পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-ৰিভৰ । እግእ একটী রত্ন-মধ্যে পরিগণিত। বাসুদেব সাৰ্ব্বতেীমের চারি জল প্রধান ছাত্রের নাম উল্লেখ করিতেছি। চারি জনের প্রত্যেকেই এক একটা দিকপাল-বিশেষ। প্রথম, রঘুনাথ শিরোমণি ; ইনি নবান্যায়-শাস্ত্রের প্রবর্তয়িত। দ্বিতীয়, রঘুনন্দন ; ইনি বঙ্গদেশBBB DDSBBBBBSBBBBSBBBBB BBBBBS BBBS BBBB BBBBBBBS ইনি বিলুপ্তপ্রায় তান্ত্রিক-মতের প্রতিষ্ঠাতা। চতুর্থ, ক্রীচৈতন্যদেব ; বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রবর্তনায় ইনি যেভাবে ভারতবর্ষকে মাতাইয়া তুলিয়াছিলেন, কাহারও অবিদিত নাই । অধিক বলিতে কি, পরিশেষে বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমও ইহার প্রবর্তৃিত বৈষ্ণব-মন্ত্রেরই অনুবঞ্জী ছন। জীবনের শেষভাগে বাস্থদেব সাৰ্ব্বভৌম ঐক্ষেত্রে গিয়া বাস করিয়াছিলেন । সেখানে তত্ৰত্য নৃপতি গজপতি প্রতাপরুদ্র ( ১৫২ খৃষ্টাব্দে ) তাহার পৃষ্ঠপোষণ করিয়াছিলেন বলিয়া জানিতে পারা যায়। বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌম সাৰ্ব্বভৌম-নিরুক্তি’ নামক ন্যায়-গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ঐ গ্রন্থ এক সময়ে নৈয়ায়িকগণের নিকট সমাদৃত ছিল। ১৪৫৯ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৫২৫ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত বাসুদেবের বিদ্যমান-কাল প্রতিপন্ন হয়। সাৰ্ব্বভৌম যে ভিত্তি-প্রস্তর প্রোথিত করিয়া যান, ছাত্র রঘুনাথ শিরোমণি কর্তৃক তাহার উপর স্ববৃঢ় সুবৃহৎ অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হয়। রঘুনাথ শিরোমণি কিরূপে মিথিলার গৰ্ব্ব খধ্ব করিয়া নবদ্বীপে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, সে বৃত্তান্ত বিশেষ কৌতুহলপ্রদ। রঘুনাথের জীবন-কাহিনী আলোচনা করিলে, সে বিবরণ বিশেষভাবে অবগত হওয়া যাইবে । অম্বুমান ১৪৭৭ খৃষ্টাব্দে নবদ্বীপে রঘুনাথের জন্ম হয়। চারি বৎসর বয়সের সময় রঘুনাথের পিতৃবিয়োগ ঘটে। অতি কষ্ট্রে রঘুনাথের জননী রঘুনাথকে লালন-পালন করিতে থাকেন। সেই সময়ে, রঘুনাথের অভিনব প্রত্যুৎপন্ন-মতিত্বের পরিচয় পাইয়া, তাহার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বুঝিতে পারিয়া, বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌম র্তাহার প্রতিপালনের ভার গ্রহণ করেন। রঘুনাথের জননী একদিন চতুষ্পাঠী হইতে রঘুনাথকে আগুন আনয়ন করিতে বলেন। আগুন আনিবার উপযোগী কোন পাত্র না লইয়াই রঘুনাথ আগুন জানিতে །སོའི་་་་་་་་་། যান। তখন চতুষ্পাঠীর ছাত্রেরা জ্বলন্ত অঙ্গার লইয়া রঘুনাথকে দিতে যায়। রঘুনাথ উঠান হইতে মাটী তুলিয়া লইয়। হাতের উপর রাখিয়া আগুন গ্রহণ করেন। অধ্যাপক বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌম দূর হইতে বালকের এই প্রত্যুৎপন্নধতিত্ব দেথিতে পাইয়াছিলেন। তাহার পরই রঘুনাথ, সাৰ্ব্বভৌমের স্নেহস্কৃষ্টি লাভ করেন। ব্যঞ্জনবর্ণ শিক্ষাদানের সময়েও সাৰ্ব্বভৌম রঘুনাথের প্রতিভার পরিচয় পান। ক, খ পড়িবার সময় রঘুনাথের মনে প্রশ্নের উদয় হয়—‘খ’ বর্ণ অাগে না হইয়া ‘ক’ বর্ণ আগে হইল কেন ? বলা বাহুল্য, বালকের এই প্রশ্নের সমাধানে বাসুদেব সাৰ্ব্বভৌমকে স্বরবিজ্ঞান ও ব্যাকরণ-তত্ত্ব বিশদভাবে বিবৃত করিতে হইয়াছিল। ব্যাকরণ, সাহিত্য, কোষগ্রন্থ, ব্যবহার-বিধি প্রভৃতিতে অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া, বামুদেবের নিকট রঘুনাথ স্থায়শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে আরম্ভ করেন। ন্যায়-শাস্ত্র অধ্যয়নের সময় রঘুনাথ এরূপভাবে জটিল প্রশ্ন সকল উথাপন করিতেন যে, সে সকল প্রশ্নের সমাধানে অধ্যাপক-প্রবরের মস্তিষ্ক DDDD DDD BBBB BBB DDB BBB BBBBB BB BBB BBD DD DBBS