পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ । 肇 সাহিত্যে বাণিজ্য-প্ৰসঙ্গ । [বেদাদিতে বাণিজ্যের কথা ;-প্ৰাচীন-সাহিত্যে 'রোমক”-প্ৰসঙ্গ ;-পালি-গ্রন্থে ‘রোমক? পরিচয় ;-বাণিজ্য-প্রসঙ্গে খাবেবিজ বন্দর ;-ভারতের আলোক-গৃহ, জেটি প্রভৃতি ;-ভারতে বৈদেশিক শিল্পী ;-উপসংহার। ] 米 米 棒 বেদাদিতে বাণিজ্যের কথা । পৃথিবীর এক প্ৰান্ত হইতে অপর প্রান্ত পৰ্যন্ত ভারতের বাণিজ্য প্রভাব বিস্তৃত ছিল, -যেমন মোদ্রিক প্রমাণ হইতে তেমনি বিভিন্ন দেশের প্রাচীন গ্ৰন্থ-পত্ৰ হইতে তাহা সপ্ৰমাণ হয়। বেদে যখন বাণিজ্য-প্রসঙ্গ দেখি, সমুদ্ৰ-যাত্রার বর্ণনা পাঠ করি, তখন দূর অতীতকালে ভারতের বাণিজ্য প্রভাব উপলব্ধ হয়। বেদ-পৃথিবীর আদি। সুতরাং আদিকাল হইতে ভারতবর্ষের বাণিজ্য সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল, বুঝিতে পারি। পুরাণাদি শাস্ত্ৰ-গ্রন্থে ভারতীয় বাণিজ্যের ও বণিকগণের যে পরিচয় বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহাতে বর্তমান কালের অন্ততঃ পাচ সহস্ৰাধিক বৎসর পূর্বের বিবরণ প্রাপ্ত হই। যাহা হউক, সেই দূর অতীতের প্রসঙ্গ পবিত্যাগ করিয়া, আধুনিক প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য জাতির পুরাতত্ত্বের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে যে নিদর্শন প্ৰাপ্ত হই, তাহ প্ৰদৰ্শনের প্রয়াস পাইতেছি। 普 প্ৰাচীন-সাহিত্যে “বোমক’-প্ৰসঙ্গ । ংস্কৃত-ভাষার প্রাচীন সাহিত্যের প্রতি লক্ষ্য করুন ; পালি-ভাষার প্রাচীন গ্ৰন্থ-সমুহের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন; তামিল-ভাষার প্রাচীন কাব্য-সমূহের অভ্যন্তর অনুসন্ধান করুন ; দেখিবেন-সেখানেও সেই স্মৃতি উজ্জ্বল হইয়া আছে ; দেখিবেন-সেখানেও কেমন ভাবে সে কালে ভারতীয় বণিকগণের বাণিজ্যের পরিচয় প্ৰকটিত রহিয়াছে। ংস্কৃত ও তামিল সাহিত্যে ‘রোমক’ শব্দের উল্লেখ বহুত্র দৃষ্ট হয়। পৈতামহ-সিদ্ধান্ত, বাসিন্ঠ্য-সিদ্ধান্ত, সুৰ্য্য-সিদ্ধান্ত, পৌলিস-সিদ্ধান্ত ও রোমক-সিদ্ধান্ত-প্ৰভৃতি জ্যোতিষ-সিদ্ধান্ত গ্রন্থে ‘রোমক’ পদের পুনঃপুনঃ উল্লেখ আছে ৷ ‘রোমক-সিদ্ধান্ত’ নামকরণ রোমকদিগের নামের অনুসারেই হইয়াছিল। ঐ সকল গ্রন্থে রোম কখনও “মহাপুরী” রূপে, কখনও বা “পত্তন” রূপে। কখনও বা ‘বিষয়’ রূপে পরিবর্ণিত হইয়াছে। যথা,- “যমকোটীপুরীলঙ্কা রোমকাঃ সিদ্ধিদাঃ ক্ৰমাৎ ”-বাসিষ্ঠ্য-সিদ্ধান্ত । “পশ্চিমে কেতুমালাখ্যে রোমকাখ্যা প্ৰকীৰ্ত্তিতা ।”-সুৰ্য্য-সিদ্ধান্ত । নপথ্যস্থলে “পঞ্চসিদ্ধান্তিকা” এবং ‘বৃহৎ-সংহিতা’’ গ্রন্থেও ‘রোমক’ পদের উল্লেখ দেখিতে