পাতা:পুণ্ডরীককুলকীর্ত্তিপঞ্জিকা.djvu/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট, . Woo র্তাহার গুরুতর দণ্ডের সম্ভাবনা ছিল ; তখন সীতারাম তাহার বিরুদ্ধ পক্ষে ছিলেন। নীলকণ্ঠ সীতারামের শরণাগত হইলে সীতারাম রাতারাতি কৌশল ক্রমে আদালতের রেকর্ডগৃহে প্রবেশলাভ করিয়া নর্থী বদলাইয়া আসেন ও নীলকণ্ঠ রায় দণ্ড হইতে অব্যাহতি পান। সীতারামের ক্ষমতার ও বুদ্ধিমত্তার সম্বন্ধে এইরূপ নানা গল্প শুনা যায়। গদাধর ত্রিবেদীর নিবাস জেমো হইতে পাচ ক্রোশ দক্ষিণে টেয়া গ্রাম। র্তাহার পিতা বন্ধুলগোত্রজ দয়ারাম, পিতামহ হৃদয়রাম, প্রপিতামহ মনোহররাম । মনোহররাম অথবা হৃদয়রাম প্রথম বাঙ্গালা দেশে আসেন। গদাধর দিনাজপুরে ব্যবসায় দ্বারা ও মহাজনী কারবার দ্বারা অর্থ সঞ্চয় ও ভূসম্পত্তি অর্জন করিয়াছিলেন। জেমোর রাজবাটীর কৰ্ম্মাধ্যক্ষতা প্রাপ্ত হইয়। তিনি জেমোতে প্রায় বাস করিতেন । বাঘডাঙ্গার রাণী পাৰ্ব্বতী তাহার ভ্রাতা ত্রিলোচন রায়ের পুত্ৰ কালীশঙ্করকে দত্তক গ্রহণ করিয়াছিলেন । তাহার স্বামী হরিপ্রসাদ রায় মৃত্যুকালে দত্তক গ্রহণের অনুমতি পত্ৰ দিয়া গিয়াছিলেন এইরূপ প্রচার ছিল । রাজা নীলকণ্ঠ এই দত্তক গ্রহণে আপত্তি করিয়া আদালতে ১১৯৬ সালে নালিশ উপস্থিত করেন। এই দত্তক অসিদ্ধ হইলে রাণী পাৰ্ব্বতীর মৃত্যুর পর তাহার সম্পত্তি রাজা নীলকণ্ঠের বা তাহার ওয়ারিশের অধিকারে আসিবার সম্ভাবনা ছিল। মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হইবার পূর্বেই নীলকণ্ঠের মৃত্যু ঘটে। তাহার মৃত্যুর পর নাবালক লক্ষ্মীনারায়ণ ও রুদ্রনারায়ণের পক্ষ হইতে গদাধর ও সীতারাম মোকদম চালান। বিচারে কালীশঙ্করের দত্তকত্ব সিদ্ধ হয়। সেই মোকদ্দমার যে সম্পূর্ণ ফয়শালা বর্তমান আছে, তাহা হইতেই পুণ্ডরীককুলকীৰ্ত্তিপঞ্জিকার পরবর্তী কালের ফতেসিংহের ইতিহাস পাওয়া গিয়াছে । এই সময়েই অর্থাৎ রাজা নীলকণ্ঠের মৃত্যুর পর ফতেসিংহের সম্পত্তি লইয়া আরও ছুইটি মোকদম উপস্থিত হয়। - পুণ্ডরীকগোত্ৰজ নয়নমুখ রায়ের পুত্র মাণিকচন্দ্র রায় ও নারায়ণ রায়ের পুত্র শম্ভুনাথ রায় জয়রাম রায়ের উত্তরাধিকারী বলিয়া সমগ্র ফতেসিংহের জন্য মোকদম উপস্থিত করেন । এই মোকদ্দমায় রাণী পাৰ্ব্বতী, রুদ্রনারায়ণ ও লক্ষ্মীনারায়ণ প্রতিবাদী ছিলেন । নীলকণ্ঠের ভ্রাতা জগন্নাথের পুত্র গঙ্গাপ্রসাদ রায় নীলকণ্ঠের অংশ অর্থাৎ জেমোর অংশের দাবী করিয়া দ্বিতীয় মোকদম