পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@९j-कांड्-१ांधींनां लि°ि ॥ §%ls এবং দলিলপত্রে ‘দাসোর” নামই প্ৰচলিত। তবে পারস্তা-ভাষায় লিখিত দলিলাদিতে মান্দাসোর নামের বহুল প্ৰচলন পরিদৃষ্ট হয়। দাসোরে শিবমন্দিরের সন্মুখে, নদীর তীরদেশে, ' ५३ गिनि ७थभ गृहै श्व। দাসোর বা মান্দাসোর নামের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটা কিংবদন্তী প্ৰচলিত আছে। সে কিংবদন্তী-পুরাকালে দশরথ নামে এক রাজা ঐ অঞ্চলে রাজত্ব করিতেন। তঁহারই নামানুসারে ‘দাসপুর’ নামকরণ হইয়াছিল। প্ৰথমে পনেরটীি জনপদ লইয়া দাসপুর রাজ্য সংগঠিত হয়। সেই পনেরটা পলীর মধ্যেকিলচিপুর, জানকুপুর, রামপুরিয়া, চন্দ্রপুরা, বালাগঞ্জ প্ৰভৃতি প্ৰধান। পরবৰ্ত্তিকালে ঐ পনেরটীি জনপদের পাঁচটী বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে। তখন দশটা জনপদ লইয়া দাসপুর সংগঠিত হয়। কিন্তু কি কারণে দাসপুরের “মান্দাসোর” নাম হইয়াছিল, তাহার কোনও সন্ধান পাওয়া যায় না। ডক্টর ভগবানলাল ইন্দ্ৰাজির মতে এক সময়ে দাসপুরের ভাগ্যবিপৰ্য্যয় ঘটে। সেই মন্দ-ভাগ্য-সূচনায় দাসপুরের “মান্দাসোর” নাম হয়। তিনি আরও বলেন,-মুসলমানদিগের আক্রমণে যখন নগর বিধ্বস্ত এবং হিন্দুর মন্দিরাদি চূৰ্ণবিচূর্ণ হয়, তখন হইতেই দাসপুর “মান্দাসোর” নামে অভিহিত হইতে থাকে।” মুসলমান আক্রমণের এবং দাসপুর জনপদের ভাগ্যবিপৰ্য্যয়ের স্মৃতিরক্ষার্থ তত্ৰত্য অধিবাসিবৃন্দ তখন হইতে উহার ‘মন্দ দাসপুর’ বা “মান্দাসোর’ নামকরণ করিয়াছিল। কথিত হয়, মুসলমান আক্রমণের পর হইতে দাসপুরে আর ব্রাহ্মণের বাস নাই। এমন কি, ব্ৰাহ্মণের সেই হইতে দাসপুরের কোনও স্থানেরই জল পান করেন না। মিষ্টার ই এইচ গ্ৰাউসের মতে “মাড়’ এবং ‘দাসপুর’-এতদুভয়ের সমবায়ে “মান্দাসোর’ নাম সংগঠিত হওয়া সম্ভবপর। বর্তমান আফজালপুরের অপর নাম-মাড়। মান্দাসোরের দক্ষিণপূর্বে এই ‘মাড়’ বা আফজালপুব অবস্থিত। অনেকে বলেন,-“দাসপুর-মাহাত্ম্য” গ্রন্থে এ সম্বন্ধে প্ৰকৃত তথ্যের সন্ধান পাওয়া যাইতে পারে। কিন্তু সে গ্ৰন্থ অধুনা দুষ্পাপ্য। 米 ܛܹ লিপির। প্ৰতিপাদ্য । মান্দাসোরের লিপিতে ‘কুমার-গুপ্ত নৃপতির পরিচয় পাওয়া যায়। লিপিতে তিনি “পৃথিবীপতি’ বলিয়া উল্লিখিত। লিপির কুমার-গুপ্ত এবং গুপ্ত-বংশের কুমার-গুপ্ত অভিন্ন প্ৰতিপন্ন হন। দাসপুর-কুমারগুপ্তের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কুমারগুপ্তের অধীনে বিশ্ববৰ্ম্মণের পুত্র বন্ধুবৰ্ম্মণ সে সময়ে দাসপুর রাজ্য শাসন করিতেন। লিপিতে নানা তথ্যের সন্ধান পাওয়া যায়। কুমারগুপ্তের রাজত্বকালে বাণিজ্য-প্রসারের পরিচয় সে লিপিতে প্ৰাপ্ত হই। গুজরাট প্রদেশের দক্ষিণ ও মধ্য ভাগ হইতে বণিকগণ বাণিজ্য-ব্যাপদেশে দাসপুরে আগমন করিতেন, গুজরাটের ‘লটি বৈশ্য হইতে রেশমীবস্ত্ৰব্যবসারিগণ দাসপুরে আসিত, বিভিন্ন শ্রেণীর বণিকগণ বিভিন্ন পণ্য ক্ৰয়-বিক্রয় করিত এবং কেহ বা জাতীয় ব্যবসায়ে সমৃদ্ধিশালী হইয়াছিল,-লিপিতে সে সকল পরিচয়ই বিদ্যমান। লিপির মধ্যে সুৰ্য্যের উপাসনার বিষয় পরিবর্ণিত। বন্ধুবৰ্গণের শাসন সময়ে রেশম