পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট Hථි পত্নী, মাতা ও পিতামহী রাখিয়া পরলোকে যান। তাহার সময়ে সবিতারায়ের বিশাল বংশতরু প্রায় উচ্ছিন্ন হইয়াছে। ধারিকের বংশধর উদয়চন্দ্রের পুত্র কিষণরাম, কিষণ রামের পুত্র বৈদ্যনাথ ; এই বৈদ্যনাথ আনন্দচন্দ্রের মৃত্যুর সময় বর্তমান ছিলেন। বৈদ্যনাথের এক ভ্রাতা দীননাথের নাম ফয়শালায় পাওয়া যায়। র্তাহার বিধবা পত্নী আনন্দচন্দ্রের মৃত্যুর সময় বৰ্ত্তমান ছিলেন । উদয়চন্দ্রের দুই ভাই ছিল, এবং সেই ভাইয়ের বংশীয়েরাও মাধুনিয়ায় বাস করিতেন। জয়রামের বংশে জগৎ, কালু প্রভৃতির তখন মৃত্যু হইয়াছে। র্তাহাদের বংশীয় নয়নমুখ রায় ও নারায়ণ রায়ের তখন অল্প বয়স। নয়নমুখের ও নারায়ণের পিতা সম্ভবতঃ জগৎ রায়। মহাদেবের বংশীয়েরা কল্যাণপুরে বাস করিতেছিলেন । উত্তর রায়ের বংশে তখন কেহই ছিল না। সন্তোষ রায়ের ছয় পুত্রের মধ্যে এক বনমালী রায়ের দৌহিত্রের উল্লেখ পরবত্তী কালে পাওয়া যায়। এই দৌহিত্রের নাম মঙ্গল পাড়ে । যাহাই হউক আনন্দচন্দ্রের মৃত্যুর সময় ধারিকের বংশধর বৈদ্যনাথ ব্যতীত সবিতার বংশে আর কোন সমর্থ পুরুষ সম্ভবতঃ বর্তমান ছিল না। গৌতমগোত্রীয় পরশুরাম চৌধুরীর পুত্র স্বৰ্য্যমণি চৌধুরী বৈদ্যনাথের ভগিনী রাজেশ্বরীকে বিবাহ করিয়াছিলেন । হনি আনন্দচন্দ্রের মুন্সী ও প্রধান কৰ্ম্মচারী ছিলেন । আনন্দচন্দ্রের মৃত্যুর পর এক বৎসর কাল তিনি আনন্দচন্দ্রের বিধবা পত্নীর পক্ষ হইতে সম্পত্তি রক্ষা করিয়া রাজস্বাদি প্রদান করিতেন। ১১২৬ সালে ই হার মতি বিপর্য্যয় ঘটিল। সেই বৎসর তিনি নবাব দরবারে তদ্ধির করিয়া স্বয়ং সম্পত্তি অধিকার করিয়া বসিলেন । এই ঘটনা হইতে ফতেসিংহের ইতিহাসে নুতন পরিচ্ছেদের আরম্ভ । স্বৰ্য্যমণি বাঘডাঙ্গ বংশের স্থাপনকর্তা । স্বৰ্য্যমণি চৌধুরী সম্পত্তি অধিকার করিয়া সমুদয় অস্থাবর সম্পত্তি ও দলীলাদি হস্তগত করিলেন। সবিতা রায়ের বংশীয় বৈদ্যনাথ তাহার ভগিনীপতির এই কার্য্যে আপত্তি করেন নাই ; সম্ভবতঃ তাহার আপত্তি করিবার শক্তিও ছিল না । এ সময়েও বাঙ্গালার নবাব মুর্শিদকুলি খা । কয়েক বৎসর পরে স্বৰ্য্যমণির জমিদারী মধ্যে অন্ত কোন জমীদারের প্রেরিত রাজস্ব দস্থ কর্তৃক লুষ্ঠিত হয়। স্বৰ্য্যমণি চৌধুরী দস্থ্যদিগকে ধরিয়া