বরের সহিত পুওরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকার বিবরণ শেষ হইয়াছে। পুওরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকা খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে লিখিত বলিয়া বোধ হয়। তখনও সন্তোষ ও তাহার পুত্রের জীবিত ছিলেন । সন্তোষের পৌত্রদের মধ্যে লক্ষ্মীনারায়ণ হইতে রত্নেশ্বর পর্য্যন্ত তখন বয়স্ক হইয়াছেন। সন্তোষের পিতা ভীম রায় সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমাদ্ধে বর্তমান ছিলেন, সত্তোষ অষ্টাদশ