পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন ৰঙ্গেয় গৌরব-বিভব । ›ዓግ खेtt1-भंौन् । भङ्गीा না থাকিলে যেমন প্রাণের অস্তিত্ব অনুভূত হয় না, বর্ণমালা ব্যতীত ভাষারও সেইরূপ অস্তিত্বাভাব ঘটে। ষে জাতির মস্তিষ্কে এই বর্ণমালার কল্পনা প্রথমে প্রতিভাত হইয়াছিল, সে জাতির ধীশক্তির তুলন। হয় না। আমরা পূর্বেই (“পৃথিবীর ইতিহাস” দ্বিতীয় খণ্ডে চতুর্দশ পরিচ্ছেদে ভারতের বর্ণমালা’ প্রসঙ্গে ) প্রতিপন্ন করিয়াছি, ৰৰৱালার বর্ণমালার আদি-উৎপত্তি-স্থান এই বঙ্গদেশ। ফিনিসীয়ায় বলুন, গ্রীসে ు বলুন, মিশরে বলুন, সেবিয়ায় বলুন, বঙ্গীয় বর্ণমালার পূৰ্ব্বে কোথাও কোনও বর্ণমালার উৎপত্তি হয় নাই । উচ্চারণ-হিসাবে বঙ্গীয় বর্ণমালা BBBBSBBB S BBBSBBBBB BBB BBBBS BBBSBBBBB S BBBBSBBB BBB একটা দৃষ্টাস্তের উল্লেখ করি । একটা বঙ্গাক্ষরের নাম—‘ক’, একটর নাম—‘খ’, একটার নাম—“গ”, ইত্যাদি । অন্য দেশের অন্ত বর্ণমালায় উচ্চারণের এমন সহজ পদ্ধতি দেখিতে পাইবেন না । অন্ত ভাষায় এই ‘ক’, ‘খ’ প্রভৃতি বর্ণের উচ্চারণে দুই বা ততোধিক বর্ণের সংযোগ-সাহায্য আবশ্যক হইবে ; আর তাহাতেও ঐ সকল বর্ণের প্রকৃত উচ্চারণ সূচিত হুইবে কি মা-বলা যায় না । ইংরাজী ভাষা আজকাল সৰ্ব্বত্রই প্রচলিত ; সুতরাং ইংরাজী ভাষার বর্ণমালার দৃষ্টাস্তে এ তত্ত্ব বেশ হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে। ভাবিয়া দেখুন দেখি, ক, খ, গ, প্রভূতি এক একটী বর্ণের উচ্চারণে ইংরাজীর কয়ট বর্ণের সাহায্য আবখ্যক হয় ? ইংরাজীর ‘কে’ অক্ষরের পর ‘এ’ যোগ করিলে ঠিক ‘ক’ হয় না ; উহার সহিত আবার 'ডবলিউ যোগ করিয়া কেহ কেহ ‘ক’ বর্ণের উচ্চারণ নিৰ্দ্ধারণ করেন। কিন্তু সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখিতে গেলে, সে নিৰ্দ্ধারণও সমীচীন বলিয়া মনে হয় না । এইরূপ, ‘খ’ বর্ণের উচ্চারণে ইংরাজীর অন্ততঃ তিনটী বর্ণের ( কে, এইচ, এ ) সাহায্য আবশ্যক হয় । ‘গ’ বর্ণ সম্বন্ধেও ঐরূপ একাধিক বর্ণের প্রয়োজন বুঝিতে পারি। তবেই বুঝন, কোন বর্ণমালা সম্পূর্ণ ও স্বাভাবিক ! আবার অন্য পক্ষে আকৃতির বিষয় অনুধাবন করিলেও বুঝা যায়, কতকগুলি সরল-বক্র রেখার সমবায়ে বঙ্গাক্ষর সংগঠিত, সুতরাং উহাই স্বাভাবিক অক্ষর। শাস্ত্রদর্শী হিন্দু অৰশুই অবগত আছেন, এই বঙ্গাক্ষরই তন্ত্রশস্ত্রে বীজ-রূপে পরিকল্পিত হইয়াছে । অধুনা একলিপি-বিস্তারের কল্পনায় একপক্ষ নাগরাক্ষর প্রবর্তনার পক্ষে চেষ্টা পাইতেছেন ; অপর পক্ষ রোমান’ অক্ষর চালাইবার পক্ষে উদ্যোগী হইয়াছেন । কিন্তু কেহ বঙ্গশক্ষরের উপযোগিতা উপলব্ধি করিতেছেন না । বঙ্গীয় বর্ণমালা ভিন্ন অপর কোনও বর্ণমালা, এমন কি নাগরাক্ষর পর্য্যন্ত, সম্পূর্ণ ও স্বাভাবিক নহে। অপিচ, অতি প্রাচীনকালে বঙ্গীর বর্ণমালাই শাস্ত্রগ্রন্থে ও পণ্ডিতগণের লিপি-কার্য্যে ব্যবহৃত হইত। বর্ণমালার দুই একটা বর্ণের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিলেই এ তত্ব হৃদয়ঙ্গম হইতে পারবে । মনে করুন—৯ । এই ১-বর্ণ এক বঙ্গীয় বর্ণমালা ভিন্ন অন্য বর্ণমালায় নাই। নাগরাক্ষরের মধ্যে যদিও অধুনা ১-কার রূপে ব্যবহৃত একটী বর্ণ দেখিতে পাই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহ ১-কার নহে ; খ-ফলান্ত ল-কার ৯-কার-রূপে ব্যবহৃত মাত্র। নাগরাক্ষরে লু ও যাহা, ৯-ও তাহ ; যথা – ৰ, । কিন্তু ১’-কারের ও ‘লর আকার একরূপ হইলে কত গণ্ডগোল ঘটিতে পারে, একটু অনুসন্ধান করিলেই উপলব্ধি হইবে। মাৰ্য্যভট্ট-প্রবর্তিত বীজগণিতের সংখ্যা afી ૨૭