পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ । - * نفسیاسی পৰ্য্যন্ত তঁাহার-প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। পাশ্চাত্য-মতে তঁহিবা স্কন্দ-গুপ্তের বংশধর। তঁহারা হনদিগের অধীনতা স্বীকার করিয়াছিলেন, প্ৰতিপন্ন হয়। 将 锋 崇 दलदी-ब्रांछद९४ । গুপ্ত-বংশের সহিত বহলবী-বংশের নৈকট্য সপ্ৰমাণ হয়। গুপ্তকাল আলোচনা-প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে তাহার কিঞ্চিৎ আভাস প্ৰদান করিয়াছি। খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর শেষভাগে, মৈত্রকবংশীয় ভট্টারিক কর্তৃক বহলভী-বংশ স্থাপিত হয়। সৌরাষ্ট্রের পূর্ব-সীমানায় বহলবী নগরে তঁহার রাজধানী প্ৰতিষ্ঠিত । সম্ভবতঃ ‘বহলভী’-নগরেব নাম অনুসারেই ভট্টারকের প্রতিষ্টিত রাজবংশ “বহুলভী’ সংজ্ঞা প্ৰাপ্ত হইয়াছিল। ৭৭০ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত এই বংশের প্রতিষ্ঠার পবিচয় প্রাপ্ত হই। পরে আরবগণ কর্তৃক বহলভীবংশের উচ্ছেদ সাধিত হয়। বহুলভী-বংশের আদি-নৃপতিগণ সমস্ত শ্রেণীভুক্ত ছিলেন। র্তাহারা হুনদিগের নিকট পরাজিত হইয়া কার-প্রদানে বাধ্য হন। তার পর হুনদিগের উচ্ছেদ-সাধনের সঙ্গে সঙ্গে তাহারা স্বাধীনতা অবলম্বন করেন । চৈনিক পরিব্রাজক হুয়েনৎ-সাং যখন ভারতে আগমন কবিয়াছিলেন, তখন সৌরাষ্ট্র-প্রদেশে বহুলভীগণ বিশেষ প্রতিষ্ঠান্বিত ছিলেন। তখন সৌরাষ্ট্রে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব পুর্ণ প্রতিষ্ঠিত। গুণমতি এবং স্থিরমতি-বৌদ্ধভিক্ষুদ্বয় তখন উপদেষ্টার পদে সমাসীন। ইৎ-সিং এবং হুয়েনৎ-সাং উভয়েই দক্ষিণ-বিহারের নালান্দার এবং পশ্চিম ভারতের বহলভীর স্বাতন্ত্র্যের বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন। মালব-দেশও তখন বিশেষ সমৃদ্ধি-সম্পন্ন ছিল। মালব ( সে-লা-পো )। তখন শিক্ষা-দীক্ষায় গরীয়ান হইয়াছিল। উভয় রাজ্য স্বতন্ত্র হইলেও, রাজনৈতিক বিধানে উভয়ই তখন অভিন্ন ছিল। রাজা হর্ষের জামাতা গ্রুবদত্ত তখন ঐ দুই রাজ্য শাসন করিতেছিলেন। অতঃপর বল্লবী-রাজ্যের অধঃপতনে বিভিন্ন খণ্ড রাজ্যের উৎপত্তি ঘটে ৷ প্ৰথমে বল্লভী গুপ্ত-সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত হয়। পরে তাহ বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে। পরিশেষে বল্লভী-দিগের প্রভাব-প্রতিপত্তি-লোপের সঙ্গে সঙ্গে, বল্লভী-রাজ্য হইতেও বিভিন্ন খণ্ড-রাজ্যের উৎপত্তি হয় । এইরূপে বিশাল গুপ্ত-সাম্রাজ্য ক্ৰমে ক্রমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নগর জনপদে বিভক্ত হইয়া বিভিন্ন স্বাধীন সামন্তের অধীন হইয় পড়ে। গুপ্ত-সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়। 操 将 神 ভারতে শ্বেত-ছনগণ । গুপ্ত-বংশের ইতিহাস আলোচনায় ‘হুন’দিগের ইতিবৃত্ত প্ৰধান স্থান অধিকার করিয়া থআছে। চন্দ্ৰ-গুপ্ত বিক্রমাদিত্য অশেষ আয়াসে ভারত হইতে যে হুনদিগের উচ্ছেদ-সাধন করিয়াছিলেন, সেই হুন-জাতীয় লুণ্ঠন-ব্যবসায়ীগণ গুপ্ত-বংশেরই রাজত্ব-কালে ভারতে প্ৰবেশ করিতে আরম্ভ করে। কুমার-গুপ্তের রাজত্বের শেষ ভাগ হইতেই তাহারা ভারত আক্রমণে অগ্রসর হয়। পরিশেষে এমন অবস্থা ঘটে যে,-যে গুপ্ত-গণ হুনদিগের মুলোচ্ছেদ করিয়াছিলেন, সেই হুনগণই আবার গুপ্তসাম্রাজ্যের মূলোৎপাটন করে।