পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ । wamubonmagnus Q usaumpamumuo বাণিজ্য-বিষয়ে বিবিধ তথ্য। [ অত্যাচারীর দণ্ডমূলক নীতি ;-সমৃদ্ধির পরিচয় ;-বিদেশে বাণিজ্যপোত ;-বৈদেশিক উপনিবেশ । ] 诛 棒 t অত্যাচারীর দণ্ড-মূলক নীতি । ভারতের বিভিন্নমুখী উন্নতির মূলে ভারতের ধৰ্ম্ম-প্ৰাণতারই পরিচয় প্রাপ্ত হই। সততাই যে উন্নতির মূলীভুত, ভারতে সে আদর্শের চরম প্রতিষ্ঠা লক্ষ্য করি। ভারতের সেই সৰ্ব্বতোমুখী সমৃদ্ধির দিনে, ভারত যে ভাবে এ আদর্শে অনুপ্রাণিত হইয়াছিল, সামান্য আলোচনায়ই তাহ প্ৰতিপন্ন হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভারতের বাণিজ্য যখন প্রবলভাবে চলিতেছিল ; বৈদেশিক বাণিজ্যে, শুল্ক-গ্ৰহণ, রাজকোষ যখন পূর্ণ হইতেছিল ; তখন বণিকগণের প্রতি রাজকৰ্ম্মচারিগণের অত্যাচার আশঙ্কা করিয়া রাজা বিধান করিয়াছিলেন,- “সাহসী ভেদকারী চ গান্ধীদ্রব্যবিনাশকঃ । উচ্ছেদ্য সৰ্ব্ব এবৈতে বিস্তপৈব নৃপে ভূগু: | অর্থাৎ,-কোেনও অত্যাচার উৎপীড়ন হইলে কৰ্ম্ম-চারিগণ পদচ্যুত হইবেন এবং তাহাকে কঠোর দণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে । এইরূপ বিধি-নিয়মের অনুবৰ্ত্তনেই বৈদেশিক পণ্য-সম্ভার বিদেশে এবং বিদেশীয় পণ্যসম্ভার ভারতে অবাধে আমদানি-রপ্তানি হইতে পারিত । 来 সমৃদ্ধির পরিচয় । ভারতের মুদ্রাদির আলোচনায় বৈদেশিক বাণিজ্যে ভারত যে বিশেষ সমৃদ্ধি-সম্পন্ন হইয়াছিল, রোমের সহিত বাণিজ্য প্রসঙ্গে, রেশম প্ৰভৃতির মহাৰ্য্যতার পরিচয়ে, তাহ বেশ হৃদয়ঙ্গম হয় । তখন ভারতজাত বহু পণ্য রোমে সংবাহিত হইত। সেই সকল দ্রব্য-সম্ভারের মধ্যে রেশম এক সময় প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছিল। তখন মসলিন এবং তুলা অতি উচ্চ মূল্যে রোমে বিক্রীত হইত। অরেলিয়সের রাজত্বকালে সোণার ওজনে রেশম বিক্রয়ের উল্লেখ ঐতিহাসিকগণের গ্ৰন্থপত্ৰে দেখিতে পাওয়া যায়। রোমদেশের রমণীগণ ভারতের রেশম বিশেষ সমাদর করিতেন। তাই তঁাহারা যে কোনও মূল্যে ভারতজাত রেশম ও রেশমী বস্ত্ৰ ক্ৰয় করিতে কুণ্ঠ বোধ করিতেন না।