পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - অষ্টম খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ । J; mo পাশ্চাত্য-সাহিত্যে বাণিজ্য-প্ৰসঙ্গ । [ আগাথারকাইডিসের মন্তব্য ;-প্লিনির কথা, -“পেরিপ্লাস’ ও টলেমি -পেরিপ্লাসের বর্ণনা ; -ভারতীয় বাণিজ্য-বন্দর ; -বাণিজ্য-পথ ; -টলেমির ভূগোল-গ্রন্থে বাণিজ্যপরিচয় ; -কসমাসের সাক্ষ্য ; -উপসংহারে বিবিধ বক্তব্য। ] t 举 臀 আগাথারকাইডিস ও প্লিনি। যেমন প্রাচ্যের সাহিত্যে, তেমনি পাশ্চাত্যের ইতিহাসে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের এক উজ্জল চিত্ৰ প্ৰকটিত রহিয়াছে। ১৭৭ পূর্ব-খৃষ্টাব্দে আগাথারকাইডিস পৃথিবী-বিখ্যাত “আলেকজাদ্রিয়ান লাইব্রেরীর’ সভাপতি ছিলেন। ষ্ট্রাবো, প্লিনি, ডায়ডোরস প্রভৃতি প্ৰসিদ্ধ ঐতিহাসিকগণ, আগাথারকাইডিসের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা প্ৰদৰ্শন করিয়া গিয়াছেন। আগাথারকাইডিসের উক্তিতে সপ্ৰমাণ হয়, তখন সিন্ধুনদ হইতে এবং পাটল হইতে বাণিজ্য পোতসমূহ ইউরোপে যাতায়াত করিত। তখন “সেরিয়া’, এসিয়া ও ইউরোপের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র মধ্যে পরিগণিত ছিল । আগাথারকাইডিস তাহাও উল্লেখ করিয়াছেন। বৈদেশিক বাণিজ্যে তখন ভারতের “একচেটিয়া” অধিকার। তাই তখন “সেরিয়া’ বিশেষ সমৃদ্ধিশালী হইয়া উঠিয়াছিল। বৃহদাকার ভারতীয় বাণিজ্যপোতসমূহ তখন পণ্য-সম্ভার বহন করিয়া আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে উপনীত হইত। আগাথারকাইডিস তাহা প্ৰত্যক্ষ করিয়াছিলেন। ৭৭ খৃষ্টাব্দে ঐতিহাসিক প্লিনির বর্ণনায় ইহা সপ্রমাণ হয়। “প্ৰাকৃতিক ইতিহাস’ সংক্রান্ত গ্ৰন্থ রচনায় তিনি প্রসিদ্ধিসম্পন্ন। তঁহার গ্রন্থে কয়েকটা ভাবতীয় বন্দরের উল্লেখ আছে। ‘তাপ্ৰেবেণ” বন্দরের পরিচয় তঁহারই গ্রন্থে পাওয়া যায় । “তাপ্ৰেবেণ”-প্রত্নতত্ত্ববিদগণের মতে, লঙ্কাদ্বীপেরই নামান্তর। বৈদেশিক বাণিজ্য তখন “তাপ্ৰেবেণ” বন্দরে প্রবলভাবে চলিতেছিল, সে পরিচয় প্লিনির গ্রন্থে বিশেষভাবে উল্লিখিত হইয়াছে। 兼 海 ‘টলেমি’ ও ‘পেরিপ্লাস’ । টলেমির “ভুগোলে’ এবং ‘পেরিপ্লাস’ গ্রন্থে, ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রসঙ্গ বিশেষভাবে উল্লিখিত হইয়াছে। খৃষ্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে ‘পেরিপ্লাস’ গ্ৰন্থ এবং তাহার পর টলেমির “ভূগোল” রচিত হইয়াছিল,-সপ্রমাণ হয়। ‘পেরিপ্লাস’-সামুদ্রিক পথপ্ৰদৰ্শক গ্রন্থবিশেষ। উহাতে বহুদৰ্শী জনৈক নাবিকের লোহিতসাগরের, পারম্ভ উপসাগরের এবং মালবার ও কর