পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণ-ভারতের বিভিন্ন রাজবংশ । MORA যাহা হউক, মুসলমান লেখকগণ রাষ্ট্রকূটদিগের যে পরিচয় লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, রাষ্ট্ৰকুটদিগের রাজত্বকালে ভারতের বিভিন্নমুখী উন্নতিতে তাহার সার্থকতা উপলব্ধি হয়। 'কৈলাসের’ কারুশিল্প র্যাহাদের কীৰ্ত্তি-স্মৃতি বিঘোযিত করিতেছে, এলোরার গুহা-মন্দির র্যাহাদের শ্রেষ্ঠ কলা-শিল্পের আদর্শের নিদর্শন, ভারতের ইতিহাস। তঁহাদের গৌরব-গাথা প্রচার করিবে, তাহা আর আশ্চৰ্য্য কি ? রাষ্ট্ৰকুট-নৃপতিগণের গৌরবের আর নিদৰ্শন-সংস্কৃত-ভাষার এবং সংস্কৃত-সাহিত্যের উন্নতি পরিপুষ্টি। ফলতঃ, রাষ্ট্রকূটদিগের রাজত্বকালে ভারতের বিভিন্নমুখী উন্নতি-রাজনৈতিক, সমাজ-নৈতিক ও অর্থনৈতিক উৎকর্ষ-তাহার শ্রেষ্ঠত্বের বিষয় বিঘোষিত করিতেছে । 米 木 崇 কল্যাণের চালুক্য-বংশ । [ তৈল কর্তৃক প্ৰতিষ্ঠা ;-সত্যাশ্রয় প্রভৃতি ;-বিক্ৰমাদিত্য ;- পরবর্তী ঘটনা। ;-ধৰ্ম্মে পরিবর্তন । ] চালুক্য-বংশের প্রতিষ্ঠাতা তৈল চব্বিশ বৎসর রাজত্ব করেন। এই সময়ের মধ্যে চালুক্যংশের পূর্বাধিকৃত প্ৰায় সকল অংশেই তিনি অধিকার করিয়াছিলেন। কেবলমাত্ৰ ওজরাট র্তাহার অধিকারে আসে নাই । তৈলের রাজত্বের অধিকাংশ সময় পরমাররাজ মুঞ্জের সহিত যুদ্ধে অবিবাহিত হয়। মুঞ্জ ছয় বার তাহার রাজ্য আক্রমণ করেন । কিন্তু সপ্তম বারে মুঞ্জ পরাজিত ও বন্দী হন । কিছুদিন বন্দী মুঞ্জরাজের সহিত তৈল সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন তিনি জানিতে পারিলেন,-মুঞ্জ গোপনে পলায়নের চেষ্টা করিতেছেন, তখন তৈল বিশেষ রোষান্বিত হন এবং নৃশংসের ন্যায় মুঞ্জরাজকে নিহত করেন । এই ঘটনার দুই বৎসর পরে রাজা তৈলের লোকান্তর হয়। ইতিহাসে তৈল বিশেষ প্ৰতিষ্ঠাসম্পন্ন । 将 来源 米 সত্যাশ্রয় প্রভৃতি । রাজা তৈলের লোকান্তরে পুত্র সত্যাশ্রয় সিংহাসন লাভ করেন। তঁহার রাজত্বকালে ১০০০ খৃষ্টাব্দে চোলরাজ রাজরাজ চালুক্য-রাজ্য আক্রমণ করেন। রাজরাজের বিপুল বাহিনী চালুক্য-রাজের সকল প্রদেশ বিধ্বস্ত করে। নরশোণিত-স্রোতে দেশ প্লাবিত হয়। নগর-গ্ৰাম লুণ্ঠন করিয়া রাজরাজের ছয় লক্ষ সৈন্য নারীহত্যা, শিশুহত্যা এবং ব্ৰহ্মহত্যার তাণ্ডব অভিনয় করে । ১০৫২ খৃষ্টাব্দে, তুঙ্গভদ্রা নদীতীরে, কোপ্লমের যুদ্ধে, চোলরাজ রাজরাজ পরাজিত ও নিহত হন। তখন চালুক্য-বংশের প্রথম সোমেশ্বর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত। তঁহার অপর নামআসবমল্ল । মালবের ধার এবং দক্ষিণাত্যের কাঞ্চী তাহার অধিগত হয়। তিনি চেন্দিরাজ কর্ণকে পরাজিত করেন। ১০৬৮ খৃষ্টাব্দে সোমেশ্বর কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হন। ব্যাধি-যন্ত্রণা এমনই অসহ্য হইয়া