পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Obs ভারতবর্ষ । উঠে যে, পরিশেষে তিনি আত্মহত্যা করিতে বাধ্য হন। কথিত হয়, সোমেশ্বর একদিন লুক্কায়িত ভাবে তুঙ্গভদ্রায় ঝাম্প প্ৰদান করিয়া জীবন বিসর্জন দেন। 米 拳 素 বিক্ৰমাদিত্য । বিক্ৰমাদিত্য-সোমেশ্বরের ত্যক্ত সিংহাসন প্ৰাপ্ত হন। তিনি “ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য’, “বিক্রমাঙ্ক’ ‘বিক্ৰমাৰ্ক’ প্ৰভৃতি নামেও অভিহিত হইতেন। ১০৭৬ খৃষ্টাব্দে ভ্ৰাতা দ্বিতীয় সোমেশ্বরকে সিংহাসনচ্যুত কবিয়া বিক্ৰমাদিত্য সিংহাসন অধিকার করেন। কথিত হয়,-বিক্ৰমাদিত্য কাঞ্চী অধিকার করিয়াছিলেন। মহীশূরের অন্তর্গত ধরসমুদ্রের ‘হৈশল” নৃপতি বিষ্ণুর সহিত তিনি যুদ্ধে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। প্রকাশ-বিষ্ণু এই যুদ্ধে পরাজিত হন। তখন বিক্রমাদিত্য আপনাকে শ্রেষ্ঠ-শক্তি-সম্পন্ন বলিয়া মনে করেন ; এবং তাহার বিজয়-কাহিনীর স্মরণার্থ ১০ ৭৬ খৃষ্টাব্দে নিজ নামে এক অব্দ প্ৰবৰ্ত্তিত করেন। কিন্তু সে অব্দের ব্যবহারের বিষয় গ্ৰন্থ-পত্রে পরিদৃষ্ট হয় না। কল্যাণী বিক্রমাদিত্যের রাজধানী ছিল। নিজাম-রাজ্যের বর্তমান কল্যাণ-সেই কল্যাণীর স্মৃতি বিঘোষিত করিতেছে। প্রথম সোমেশ্বর এই কল্যাণী প্ৰতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । প্ৰকাশ,-“মিতাক্ষরার প্রণেতা বিজ্ঞানেশ্বর এই কল্যাণী রাজধানীতেই অবস্থিতি করিতেন । f 米 পরবত্তী ঘটনা। বিক্রমাঙ্কের লোকাস্তরের পর চালুক্য-বংশের পতনের সূচনা হয়। ১১৫৬-৬২ খৃষ্টাব্দে, তৃতীয় তৈলের রাজত্ব-কালে, তাহার প্রধান সেনাপতি কলচুরি” জাতীয় বিজ্জল বা বিজ্জন বিদ্রোহাচরণ করেন এবং রাজ্য অধিকার কবিয়া বসেন । বিজজুল এবং তঁহার পুত্র ১১৮৩ খৃষ্টাব্দ পৰ্য্যন্ত রাজ্যভোগ করেন। পরে চালুক্য-বংশীয় চতুর্থ সোমেশ্বর নষ্ট-রাজ্যের কিয়দংশ উদ্ধার করিতে সমর্থ হন। কিন্তু চতুর্থ সোমেশ্বর পারিপাশ্বিক শক্তির আক্রমণ প্ৰতিহত করিতে সমর্থ হইলেন না । পশ্চিমে দেবগিরির যাদবগণের এবং দক্ষিণে ধরসমুদ্রের হৈশালগণের পুনঃপুনঃ আক্রমণে চতুর্থ সোমেশ্বর বিধ্বস্ত হইলেন । চালুক্য-রাজ্যের কতকাংশ যাদব-রাজ্যের এবং কতকাংশ হৈশালরাজ্যের অন্তভুক্ত হইল। এইরূপে ১৯৯০ খৃষ্টাব্দে কল্যাণীর চালুক্য-বংশের অবসান হয়। তখন হইতে র্তাহারা ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্র সামন্ত মধ্যে পরিগণিত হন। 兼 ধৰ্ম্মে পরিবর্তন । ১১৫৬-৬২ খৃষ্টাব্দে চালুক্য সেনাপতি বিজজল চালুক্য-রাজ্য অধিকার করিলেও তঁাহার প্ৰভুত্ব অধিক দিন স্থায়ী হয় নাই। ১১৬৭ খৃষ্টাব্দে বিজল স্বেচ্ছায় সিংহাসন পরিত্যাগ করেন। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যেই ভারতের ধৰ্ম্ম-নৈতিক গগনে এক অভাবনীয় পরিবর্তন সংসাধিত হইয়াছিল। এই কয়েক বৎসরের মধ্যে শৈব-ধৰ্ম্ম সুপ্রতিষ্ঠিত হইল -“বীর শৈব অর্থাৎ “লিঙ্গায়ৎ’ শৈব-সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটল ।