পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোমে ভারতের বাণিজ্য । سڑا চনায় প্ৰতিপন্ন হয়,- সে সময়ে লঙ্কার এবং মশলার বহুল প্ৰচলন ছিল। কথিত হয়,-৪০৮ খৃষ্টাব্দে এলেরিক যখন রোমকে বৈদেশিক উপদ্রব হইতে রক্ষা করেন, সে সময়ে তিনি কর-স্বরূপ র্তাহার অংশে তিন সহস্ৰ পাউণ্ড মূল্যের লঙ্কা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। * সে সময়ে একমাত্র মালবারের উপকূলেই প্রচুর পরিমাণে লঙ্কা উৎপন্ন হইত। তখন যে যে বন্দর হইতে লঙ্কা রপ্তানি হইত, ‘পেরিপ্লাস’ গ্রন্থে তাহার উল্লেখ আছে। তাৎকালিক লঙ্কারপ্তানিকারী বন্দর-সমূহের মধ্যে মুজিরিস, টিণ্ডিস, নেলকিন্দা এবং বেকার সর্বপ্রধান। যে সকল জাহাজে লঙ্কাদি রপ্তানি হইত, তাহার আকৃতি-আয়তনও অনেক বড় ছিল। " ঐতিহাসিক মমসেনের গ্রন্থেও ভারতীয় বাণিজ্য প্রসারের যথেষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান। মমসেন ভারতজাত পণ্যের, বিশেষতঃ লঙ্কার ও আদার, বহুল রপ্তানির এবং তাহার মহাৰ্য্যতায় উল্লেখে সোণার ওজনে লঙ্কার ওজনের বিষয়ও লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। ; 蒙 米 米 米 হীরকাদি পণ্য-সম্ভার। মসলাদি ভিন্ন, রোম-সাম্রাজ্যে ভারতজাত বহুমূল্য প্রস্তরাদি (হীরক প্রভৃতি), মণি-মুক্ত। এবং ধাতব পদার্থেরও প্রচুর কাটতি ছিল। প্রস্তরাদির মধ্যে রোমানগণের নিকট পান্না অধিকতর আদরের সামগ্ৰী ছিল। কৈম্বার্টুর জেলার “পদিউর” পান্নার জন্য সবিশেষ প্ৰসিদ্ধি-সম্পন্ন। পদিউর ভিন্ন অন্য কোথাও ঐ ধাতু (পান্না) পাওয়া যাইত না। সালেমেব অন্তর্গত ভানিয়াম্বদি নামক স্থানে সামান্য পরিমাণে পান্না পাওয়া যাইত। কথিত হয়, সেখানে একটা খনি ছিল। বিভিন্ন সময়ের রোমীয় মুদ্রা ঐ সকল স্থানে সচরাচর প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গিয়াছে। তখন ভারতে তিনটী পান্নার খনির পরিচয় পাওয়া যায়। উহাদের একটী পুন্নাটে, একটী পদিউরে বা পাত্তিয়ালিতে এবং অপরটা ভানিয়াম্বাদিতে অবস্থিত ছিল। মহীশূরের দক্ষিণ-পশ্চিমে কাবেরী নদীর শাখা কাব্বেনীর তীরবর্তী। কিন্তুরের সন্নিকটে পুন্নাটের এবং কৈম্বার্টুর সহরের ৪০ মাইল পূর্বে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পদিউর বা পত্তিয়ালীর স্থান নির্দিষ্ট হয়। ১৮২০ খৃষ্টাব্দ পৰ্যন্ত এই খনি হইতে পান্না উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায়। সালেম জেলায় কোলার স্বর্ণখনির অনতিদূরে উত্তর-পূর্ব কোণে ভানিয়াম্বাদি অবস্থিত। পূৰ্বোক্ত খনি-সমূহের চতুঃপাশ্ববৰ্ত্তী ভূভাগে প্রাচীন রোমদেশীয় মুদ্রার বাহুল্য-দর্শনে অনেকে অনুমান করেন,-তখন মণিমাণিক্যের ব্যবসায় বহুলভাবে প্ৰচলিত ছিল । রোমীয়গণ যাহাকে ‘কোরাণ্ডাম’ বলিয়া অভিহিত করিতেন, সেই কোরাণ্ডাম ধাতু সালেম ও কৈম্বার্টুরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাইত। ইউরোপে ঐ ধাতুর এবং তাহার ‘কোরাণ্ডাম’ নামের ৰহুল। ব্যবহার পরিদৃষ্ট হয়। ভারতীয় রত্নাদি যে প্রাচীনকালে ইউরোপীয়গণ প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করিতেন, এতদ্বারা তাহাই সপ্ৰমাণ হয় । arwreswm ܚܝܠ ܐܚܒܚ

  • Gibbon's Decline and Fall of the Roman Empire. t McCrindle’s Ancient Indla, p. 1 a II.

"cift sit tet five first ray Periplus of the Erythraean Sea, Chapter vii, Y,