পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९७९g-काव् दा ९}९थवा । scis তঁহার এই অব্দ ব্যবহার করিতেন মাত্র। তঁহাদের পূর্বে হয় তো উহা অন্য কোনও নামে পরিচিত ছিল। সে স্মৃতি এখন বিলুপ্ত। গুপ্তগণের রাজত্বকালে “গুপ্তকাল’ বাহুল্য-রূপে ব্যবহৃত হইত,-রাজকীয় সকল কাৰ্য্যই তখন “গুপ্তকাল” অনুসারে নির্বাহিত হইত। তাই আলোচ্য কালাবদ-“গুপ্তাবিদ’ বা “গুপ্ত-কাল’ নামে অভিহিত হইয়া আসিতেছে। 博 নামকরণে অন্যান্য সমস্ত । গুপ্তকালের নামকরণ সম্বন্ধে আয়ও কয়েকটি সমস্যার অবতারণা হয়। জৈন “আচারাঙ্গসুত্রের’ ‘আচার-টীকায়” শীলাচাৰ্য্য লিখিয়াছেন,- “দ্বাসপ্তত্যধিকেষু হি শতেন্ত্র সঙ্গুেসু, গতৌসু গুপ্তানাং । সম্বৎসরেষু মাসী চ ভাদ্রপদে শুক্লাপঞ্চম্যাং ৷ শীলাচাৰ্য্যোণ কৃত সস্তৃতায়াং স্থিতেনতিকৈসা। সম্যগুপযুজ্য শোধ্যা মাৎসৰ্য্যবিনাকৃতৈরাৰ্য্যেরর্য্যৈঃ ॥” উদ্ধৃত অংশের অন্তৰ্গত৷ “দ্বাসপ্তত্যধিকেষু হি শতেষু সপ্তষু গতৌসু গুপ্তানাং” বাক্যাংশের অর্থ হয়-“গুপ্তসম্রাটগণের ৭৭২ বৎসর অতীত হইলো।” পূর্বোক্ত উক্তির অব্যবহিত পরে ঐ গ্রন্থেই আবার দেখি,- “শৰুনৃপকালাতীতসম্বৎসরশতেষু সপ্তসু। অষ্টানবত্যধিকেষু বৈশাখসুধাপঞ্চম্যাং আচারটীিকাকৃতেতি।” “আচারটিীকার’ এই দ্বিবিধ উক্তি শক-কালের এবং গুপ্ত-কালের মধ্যে এক বিষম সমস্তার সৃষ্টি করিয়া দেয়। গুপ্তসম্রাটগণ কখনও ‘সম’, কখনও “সম্বৎসর’, আবার কখনও ‘সংবৎ’ শব্দের প্রয়োগ করিয়াছেন। তাহাতে অনেকে তঁহাদিগকেই “সম্বতের” প্ৰবৰ্ত্তক বলিয়া সিদ্ধান্ত করেন। ‘শকারি’ বিক্ৰমাদিত্যের প্রবৰ্ত্তিত অব্দ ‘সংবৎ’ নামে অভিহিত হইত। দ্বিতীয় চন্দ্ৰ-গুপ্ত অনেক স্থলে “বিক্রমাদিত্য”-রূপে অভিহিত হইয়াছেন। এখন, চন্দ্ৰগুপ্ত ও বিক্রমাদিত্য একই ব্যক্তি কি না-ইহা লইয়া এক বিতণ্ডার সৃষ্টি হইয়াছে। এই বিতণ্ডার মূলেই কেহ কেহ গুপ্তবংশীয় নৃপতিদিগকে “সম্বতের” প্রতিষ্ঠাতা বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়া থাকেন। যাহা হউক, এইরূপ আলোচনায় পাশ্চাত্য প্রত্নতাত্ত্বিকগণ গুপ্তদিগকে “গুপ্ত-সংবতের’ বা “গুপ্ত-কালের” প্ৰতিষ্ঠাতা বা প্ৰবৰ্ত্তক বলিয়া স্বীকার করে না। পরন্তু সিদ্ধান্ত হয়,-গুপ্তগণ ‘সংবৎ’ ব্যবহারে কাল-গণনা করিতেন। বলিয়াই আলোচ্য কালের “গুপ্তকাল’ বা “গুপ্ত-সংবৎ নামকরণ হইয়াছিল । র্তাহারা আরও বলেন,-শকম্পিকাল, শাকনৃপসম্বৎসর, শাককাল, বিক্রমকাল, বিক্ৰমাদিত্যোৎপাদিতসম্বৎসর, বহলবী সম, বহলবী-সম্বৎ প্ৰভৃতি প্ৰতিবাক্য শক, বিক্ৰমাদিত্য বহলভী প্রভূতিকে তত্তন্নামধেয় কালের প্রতিষ্ঠাতা বা প্ৰবৰ্ত্তক বলিয়া নির্দেশ করে ; কিন্তু “গুপ্তকাল’ বলিতে সে ভাবে গুপ্তদিগকে কাল-প্ৰবৰ্ত্তক বলিয়া বুঝা যায় না। তাই তঁাহারা গুপ্তাশকে “গুপ্ত-কাল’, ‘বহুলভী-কাল’ এবং “গুপ্ত-বহুলভী-কাল” প্রভৃতি নামে অভিহিত করেন।