পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । ›�ማ ৰাঙ্গালায় কৃতিত্ব দেীপ্যমান। নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয় যেমন বিশ্ববিশ্রুত, ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অধ্যক্ষ শীলভদ্রের নামও সেইরূপ দেশ-বিখ্যাত। এক সময়ে ভারতবর্ষে—শুধু ভারতবর্ষেই বা বলি কেন, দেশে বিদেশে—শীলভদ্রের সম্মান ও প্রতিষ্ঠার অবধি ছিল না । চৈন-পরিব্রাজক হুয়েন-সাং যখন ভারতবর্ষে আগমন করেন, তিনি শীলভদ্রের মনীষা ও সম্মান-দর্শনে তাহার চরণ চুম্বন করিয়া তাহার চরণে সাষ্টাঙ্গে প্রণত হইয়াছিলেন। শীলमाँव्ज़मींद्र ভদ্রের কর্তৃত্বাধীনে নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয়ে পনর শত দশ জন অধ্যাপক নিযুক্ত ছিলেন এবং দশ সহস্রাধিক ছাত্র ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত হইতেন। পূৰ্ব্বাধ্যক্ষ ধৰ্ম্মপাল নিৰ্ব্বাণ-লাভ করিলে, শীলভদ্র অধ্যক্ষ-পদে প্রতিষ্ঠিত হন। খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগে, পঞ্চাশ বৎসরাধিক-কাল, শীলভদ্র নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ-পদে নিযুক্ত ছিলেন। ঐ বিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ প্রধানতঃ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত হইতেন । প্রথম শ্রেণীর অধ্যাপক দশ জন, পঞ্চাশৎ-বিধ সুত্র-গ্রন্থে ও শাস্ত্রগ্রন্থে অভিজ্ঞ ছিলেন । দ্বিতীয় শ্রেণীর অধ্যাপক পাঁচ শত জন, ত্রিংশ-বিধ সূত্র-গ্রন্থে শাস্ত্রগ্রন্থে পারদর্শিত লাভ করিয়াছিলেন । তৃতীয় শ্রেণীর অধ্যাপক সহস্ৰ জন, বিংশ-বিধ স্থূত্রগ্রন্থে ও শাস্ত্র-গ্রন্থে প্রতিষ্ঠান্বিত ছিলেন। অধ্যক্ষ শীলভদ্র, সৰ্ব্ববিধ স্বত্র-গ্রন্থে ও শাস্ত্র-গ্রন্থে অভিজ্ঞতা লাভ করায়, অধ্যক্ষের প্রধান-পদ প্রাপ্ত হন। স্থয়েন-সাং যখন শীলভদ্রের প্রজ্ঞায় বিমুগ্ধ হইয়। অশ্রুপূর্ণ-লোচনে তাহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন,শীলভদ্রের বয়ঃক্রম তখন ১০৬ বৎসর অতীত হইয়াছিল। সেই নিস্কেশ নিৰ্ব্বিকার মহাত্মার দর্শন-লাভে হুয়েন-সাং যে কি পৰ্য্যস্তু আনন্দলাভ করিয়াছিলেন,তাহার ভ্রমণ-বৃত্তান্তেই তাহ বিবৃত আছে। এইবার একটু অনুসন্ধান করিয়া দেখুন দেখি,—ণীলভদ্র কে ছিলেন এবং কিরূপ প্রতিভা-প্রভাবে নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যক্ষের পদে প্রতিষ্ঠিত হন ? শীলভদ্ৰ—এই বঙ্গদেশেই ব্রাহ্মণ-বংশে জন্মগ্রহণ করেন। স্থয়েন-সাংয়ের বর্ণনায় শীলভদ্র সমতটের অধিবাসী ছিলেন বলিয়া প্রকাশ । সমতটের স্থাননির্দেশে মতান্তর আছে বলিয়া, কেহ তাহাকে বিক্রমপুরের (রামপালের ) অধিবাসী বলিয়া নির্দেশ করেন। কিন্তু আমাদের নিদ্ধারণ-ক্রমে শীলভদ্র নবদ্বীপ বা সমুদ্রগড়ের নিকটবৰ্ত্তী স্থানের অধিবাসী ছিলেন বলিয়াই প্রতিপন্ন হন। বিক্রমপুরেরই হউন, আর নবদ্বীপেরই হউন, শীলভদ্র যে বাঙ্গালী ছিলেন, তদ্বিষয়ে কোনই সংশয় নাই। তবে বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করায় তাহার নাম পরিবর্তিত হইয়াছিল। প্রথমে তিনি ‘দন্তদেব? বলিয়া পরিচিত ছিলেন ; পরিশেষে শীলভদ্র নামে অভিহিত হন। ষোড়শ বর্ষ বয়সে তিনি চতুৰ্ব্বেদে সাঙ্খ্য-দ্যায় প্রভৃতি দর্শন-শাস্ত্রে এবং আয়ুৰ্ব্বেদে পারদশিত লাভ করেন। তাহার পর তিনি নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠান্বিত হন। অল্পদিনের মধ্যেই নালন্দায় তাহার প্রতিভাপ্রতা প্রকাশ পায় ; বিশ্ববিদ্যালয়ের তাৎকালিক অধ্যক্ষ ধৰ্ম্মপাল তাহার পাণ্ডিত্যে মুগ্ধ হন। .n ‘দন্তদেব কি প্রকারে শীলভদ্র নামে অভিহিত হইলেন, তদ্বিষয়ে দম্ভদেবের একটী গল্প আছে। দাক্ষিণাত্যের একজন প্রসিদ্ধ পণ্ডিত, নালন্দার "*" বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষধৰ্ম্মপালের সহিত বিচার করিবার জন্য, মগধ রাজ দরবারে উপস্থিত হন। সেই সময়, ধৰ্ম্মপাল বিচারার্থ মায়ুত হইলে,দস্তুদেব তাহাকে বাধ৷