পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९९४-९* इंङि१° ! S8S পূৰ্বেই বলিয়াছি,-খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দীর ভারত-ইতিহাস অন্ধকারময়। সে অন্ধকারজাল ভেদ করিয়া গুপ্ত-বংশের প্রতিষ্ঠাতার অভু্যুদয়-কাল নিরূপণ, একরূপ অসম্ভব বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। এক সময়ে কুশন-রাজ্য মগধের সীমান্ত পৰ্যন্ত বিস্তৃত ছিল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শতাব্দীতে কুশন-রাজ্যের অবসান হয়। তাঁহারই ধ্বংসাবশেষ হইতে গুপ্ত-সাম্রাজ্যের অভু্যদয় ঘটিয়াছিল, সপ্রমাণ হয়। মহারাজ গুপ্ত সেই গুপ্ত-সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন। 普 গুপ্ত-গণের প্রাচীনত্ব । গুপ্ত-গণের প্রাচীনত্ব অবিসংবাদিত। বিষ্ণু-পুরাণে, বায়ু-পুরাণে, ব্ৰহ্মাণ্ড-পুরাণে এবং মৎস্য-পুরাণে গুপ্ত-বংশেব উল্লেখ দেখিতে পাই। ব্ৰহ্মাণ্ড-পুরাণের উপসংহারপাদে গুপ্তরাজগণের যে পরিচয় প্রাপ্ত হই তাহা এই,--নাগিবংশীয় সাত জন মথুরাপুরা ভোগ করিবেন। গুপ্তবংশীয়গণ মথুরা, অনুগঙ্গ, প্রয়াগ, অযোধ্যা ও মগধ—এই সকল জনপদ উপভোগ করিবেন। শাস্ত্ৰবাক্য সিদ্ধ হইয়াছিল। গুপ্ত।বাঙ্গগণ সমগ্ৰ ভারতে আধিপত্য-বিস্তারে সমর্থ হহঁয়াছিলেন। এমন কি, তঁহাদের প্রভাব পাবিপাশ্বিক বৈদেশিক রাজ্য-সমুহেও বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল। বৈদেশিক রাজগণ-গুপ্ত-নৃপতিগণের সহিত মিত্রতা-সুত্রে আবদ্ধ হন এবং গুপ্তরাজগণকে রাজকর এবং বিবিধ উপঢৌকনাদি প্রদানে তঁহাদের প্রাধান্য স্বীকার করেন। 人r 来r ঘটোৎকচ । গুপ্তবংশের প্রতিষ্ঠাতা মহারাজ গুপ্ত তাদৃশ প্রতিষ্ঠা-সম্পন্ন ছিলেন না। তঁহার লোকান্তরে পুত্র ঘটােৎকচ রাজ্যলাভ করেন। তঁাহারও প্রতিষ্ঠার কোনও নিদর্শন বিদ্যমান নাই। ইতিহাসে তিনি মহারাজ ঘটোৎকচ নামে পরিচিত । ঘটোৎকচের নাম লইয়া প্রত্নতত্ত্ববিদগণের মধ্যে নানা বিতণ্ডা দেখিতে পাই। ডক্টর ব্লকের মতে “মহারাজ ঘটোৎকচ” এবং “ঘটোৎকচ-গুপ্ত” অভিন্ন প্ৰতিপন্ন হন। “বাসার’ বা বৈশালীতে প্ৰাপ্ত মোহর-ভঁাহাদের এই সিদ্ধান্তের মুলীভুত। ঐতিহাসিক ভিন্সেণ্ট স্মিথও এই মতের পরিপোষক । মোহরের উপরিভাগে ‘শ্ৰীঘটোৎকচগুপ্তস্য’ পদ উৎকীর্ণ রহিয়াছে। ঘটোৎকচ-গুপ্ত নামে পরিচিত হইলেও মোহরে মহারাজ ঘটোৎকচ নাম অঙ্কিত না হইবার কোনই কারণ নির্দেশ হয় না । তবে বৈশালীতে পরিদৃষ্ট মোহরের তারিখের সহিত ঘটোৎকচ-গুপ্তের মোহরের তারিখ্যাদির তুলনায় সমালোচনায় বিষয়টা বিশদীকৃত হইতে পারে । এ পক্ষে মহারাজাধিরাজ দ্বিতীয় চন্দ্ৰগুপ্তের সহধৰ্ম্মিণী মহাদেবী ধ্রুবস্বামিনীর মোহরাঙ্কিত তারিখ প্ৰভৃতিই প্ৰধান অবলম্বন। ধ্রুবস্বামিনী এবং ধ্রুবাদেবী অভিন্ন প্ৰতিপন্ন হন। তঁহার মোহর দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজ্যকালের শেষভাগে অঙ্কিত হয়। তখন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের পুত্ৰ মহারাজ গোবিন্দগুপ্ত বৈশালীর * শাসন-কীৰ্ত্তা ছিলেন। গোবিন্দগুপ্তের দরবারে, তঁহার সমসাময়িক যে সকল কৰ্ম্মচারী ছিলেন, অধিকাংশ মোহরে তঁহাদের নামও অঙ্কিত আছে। ডক্টর ভাণ্ডারকারের মতে-মোহরগুলি যে সকল স্থান হইতে সংগৃহীত হইয়াছে, সে

  • 一求 ペー。