পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বিভিন্ন খণ্ড-রাজ্য । \OSa বংশ ১১৯৪ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত কান্তকুজে রাজত্ব করে। তার পর সাহাবুদ্দিন কান্যকুব্জ অধিকার করেন। ১১০৪ খৃষ্টাব্দ হইতে ১১৫৫ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত চন্দ্রদেবের পৌত্র রাজত্ব করেন। গোবিন্দচন্দ্রের রাজত্বকালের প্রায় ৬০ খানা তাম্রশাসন পাওয়া গিয়াছে। অসংখ্য মুদ্রাও সংগৃহীত হইয়াছে। তাহাতে বুঝা যায়,-ক্যান্যকুব্জ অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী ছিল এবং গোবিন্দচন্দ্রের রাজত্বের সীমা বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছিল। গোবিন্দচন্দ্রের পৌত্ৰই বিখ্যাত-জয়চন্দ্ৰ বা জয়চাঁদ । তাহার কন্যা সংযুক্তাকে আজমীরপতি পৃথ্বীরাজ হরণ করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন। সাহাবুদ্ধিন মহম্মদ ঘোরী তাহার রাজ্য আক্রমণ করেন। জয়চন্দ্র পরাজিত হইলে ঘোরী প্রচুর ধনরত্ন লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যান। সেখান হইতেই কান্যকুক্সের স্বাধীনতার লোপ হয়। বহু খোদিত লিপিতে দেখা যায়,-চৌহানবংশীয় বহু রাজা রাজপুতানার মধ্যে শাকম্বরীতে ও আজমীরে রাজত্ব করিয়াছেন । তঁহাদের মধ্যে দুই জন উল্লেখযোগ্য। বিগ্ৰহরাজ ( বিশালদেব )-দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে পিতৃরাজ্য বহুদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত করেন এবং তোমার বংশীয় এক রাজার নিকট হইতে দিল্লী অধিকার করিয়াছিলেন। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে, আজমীরের প্রধান মসজিদ সংস্কারের সময় ছয় খানি কৃষ্ণপ্ৰস্তাবে খোদিত সংস্কৃত ও প্ৰাকৃত ভাষার কতকগুলি শ্লোক পাওয়া গিয়াছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকগণ নির্ণয় কবিয়াছেন, -ঐ শ্লোক-কয়টি কতকগুলি আ প্ৰকাশিত নাটক হইতে উদ্ধত । ঐ সমস্ত নাটকের মধ্যে “ললিত-বিগ্ৰহ-রাজ নাটক’ নামে একখানা নাটক, বিগ্ৰহরাজের সন্মানের জন্য রচিত হইয়াছিল ; এবং অপর খানি হরকালী নামক একজন রাজার রচিত বলিয়া ঐতিহাসিকগণ স্থির করিয়াছেন। পৃথ্বৗবাজ এই বংশের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী রাজা। তিনি সম্বব ও আজমীব রাজ্যের অধীশ্বর হইয়াছিলেন। পৃথ্বীরাজ সম্বন্ধে নানাবিধ গল্প ও গাথা হিন্দি ভাষার প্রচলিত আছে। কনোজকুমারী সংযুক্ত-হরণেই পৃথুিবাজের যশঃজ্যোতি চারিদিকে ছড়াইয়া পড়ে। চান্দেল্লিরাজ পরমালকে জয় করিয়া এবং মুসলমানদিগের কযেকটী আক্রমণ প্রতিরোধ করিয়া, তিনি বীর বলিয়া २Üाठि व्ाiङ कCझन्म । পৃথ্বীরাজ রায় পিথোরা” নামে অভিহিত হইতেন। ১১৮২ খৃষ্টাব্দে তিনি চান্দোলরাজ পরমালকে পরাজিত করিয়া মহোদ’ অধিকার করেন। ১১৯১ খৃষ্টাব্দে মহম্মদ ঘোরী ‘তরাইন’ বা “তলাওয়ারি’ আক্রমণ করে। কিন্তু তাহারা পৃথীবাজের নিকট পরাজিত হয়। ১১৯২ খৃষ্টাব্দে পৃথ্বীরাজ সাহাবুদ্ধিন মহম্মদ ঘোরীর নিকট সম্পূর্ণরূপে পরাজিত হন। মুসলমানেরা তঁহাকে বন্দী করিয়া হত্যা করে এবং তঁহার রাজ্য অধিকার করিয়া লয়। এইরূপে মালবের গৌরব-রবি অস্তমিত হয়। খৃষ্টীয় ১১৯৩-১১৯৪ অব্দ পৰ্য্যন্ত মুসলমানগণ দিল্লী, কান্যকুব্জ প্রভৃতি অধিকার করে। ক্ৰমে কাশীও মুসনমানের পদানত হয়। ১১৯৬ খৃষ্টাব্দে গোয়ালিয়রের পতন হইলে, এবঃ ১১৯৭ খৃষ্টাব্দে গুটরাজ অধিকার ও ১২০৩ খৃষ্টাব্দে কালিঞ্জর বশ্যতা স্বীকার করিলে, সমস্ত উত্তর ভারত মুসলমানের পদানত হয় । 米 米