পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট પછGr বশীভূত হইয় রঘুজীকে বাঙ্গালা ত্যাগে বাধ্য করিলেন। পর বৎসর ভাস্কর পণ্ডিত আবার আসিলেন । এবার নিরুপায় আলিবর্দি তাহাকে কাটোয়ার নিকটে নিমন্ত্ৰণ করিয়া আপন শিবিরমধ্যে হত্যা করিলেন। আলিবর্দির প্রিয় পাঠান সেনাপতি মুস্তাফা খাঁ এই হত্যাকাণ্ডে উপস্থিত ছিলেন । বগীর যুদ্ধে ও অন্যান্ত কার্য্যে সাহায্য জন্ত এই মুস্তাফা খা নবাবের অত্যন্ত প্রীতিভাজন হইয়াছিলেন। র্তাহার ক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতেছিল। মুস্তাফা খার সাহায্যে ফতেসিংহের নয়নমুখ রায় ও নারায়ণ রায় কিছু দিনের জন্ত ফতেসিংহ পরগণা হস্তগত করিতে সমর্থ হইলেন। ই হারা জগৎ রায়ের বংশধর ; আনন্দচ্চন্দ্রের জীবৎকালে ই হার নাবালক অবস্থায় ছিলেন । কিন্তু ইহাদের সৌভাগ্য অধিক দিন থাকিল না । মুস্তাফা র্গার ক্ষমতা বৃদ্ধির সহিত আবদারও বাড়িতে লাগিল । শেষে নবাব তাহাকে অত্যন্ত সন্দেহ করিতে লাগিলেন । ১১৫১ সালে মুস্তাফা প্রকাশু ভাবে বিদ্রোহী হইয়। রাজমহল লুঠ করিলেন ও পরে বেহারে গিয়া যুদ্ধে নিহত হইলেন। নয়নমুখও সম্পত্তির বন্দোবস্ত করিতে না পারিয়া রাজস্ব বাকী ফেলিতে লাগিলেন । তিনি রাজবিদ্রোহী জগৎ রায়ের বংশধর, একথাও রাষ্ট্র হইয়া পড়িল । তখন বৈদ্যনাথের যত্নে হরিপ্রসাদ রায় তাহার হস্ত হইতে সম্পত্তি পুনরধিকার করিলেন। কিন্তু হরিপ্রসাদ আর সম্পত্তি ভোগে অবসর পাইলেন না । কয়েকদিন মধ্যেই তিনি বসন্ত রোগে আক্রান্ত হইয়। প্রাণত্যাগ করিলেন । মুস্তাফা খার আহবানে বগীরা আবার আসিয়াছিল । হরিপ্রসাদের মাত। ও পত্নী পাৰ্ব্বতী এই সময়ে বগীর ভয়ে পলাইয়া গঙ্গার ও পারে বাস করিতে ছিলেন । মৃত্যুকালে হরিপ্রসাদের বয়স ২২।২৩ বৎসর, পাৰ্ব্বতীর বয়স ১৬১৭ মাত্র ছিল । e. বৈদ্যনাথের পুত্র নীলকণ্ঠের ইহার পূৰ্ব্বেই জন্ম হইয়াছিল। পুত্রের জন্মের পরও তিনি ভাগিনেয়কে পরিত্যাগ করেন নাই। হরিপ্রসাদের মৃত্যুর পর নবাবের মুৎসুদী রায়রায়। চায়েন রায়ের সহায়তায় তিনি পুত্র নীলকণ্ঠকে সম্পত্তির অধিকারী করিলেন । ১১২৬ হইতে ১১৫১ সাল পর্য্যন্ত ফতেসিংহ পুওরাকবংশধরগণের হস্ত হইতে ভ্ৰষ্ট হইয়া গৌতমগোত্ৰীয়ের হস্তে ॐ