পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবৰ্য । কারণ-প্ৰায় ছয় সাত পুরুষ ধরিয়া বল্লভীগণ করদ-মিত্র রাজ মধ্যে পরিগণিত ছিলেন। তঁহারা ‘সেনাপতি’ ও ‘মহারাজা” উপাধিতে সময় সময় বিভূষিত হইয়াছেন মাত্ৰ। কিন্তু অব্দপ্রতিষ্ঠার স্বাধীন ক্ষমতা তাহারা কখনও প্রাপ্ত হন নাই। সেনাপতি ভট্টারক, এই বন্ধতীবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তাহার পুত্র মহারাজ প্ৰথম ধ্রুবসেনের কাল-২০০৭ অব্দ। সে হিসাবে, সেনাপতি ভট্টারক কর্তৃক বল্লভী বংশ প্রতিষ্ঠার বহু পূৰ্ব্ব হইতেই সে কাল-গণনা আরম্ভ হইয়াছিল, প্ৰতিপন্ন হয়। এইরূপ, গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা গুপ্ত এবং তঁহার পুত্র ঘটোৎকচ উভয়েই করদমিত্র সামন্ত-রাজ ছিলেন। তঁহাদের অব্দ প্ৰতিষ্ঠার স্বাধীন ক্ষমতা ছিল না,-তাহাও বুঝা যায়। গুপ্তবংশের প্রথম একছত্ৰ সম্রাট-ঘটোৎকচের পুত্ৰ প্ৰথম চন্দ্ৰ-গুপ্ত। তিনি যদি এই গুপ্ত-কালের প্রতিষ্ঠাতা হন, তাহা হইলে তঁহার রাজ্য-লাভের সঙ্গে সঙ্গেই এই কাল-গণনার সুচনা হয়। কিন্তু তাঁহাতে বুঝা যায়,-তাহার পিতামহ মহারাজ গুপ্তের সময়ে সে কাল প্ৰবৰ্ত্তিত হয় নাই । দৃষ্টান্ত-স্বরূপ এতৎপ্রসঙ্গে হর্ষাব্দের উল্লেখ করা যাইতে পারে। হর্ষের অব্দ তাহার রাজ্যকাল হইতেই প্ৰবৰ্ত্তিত হয়। তিনি ঐ বংশের তৃতীয় নৃপতি। কিন্তু প্রথম ও দ্বিতীয় নৃপতি, র্তাহার পিতা ও পিতামহের ( প্ৰভাকরবদ্ধন এবং দ্বিতীয় রাজ্যবৰ্দ্ধন ) রাজ্যকাল হইতে ঐ কাল-গণনা আরম্ভ হয় নাই। এইরূপ, পশ্চিম চালুক্য নৃপতি ষষ্ঠ বিক্ৰমাদিত্য যখন “চালুক্য-বিক্ৰম-কাল’ প্ৰতিষ্ঠা করেন, তখন তঁহার পূর্ববৰ্ত্ত নৃপতিগণ গণনাঙ্কের বহির্ভূত রহিয়া যান। তখন তিনি তঁহার রাজ্যপ্ৰাপ্তির সময় হইতেই উক্ত কালগণনা সুচনা করেন। গুপ্তকালের আলোচনায়ও সেই সিদ্ধান্তই মনে আসে। বলিতে হয়,-প্ৰথম চন্দ্ৰ-গুপ্ত যখন একছত্ৰ সম্রাট হন, তখন হইতেই কালগণনা সুচিত হইয়াছিল। ফলতঃ, যে ভাবে যে দৃষ্টিতেই দেখি-যে ভাবে যে রূপেই আলোচনা করি, সিদ্ধান্ত এই হয় যে,-প্ৰথম চন্দ্র-গুপ্তের পূর্ববৰ্ত্তী কোনও নৃপতির রাজ্যপ্ৰাপ্তি হইতে উহার গণনা সুচিত হয় নাই। কিন্তু তাহা হইলেও, প্ৰথম চন্দ্ৰ-গুপ্তের রাজ্যপ্ৰাপ্তিকাল হইতে গুপ্তকালের সুচনা সপ্রমাণ করিতে গেলে, নানা সংশয় আসিয়া পড়ে। সে সংশয় সমস্তা-গুপ্তবংশের বিভিন্ন নৃপতির কাল-নিরূপণ উপলক্ষেই সংসুচিত হইয়া থাকে। 米 崇 १-5नां । ৯৬ হইতে ১৩০ গুপ্তাদের মধ্যে প্রথম চন্দ্ৰ-গুপ্তের প্রপৌত্ৰ কুমার-গুপ্তের বিদ্যমানকাল সাব্যস্ত হয়। পণ্ডিতগণ সে সম্বন্ধে মানকুয়ার লিপির ১২৯ অব্দই প্ৰামাণ্য বলিয়া গ্ৰহণ করেন। এ হিসাবে বিংশ বর্ষ বয়ঃক্রমকালে চন্দ্র-গুপ্তের রাজ্যের প্রারম্ভ ধরিয়া লইয়া, কুমার-গুপ্তের রাজ্যপ্ৰাপ্তি পৰ্যন্ত ১২৯ বৎসর প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই ১২৯ বৎসরে চারি পুরুষের রাজ্যকাল নির্দিষ্ট হইতে পারে। তাহাতে চারি জন নৃপতির প্রত্যেকের রাজ্যকাল গড়ে ११ वृ९द्म ७ मांग श्रीं७ थां ।