পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ya' उन्नङदी । যাহা হউক, চীনদেশে সজেমা-টসিনকেই বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রথম পৃষ্ঠপোষক বলা যায়। ২১৯ পূর্ব-খৃষ্টাব্দে সি-হোয়াং-টির সহিত পুহাই বন্দরে তঁাহার সাক্ষাৎ হইয়াছিল। পরবৰ্ত্তিফালে হোনানের উত্তয়ে টুচাও পৰ্ব্বতে তিনি আশ্রয় গ্ৰহণ করেন। কয়েক বৎসর পরে ২১৫ খৃষ্টাব্দে, চীনের তাৎকালিক সম্রাট আর একজন শ্রমণকে আনয়নের জন্য ভারতে দূত প্রেরণ করেন । সেই সময় ‘ইয়েন’ বন্দরের কু-সেঙ নামক জনৈক ব্যক্তি “কাও-দে’ নামক শ্রমণকে চীনে আনয়ন করিয়াছিলেন। ১১২ পূর্ব-খৃষ্টাব্দে জ্যোতিৰ্বিদ লোয়াণ্টা, সম্রাট হান-ওয়া-টির নিকট শ্রমণদিগের এবং ঐন্দ্ৰাজালিক নগানকিলেংএর বিশেষ পরিচয় প্রদান করেন। সম্রাটের নিকট তাঁহার উক্তি হইতে বুঝা যায়,-তখন চীনদেশে বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারকগণের কোনও প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। অপিচ, ২১৯-২১.৫ পূর্ব-খৃষ্টাব্দের মধ্যে চীনে বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারের যে চেষ্টা চলিয়াছিল, সে সকলই ব্যর্থ হইয়াছিল। ২২১ পূর্ব-খৃষ্টাব্দে এক অদ্ভুত ঘটনা সংঘটিত হয়। চীনের পশ্চিম সীমান্তের লিনটাও সহরে দীর্ঘকায় দ্বাদশ জন আগন্তুক আগমন করেন। র্তাহারা তুর্কি-পরিচ্ছদ পরিহিত ‘টেক” বলিয়াই তৎকালে চীনাগণ সিদ্ধান্ত করিয়াছিল। যাহা হউক, তঁহাদের অদ্ভুত আকৃতি-দৃষ্টি তাৎকালিক চীন-সম্রাট তাহদের পিত্তলমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। সেই প্ৰতিমূৰ্ত্তির এক একটর ওজন ছিল-১৫০০ কিলো । সেই সকল প্ৰতিমূৰ্ত্তি বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারকগণের কিনা, তাহার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। বৌদ্ধপ্রচারকগণও তৎসম্বন্ধে কোনও দাবী-দাওয়া করেন নাই । * কিন্তু অন্যত্র তাহারা হিন্দু বলিয়া পরিচিত। তঁহাদের সম্বন্ধে যে উপাখ্যান প্রচলিত ছিল, তাহা এক্ট,-সম্রাট সি-হোয়াংটি, পারলৌকিক তত্ত্বে বিশেষ আনন্দ অনুভব করিতেন। পারলৌকিক বিষয়ে তাহার প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। সাম্রাজ্য তন্ন তন্ন করিয়া তিনি পারলৌকিক রহস্তের সন্ধান লইতেন। তখন ইউয়ান-কিউ" (সজেন্টু চুয়েন-Szetcheum ) অঞ্চলে কতকগুলি লোকের বসতি ছিল। লি নৌকায় আরোহণ করিয়া, কৃষ্ণ নদীর মধ্য দিয়া, তাহারা ‘যুং' ( Yung ) বা পু ( Pul) প্রদেশে পৌঁছিতে পারিতেন। যুং বা পু-কানুসের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। কথিত হয়,-“এই স্থানেই লিন-টাও বিদ্যমান ছিল। ইউয়ান-কিউ অঞ্চলের অধিবাসীদিগের সহিত, সম্রাট সি-হোয়াং-টি, সময় সময় শাস্ত্রালোচনায় প্ৰবৃত্ত হইতেন। বিশ্বের সৃষ্টি-স্থিতি-লয়-সে। প্রসঙ্গে প্ৰধান স্থান অধিকার করিত। প্রসঙ্গক্রমে সম্রাটকে তাহারা বুঝাইতেন,-কোনও নির্দিষ্ট সময়ে চন্দ্র ও সুৰ্য্য নব্বই হাজার লি গভীর জলে মগ্ন ছিল। তখন দিবা রাত্রি প্রত্যেকের পরিমাণ দশ সহস্ৰ বৎসর নির্দিষ্ট হইয়াছিল। র্তাহারা সম্রাটকে এক প্রকার প্রস্তর উপঢৌকন দিয়াছিলেন। সেই প্রস্তরের একটিী আশ্চৰ্য্য গুণ ছিল ;-অন্ধকার গৃহে রাখিয়া দিলে, প্রস্তরের আলোকে ঘর আলোকিত হইত। চীন-সম্রাট আলোর পরিবর্তে সেই প্ৰস্তর ব্যবহার করিতেন। প্রস্তরের আরও একটী গুণ Minggung Herbert J. Allen, The Academy,