পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ।

  • ९४९४-कळल' ं *९४९g' ||

[ গুপ্ত-কালের পরিচয় ;-নামকরণে বিতণ্ডা। ;-ডক্টর ফ্লিটের মন্তব্য ;- মৰ্বি দান-লিপি ;-বিবিধ সমস্যা ;-আদিনিৰ্দ্ধারণে প্ৰয়াস । ] 米 গুপ্ত-কালের পরিচয় । গুপ্ত-কালের প্রতিষ্ঠায় ও প্ৰবৰ্ত্তনায় নানা বিতণ্ড দেখিতে পাই। “গুপ্ত নৃপতিভুক্তি’, “গুপ্তসংবৎ’, ‘গুপ্ত অব্দ”, “গুপ্ত নৃপকাল” প্ৰভৃতি নানা নামে “গুপ্ত-কাল” অভিহিত হইয়া থাকে। ঐতিহাসিকগণের মতে-প্ৰথম চন্দ্রগুপ্তেব রাজত্বকালে যে অব্দ প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছিল, তাহাই “গুপ্তকাল”, “গুপ্তাব্দি”, “গুপ্ত-সংবৎ প্ৰভৃতি নামে অভিহিত। প্ৰথম চন্দ্ৰগুপ্ত ঐ অবদ প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। তাহারা আরও বলেন,-প্ৰথম চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যাভিষেকের বৎসর হইতে “গুপ্তাব্দি” বা “গুপ্তকাল’ গণনা আরম্ভ হয় । কেহ কেহ আবাব এ মতের প্রতিবাদ করেন। সে সম্বন্ধে নানা বিতণ্ডা দেখিতে পাই। এইরূপে প্ৰায় চল্লিশ বৎসর কাল প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণের নানা গবেষণা ও বাদ-বিতণ্ডা চলিতে থাকে। কিন্তু, বহুকালব্যাপী গবেষণায়, অসাধাবণ অধ্যবসায়ে এবং বিবিধ অনুসন্ধানেও নিঃশংসয়ে “গুপ্তকাল’ নির্দেশে কেহই সমর্থ হন না। পরিশেষে, অশেষ চেষ্টার ফলে কিছু দিন হইল অবিসংবাদিত রূপে “গুপ্তকাল’ নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। প্রত্নতত্ত্ববিৎ ডক্টর ফ্রিট স্থির করিয়াছেন,-৩১৮-৩১৯ খৃষ্টাব্দে “গুপ্তকালের’ সুচনা। সকলেই ফ্রিটের মত গ্ৰহণ করিয়াছেন। যে ভাবে যেরূপ গবেষণায় এবং যেৰূপ আয়াস অধ্যবসায়ে এই জটিল সমস্যার সমাধান হইয়াছে, এ প্রসঙ্গে তাহার কিঞ্চিৎ আভাষ প্ৰদান করিতেছি। গুপ্ত বংশীয় নৃপতিগণের } আলোচনায় তাহার প্রয়োজনীয়তা অবিসম্বাদিত-রূপে প্ৰতিপন্ন হয় । 誉 谦 举 নামকরণে বিতণ্ড । * “গুপ্তকাল’-নামকরণ লইয়াই পণ্ডিতগণের মধ্যে প্রথম বিরোধ উপস্থিত হয়। র্তাহারা বলেন,-“গুপ্তকাল’ বলিয়া অভিহিত হইলেও গুপ্তরাজগণের নামের সহিত উহার কোনও সম্বন্ধ নাই। তাহা হইলে, সে পক্ষে কোনও-না-কোনও প্ৰমাণ পাওয়া যাইত। আর গুপ্তবংশীয় নৃপতিই যে গুপ্ত-কালের প্রবর্তক, তাহারও কোনও প্রমাণ নাই। সুতরাং গুপ্তগণের নামের সহিত “গুপ্তকালের’ সম্বন্ধ-সুচনা কদাচি সমীচীন নহে। আলবারুণি এই বিতণ্ডার মূলীভুত। তাঁহারই গ্রন্থে আমরা প্রথমে “গুপ্ত-কালের উল্লেখ