পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট )۹ را ১১৭৪ সালের আষাঢ় মাসে রাণী পাৰ্ব্বতী বাঘডাঙ্গায় আসিলেন। সঙ্গে র্তাহার দত্তক পুত্র ও র্তাহার ভ্রাতা ত্ৰিলোচন রায়ের ঔরস পুত্র কালীশঙ্কর উপস্থিত ছিলেন। কৰ্ম্মচারিগণ উভয়কে নজরাদি দিয়া সাদরে অভ্যর্থনা করিল। সেই বৎসর ফাল্গুন মাসে কালাশঙ্করের ‘সমারোহ সহকারে যজ্ঞোপবীত হইল । জ্ঞাতিগোষ্ঠীভুক্ত বিশ্বনাথ চৌধুরী নান্দীশ্ৰাদ্ধাদি সম্পন্ন করিলেন। ১১৭৯ সালে মণ্ডলপুরের রামসুন্দর রায়ের ভগিনী রাজমণি দেবীর সহিত কালীশঙ্করের বিবাহ হইল । ১১৭৫ সালে নীলকণ্ঠ কারামুক্ত হইয়া কলিকাতায় উকীল পাঠাইলেন । সেখানে লর্ড ক্লাইবের নিকট অভিযোগ করিয়া মুর্শিদাবাদের কৰ্ম্মচারীর নামে এক পরোয়াণা আনিলেন। মুর্শিদাবাদের কৰ্ম্মচারী কোন বিচার করিলেন না। তৎপরে নীলকণ্ঠ মুর্শিদাবাদে পুনরায় অভিযোগ উপস্থিত করেন। এই অভিযোগের ফলে ফতেসিংহের জমিদারী দুই সমান অংশে বিভক্ত হইয়। রাজা নীলকণ্ঠ ও রাণী পাৰ্ব্বতীকে অপিত হয়। প্রথিতনামা কান্দির দেওয়ান গঙ্গাগোবিন্দ সিংহ ও কাশীমবাজারের কাস্তবাবু এই উপলক্ষে ফতেসিংহের কিয়দংশ উভয় পক্ষের নিকট মধ্যস্থতার বেতন স্বরূপ গ্রহণ করেন । গঙ্গাগোবিন্দ সিংহের অংশ রাধাবল্লভপুর ও কান্ত বাবুর অংশ কীন্তনগর আখ্যা পাইয়া পৃথক্ পরগণা বলিয়া গণ্য হইল । ১১৭৬ সালে বাঙ্গালার বিখ্যাত মন্বন্তর । এই সময় হইতে ফতেসিংহ জমীদারী দুই খণ্ডে বিভক্ত হইয়া জেমো ও বাঘডাঙ্গা দুই খণ্ডের স্বষ্টি করিল। জেমো বাঘডাঙ্গার জমাদারী বিভাগ এইরূপে সম্পন্ন হইল বটে, কিন্তু জেমো বাঘডাঙ্গার বিবাদ মিটিতে আরও বহু বৎসর লাগিয়াছিল। - এই ঘটনার পর নয়নমুখ রায় সম্পত্তি পাইবার জন্ত আর একবার চেষ্ট৷ করিয়া ওয়ারেন হেষ্টিংসের নিকট অভিযোগ উপস্থিত করেন । হেষ্টিংস চেৎ সিংহের দমনে বারাণসী যাত্রা করায় সেবারও কোন ফল হইল না । রাজা নীলকণ্ঠ রায় ১১৫১ হইতে ১১৭২ পর্য্যন্ত নিৰ্ব্বিবাদে সম্পত্তি অধিকার করেন । ১১৭২ হইতে ১১৭৫ পর্য্যন্ত রাণী পাৰ্ব্বতীর অধিকার। নীলকণ্ঠ রায় তখন কারাবদ্ধ । ১১৭৬ সালের পর ফতেসিংহ পরগণ। দ্বিখণ্ডিত হইয়। অৰ্দ্ধেক অংশ নীলকণ্ঠের ও অৰ্দ্ধেক রাণী পাৰ্ব্বতীর অধিকারভুক্ত হয়। রাজা