এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বিজয়ী
8
ভাবলো তা’রা, এই শিখাটাই ধ্রুবজ্যোতির তারার সাথে
মৃত্যুহীনের দখিন হাতে
জ্বল্বে বিপুল বিশ্বতলে।
ভাবলো তা’রা, এই শিখারই ভীষণ বলে
রাত্রি-রাণীর দুর্গ-প্রাচীর দগ্ধ হবে,
অন্ধকারের রুদ্ধ কপাট দীর্ণ ক’রে ছিনিয়ে লবে
নিত্যকালের বিত্তরাশি;
ধরিত্রীকে কর্বে আপন ভোগের দাসী।
ঐ বাজে রে ঘণ্টা বাজে।
চম্কে উঠেই হঠাৎ দেখে অন্ধ ছিল তন্দ্রামাঝে।
আপ্নাকে হায় দেখছিল কোন্ স্বপ্নাবেশে
যক্ষপুরীর সিংহাসনে লক্ষমণির রাজার বেশে;
মহেশ্বরের বিশ্ব যেন লুঠ করেছে অট্ট হেসে।
শূন্যে নবীন সূর্য্য জাগে।
ঐ যে তাহার বিশ্বচেতন কেতন-আগে
জ্বল্ছে নূতন দীপ্তিরতন তিমির-মথন শুভ্ররাগে;
মশাল-ভস্ম লুপ্তি-ধূলায় নিত্যদিনের সুপ্তি মাগে।
আনন্দলোক দ্বার খুলেছে, আকাশ পুলকময়,
জয় ভূলোকের, জয় দ্যুলোকের, জয় আলোকের জয়।
(প্র—চৈত্র, ১৩২৪।)