পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুণ্ডরীককুলকট্রিপঞ্জিকা ساوی নীলকণ্ঠ জেমোর বাটতে ও রাণী পাৰ্ব্বতী বাঘডাঙ্গার বাটীতে বাস করিতেন । তদবধি জেমো ও বাঘডাঙ্গা পৃথক্ হইয়া রহিয়াছে। পরবর্তী তিন পুরুষ ধরিয়৷ জেমোর বাট ও বাঘডাঙ্গার বাটীর পরস্পর রেষারেষি ও বিবাদ চলিয়াছিল । ইহার ফলে দাঙ্গাহাঙ্গামা নিয়ত ঘটনার মধ্যে ছিল। রাজা নীলকণ্ঠ ও রাণী পাৰ্ব্বতীর নাম ফতেসিংহের লোকে অদ্যাপি বিস্মৃত হয় নাই। উভয়েই মুক্ত হস্তে ব্রাহ্মণগণকে ব্রহ্মোত্তর দান করিয়াছিলেন । রাজা নীলকণ্ঠ জেমোর বাটতে জগদ্ধাত্রী অন্নপূর্ণ ও গণেশাদি পঞ্চ দেবতার ধাতুময়ী মুৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করেন ; রাণী পাৰ্ব্বতী বাঘডাঙ্গার বাটতে সিংহবাহিনীর ধাতুমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠা করিয়া যান। ঐ সকল বিগ্রহের যথাবিধানে সেবা চলিয়া আসিতেছে। রাজা নীলকণ্ঠ আপন আত্মীয় স্বজনগণের নামে নানা স্থানে অনেকগুলি শিবালয় প্রতিষ্ঠা করিয়া তাহার সেবার জন্ত ভূমি দান করিয়া যান । ঐ সকল শিবালয়ের অধিকাংশ অদ্যাপি বর্তমান । দেবতাত্রাহ্মণের সেবায় যশোলাভ করিয়া রাজা নীলকণ্ঠ ১১৯৭ সালের ১লt চৈত্র তারিখে পরলোক গমন করেন। র্তাহার পুত্র শিতিকণ্ঠ রায় পত্নী তার দেবীকে রাথিয়া তৎপূৰ্ব্বেই লোকান্তরিত হইয়াছিলেন । মৃত্যুর পূৰ্ব্বে নীলকণ্ঠ লক্ষ্মীনারায়ণ ও রুদ্রনারায়ণ নামক দুইটি দত্তক পুত্র গ্রহণ করিয়াছিলেন। লক্ষ্মীনারায়ণের বয়স তখন তের বৎসর ও রুদ্র নারায়ণের বয়স দশ বৎসর মাত্র । মৃত্যুকালে তিনি সীতারাম ত্রিবেদী ও গদাধর ত্রিবেদী নামক দুইজন আত্মীয়কে পুত্ৰগণের ও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত করিয়া যান। এই সীতারাম ত্রিবেদী ও গদাধর ত্ৰিবেদী তৎকালে বিশেষ প্রতিপত্তিশালী লোক ছিলেন । গর্গগোত্রোদ্ভব সীতারাম ত্ৰিবেদীর পিতার নাম রূপচন্দ্র ত্ৰিবেদী। সীতারাম ত্রিবেদী প্রথমে রাজ নীলকণ্ঠের এক কন্যাকে বিবাহ করিয়াছিলেন। সেই কস্তার মৃত্যু হইলে তিনি গদাধর ত্রিবেদীর ভগিনীকে বিবাহ করেন। সীতারাম বাবু অত্যন্ত বুদ্ধিমান ও ক্ষমতাবান বলিয়া খ্যাত ছিলেন। আপন ক্ষমতায় তিনি যথেষ্ট ভূমিসম্পত্তি উপার্জন করিয়া ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়া উঠিয়াছিলেন । সীতারামের বুদ্ধিশক্তি সৰ্ব্বদা সরল পথে চালিত হইত না । এই জন্ত র্তাহার শক্ররও অভাব ছিল না। প্রসিদ্ধি আছে রাজা নীলকণ্ঠ একবার কোন গুরুতর অভিযোগে-মুর্শিদাবাদে বিচারার্থ আবদ্ধ হয়েন । বিচারে