পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ां*5ांड्-ड् ९९४-कांगाल ! Yby Köiጻ ዏiጻ Sኳ”ዓ8 “আর্কিয়লজিক্যাল সার্ভে গ্রন্থে কানিংহাম ১৯১ অব্দে উৎকীর্ণ মহারাজ হস্তিনের লিপির আলোচনা করেন। সঙ্গে সঙ্গে। ২০৯ অব্দের উৎকীর্ণ মহারাজ সংক্ষোভের এবং ১৭৪ হইতে ২১৪ অব্দের মধ্যবৰ্ত্তী উচ্ছকল্প-মহারাজের দানপত্রের বিষয় আলোচিত হয়। হস্তিন এবং সংক্ষোভের দান-পত্রের আলোচনায় তিনি উইলসনের অনুসরণ করেন। উল্লিখিত দানপত্রের অন্তৰ্গত৷ “গুপ্ত নৃপরাজ্যভুক্তৌ” বাক্যের অর্থ-নিষ্কাশনে বুঝা যায়,-যখন ঐ দানপত্র প্রদত্ত হইয়াছিল, তখনও গুপ্ত-রাজগণ রাজত্ব করিতেছিলেন । পূৰ্বোক্ত লিপির আলোচনা প্রসঙ্গে, কানিংহাম গুপ্ত-নৃপতিগণের কাল সম্বন্ধে এক মন্তব্য প্ৰকাশ করেন। তদনুসারে ১৯৪-১৯৫ খৃষ্টাব্দে গুপ্ত-কালের সুচনা এবং ১৯৫-১৯৬ খৃষ্টাব্দে তাহার। প্ৰবৰ্ত্তনা স্থিরীকৃত হয় । এ সম্বন্ধে কানিংহাম যে যুক্তির অবতারণা করেন তাহা এই,-৬৪০ খৃষ্টাব্দে চীনদেশীয় পরিব্রাজক হুয়েন-সাং ভারতভ্ৰমণে আগমন করেন। তখন বহলভীরাজ। সপ্তম শিলাদিত্য সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই সিদ্ধান্ত মানিয়া লইলে, দানলিপির ৪৪৭ অব্দ-পরিব্রাজকের আগমনের ২৫-৩০ বৎসর পূর্বে বা পরে নির্দিষ্ট হয়। তাহা হইলে ১২৩ খৃষ্টাব্দ হইতে ২২৩ খৃষ্টাব্দের মধ্যে গুপ্ত-কাল নির্দিষ্ট হওয়া সম্ভব। যুদ্ধ-গুপ্তের ইরাণ স্তন্তলিপি এবং জয়ঙ্কদেবের ‘মর্বি’ দানলিপির নির্দেশ অনুসারে ১৯৪-১৯৫ খৃষ্টাব্দকেই কানিংহাম, গুপ্ত-কালারম্ভের বিশেষ উপযোগী বলিয়া মনে করেন। কানিংহামের এই গণনা-অনুসারে ইরান স্তম্ভ-লিপির কাল ৩৫৯ খৃষ্টাব্দে এবং মৰ্ব্বি-দানপত্রের কাল ৭৮০ খৃষ্টাব্দের ১০ই ফেব্রুয়ারী নির্দিষ্ট হয়। মৰ্বি-লিপিতে সুৰ্য্যগ্রহণের বিষয় উল্লিখিত আছে। কথিত হয়, মাঘ মাসে সেই সুৰ্য্য-গ্ৰহণের পাঁচ দিন পূর্বে দান-পত্ৰ লিখিত হইয়াছিল। তার পর জেনারেল কানিংহাম অন্যান্য যে সকল প্রামাণ্য বিষয়ের উল্লেখ করিয়াছেন, তাহা এই,-মহারাজ হস্তিনের এবং সংক্ষোভের দানপত্রে “গুপ্ত নৃপরাজ্যভুক্তেী মহাবৈশাখসম্বৎসরে, “গুপ্ত নৃপরাজ্যভুক্তৌ মহা-অশ্বায়ুজ-সম্বৎসরে, “গুপ্তরাজ্য নৃপড়ুক্তে মহাচৈত্রসম্বৎসরে? প্রভৃতি উক্তি আছে। কানিংহাম ৩৫০ খৃষ্টাব্দে “মহাবৈশাখ সংবৎসর’ স্থির করেন। সে হিসাবে ১৫৬ গুপ্ত-সংবতে “মহাবৈশাখ সংবৎসর’ নির্দিষ্ট হয়। কিন্তু তাহাতে ‘মহা অশ্বায়ুজ’ সংবৎসরের কাল-নির্দেশে গণ্ডগোল ঘটে । সুতরাং কানিংহাম সে মত পরিবর্তনে বাধ্য হন। তখন তিনি সিদ্ধান্ত করেন,-১৬৩ অব্দে গুপ্ত-কালের সুচনা হয় নাই। ১৭৩ অব্দে অর্থাৎ ৩৬৭ খৃষ্টাব্দেই গুপ্তকালের সুচনা হইয়াছে। এ ক্ষেত্রেও তিনি প্ৰথম চন্দ্ৰ-গুপ্তকেই গুপ্ত-কালের প্রবর্তক বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। সে মতে,-কুমার-গুপ্তের রাজত্বের দ্বাদশ বৎসরে, ৩১৯ খৃষ্টাব্দে, বহলভী সংবতের প্রারম্ভ স্থির হয়। বল্লভী-সংবতের আলোচনা প্রসঙ্গে কানিংহাম বলেন,-গুপ্ত-বংশের উচ্ছেদের সহিত বল্লভী-কালের কোনই সংশ্ৰব নাই। কারণ, স্কন্দ-গুপ্তের জুনাগড় পাৰ্ব্বত্য-লিপি হইতে স্পষ্ট প্রতীত হয়,-সৌরাষ্ট্রে অর্থাৎ কাথিয়াবাড়ে ৩৩৩ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত গুপ্ত-প্রাধান্য অক্ষুন্ন ছিল। আলবারুণির উক্তির অসামঞ্জস্তের কারণ-গুপ্ত ও বল্লভী সংবৎকে অভিন্ন বলিয়া প্ৰতিপাদনের প্ৰয়াস। আলবারুণির মতে ৩১৯ খৃষ্টাব্দে বল্লভী-সংবৎ প্রতিষ্ঠার পর ৩৩৯ খৃষ্টাব্দে বল্লভী