পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতবর্ষ پواسوا বাণিজ্যে অবনতি । রোম-সম্রাট নীরোর পরলোকগমনের পর কারােকালার অভু্যদয় পৰ্যন্ত সময়ের মধ্যে ভারতীয় বাণিজ্যের অবনতি সঙ্ঘটিত হইয়াছিল। আর সে সময়ে, নীরোর মৃত্যুর পর, বিলাস-দ্রব্যের অর্থাৎ সুগন্ধ-দ্রব্য, মশলা, পিপ্পল প্ৰভৃতির ব্যবসা বন্ধ হইয়া যায়। তখন, কেবলমাত্র নিত্য-ব্যবহাৰ্য্য আবশ্যক-দ্রব্যের অর্থাৎ সুতার ও সুত্ৰ-বস্ত্ৰাদির বাণিজ্য চলিতে থাকে। ভেস্পেসিয়ানের রাজত্বকালে রোমের সামাজিক প্রথার বিবিধ পবিবৰ্ত্তন সাধিত হয় । মেরিভেলের বর্ণনায় প্ৰকাশ,-“তখন প্লেবিয়ান ও প্ৰভিন্সিয়ালাদিগের আচার-নিয়ম এবং সরল জীবনযাপন, উচ্চ শ্রেণীর বিলাস-ব্যসনের অন্তরায় হইয়া পড়ে। সেইজন্যও ভারতীয় বাণিজ্যের কতকটা অবনতি সাধিত হয় । কারােকালার রাজত্ব-কালে, ২১৭ খৃষ্টাব্দের মধ্যে, বহিঃশত্রুর আক্রমণে ও গৃহ-বিবাদে রোমসাম্রাজ্য বিপৰ্য্যস্ত হইয়া পড়ে। তখন বোমাকদিগের আর্থিক অবস্থারও অবনতি ঘটে। তাই ভারতে তাৎকালিক রোমক-মুদ্রার অপ্রাচুর্ঘ্য পরিলক্ষিত হয়। পরে বাইজাণ্টাইন নৃপতিগণের রাজত্বকালে ভারতীয় বাণিজ্য আর একবার উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে থাকে। তখন বহুমূল্য প্রস্তরদি, কার্পাস-বস্ত্র এবং মসলিন প্রভৃতি পূর্বের ন্যায় সমাদৃত না হইলেও পিপ্পল ও সুগন্ধ-দ্রব্য দক্ষিণ ভারত হইতে পূৰ্ব্ব পশ্চিমে সর্বত্র রপ্তানি হইত। এই সময়ে ভারতে দুই প্রকার মুদ্রা দেখিতে পাই। দক্ষিণ ভারতেব মাদুর জেলায়ই তাহার ংখ্যা অধিক। উভয়ই তাম-মুদ্রা। কিন্তু বিশেষত্ব এই যে,-একটী অপরটীি অপেক্ষা আকারে বৃহৎ । বৃহদাকারের তাম্র-মুদ্রাগুলি রোম হইতে আনীত ; আর ক্ষুদ্রাকৃতির মুদ্র রোমীয়গণ কর্তৃক ভারতেই প্ৰস্তুত হইত। সুতরাং বুঝা যায়, তখন ভারতের টাকশাল প্ৰতিষ্ঠান্বিত হইয়াছে। 泰 诛 峰 ভারতের সৈনিক-বিভাগে যবন-সৈন্য । মুদ্রার এই বিশেষত্ব দৃষ্টি পণ্ডিতগণ স্থির করেন,--যখন রোম-সাম্রাজ্য বহিঃশত্রুর আক্রমণে বিধবস্ত হইতেছিল, তখন রোম-সাম্রাজ্যের বাণিজ্য-বিভাগের প্রতিনিধিগণ বাণিজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধির জন্য দক্ষিণ-ভারতের উপকূল-প্রদেশে বাণিজ্য-বন্দর-সমূহে বসবাস আরম্ভ করেন। সেই সুত্রে বহু সংখ্যক যবন বা রোমক সৈন্য ভারতীয় হিন্দু নৃপতিগণের সৈনিক দলে কৰ্ম্ম করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। তামিল-ভাষার গ্ৰন্থ-সমুহে সেই সকল সৈনিকের কাৰ্য্য-দক্ষতার বিবিধ দৃষ্টান্ত বৰ্ত্তমান দেখি। যবন-সৈন্য তামিল রাজগণের শরীর রক্ষক নিযুক্ত হইতেন, ঘবন-দেশের বাণিজ্য-পোত-সমূহ ‘মুজিরিস বন্দরে ভারতীয় পণ্য গ্ৰহণ করিত-এবম্বিধ উক্তিও প্রত্নতত্ত্ববিদগণের গ্ৰন্থ-পত্রে পরিদৃষ্ট হয়। মিষ্টার কনকভাই পিলে তঁহার ‘১৮০০ বৎসর পূর্বের তামিল গ্রন্থে বৈদেশিক সৈন্তের নিয়োগ-সম্বন্ধে যে মন্তব্য প্ৰকাশ করিয়াছেন, এতৎপ্রসঙ্গে তাহ প্ৰণিধানযোগ্য । তাহার গ্রন্থে দেখিতে পাই,-“পাণ্ড্য এবং তামিল রাজগণের সৈনিক বিভাগে রোমক সৈন্য নিযুক্ত হইয়াছিল ; পাণ্ড্য-রাজ “আৰ্য্যপ্লদইকদম্ব-নেজুনঙ্গ চেলিয়ানের’ রাজত্ব-কালে রোমীয় সৈন্যগণ মাদুরার রাজা”