পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W28 পুণ্ডরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিক। দিতে পারেন নাই । নবাব সেই জন্ত র্তাহাকে কারাগারে নিক্ষেপ করিলেন । কারাগারেই তাহার মৃত্যু হয় । পলাশী পরগণা ফতেসিংহ হইতে খারিজ হওয়া সম্বন্ধে ষে জনশ্রুতি আছে, সম্ভবতঃ তাহার মূল এই। পলাশী পরগণা অতঃপর নদীয় রাজ্য ভুক্ত হয় । - স্বৰ্য্যমণি চৌধুরীর মৃত্যু কালে তাহার শিশু পুত্র হরিপ্রসাদ বর্তমান । হরিপ্রসাদ বৈদ্যনাথের ভাগিনেয় । স্থৰ্য্যমণি বৈদ্যনাথের হস্তে হরিপ্রসাদকে সমর্পণ করিয়া যান। মৃত্যুকালে তিনি বৈদ্যনাথকে বলেন, হরিপ্রসাদ তোমার ভাগিনেয়, এবং সেইজন্য সবিতা রায়েরও বংশধর । হরিপ্রসাদকে তোমার হস্তে অর্পণ করিলাম ; হরিপ্রসাদের ষেন অন্ন কষ্ট না হয় । বৈদ্যনাথের তখনও পুত্র হয় নাই । তিনি হরিপ্রসাদের প্রতিপালক স্বরূপে স্বৰ্য্যমণির শ্রাদ্ধাদি সম্পাদন করিলেন ; পরে যত্ন করিয়া হরি প্রসাদের নামে সম্পত্তি ফিরাইয়া আনিয়া স্বয়ং তত্ত্বাবধান করিতে লাগিলেন । ১১৫১ সাল পর্য্যস্ত হরিপ্রসাদ জীবিত ছিলেন । স্থৰ্য্যমণির মৃত্যুর পর হইতে ১১৫১ সাল পর্য্যন্ত বৈদ্যনাথ ও র্তাহার পক্ষে সম্পত্তির রক্ষণ ও তত্ত্বাবধান করিয়াছিলেন। স্বৰ্য্যমণির মৃত্যুকালীন অনুরোধ তিনি হরিপ্রসাদের জীবৎকালে বিস্তৃত হয়েন নাই। % ১১৩৮ সালে বনমালী রায়ের দৌহিত্র মঙ্গল পাড়ে ( বিকল পাড়ে ? ) কয়েক মাসের জন্ত ফতেসিংহ হস্তগত করিয়াছিলেন । বৈদ্যনাথের চেষ্টায় সম্পত্তি পুনরায় হরিপ্রসাদের হয়। ১১৪৮ সালে বিখ্যাত বগীর হাঙ্গামা আরম্ভ। এই সময়ে বাঙ্গালার নবাব আলিবর্দি খাঁ মহাবৎ জঙ্গ। রঘুজী ভোসলে কর্তৃক প্রেরিত হইয়া ভাস্কর পণ্ডিত বাঙ্গালায় প্রবেশ করিলেন । পশ্চিম বঙ্গ ভাগীরথীতীর পর্য্যন্ত অরাজক হইল । ১৯৪৯ সালের বর্ষায় পূৰ্ব্বেই মরাঠারা ভাগীরথীর ওপারে পলাশী ও দাদপুর পর্য্যন্ত আক্রমণ করিল । ফতেসিংহের অধিবাসীরা ঘরবাড়ী ছাড়িয়া পলাইল । বর্ষার পর আলিবর্দি ভাস্করকে বাঙ্গালা দেশ হইতে তাড়াইয়া দিলেন । কিন্তু বৎসর শেষ না হইতেই রঘুজ স্বয়ং বীরভূমের পথে এবং পুন হইতে বালাজী পেশোয় বেহারের পথে বাঙ্গাল আক্রমণ করিলেন । বালাজী নবাবের অর্থে