পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ ● १ ভারতবর্ষ। কুঠি প্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সময়ে নবাব সায়েন্ত খ৷ মগ-দিগের সহিত যুদ্ধে বড়ই বিব্রত ছিলেন । * টেভানিয়ারের ভ্রমণ-বৃত্তান্তে ‘বাঙ্গালা’ বলিয়া কোন বন্দরের অস্তিত্ব অনুভূত হয় না। তিনি বাঙ্গাল দেশের রাজধানী বলিয়াই ঢাক-সহরকে পরিচিত করিয়া গিয়াছেন । পুৰ্ব্ববঙ্গে আরও অনেক প্রাচীন বাণিজ্য-স্থান ছিল। কিন্তু তৎসমুদায়ের স্থতি এখন স্নান হইয় পড়িয়াছে । বঙ্গের আর আর বাণিজ্য-স্থানের মধ্যে প্রাচীন গৌড় ও লক্ষ্মণাবতী সমধিক প্রতি -ি সম্পন্ন। গোঁড় যে কতকালের প্রাচীন জনপদ, কতকালের প্রাচীন রাজধানী, তাহ নির্ণয় cशोफू করা যায় না। পৌরাণিক ইতিবৃত্তের বিষয় এখানে উল্লেখ করার আবখ্যক *3 বোধ করি না । পাশ্চাত্য ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিকগণ এই গৌড় লক্ষ্মণাবতী । রাজধানীর প্রাচীন ই-বিষয়ে য{হ। লিখিয়া গিয়াছেন, তাহাতেই খৃষ্ট জন্মের সাত শতাধিক বৎসর পুৰ্ব্বে গৌড় যে বাঙ্গালার রাজধানী ছিল—প্রতিপন্ন হয় । মেজর রেনেল, হিন্দু-স্থানের মানচিত্র-প্রকাশে পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে প্রথম যশস্বী হন । তাহার সেই মানচিত্র-সংশ্লিষ্ট মন্তব্যে গৌড়-সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে —‘গৌড় বাঙ্গালার প্রাচীন রাজধানী । উহ। লক্ষ্মণাবতী নামেও পরিচিত হয়। টলেমি গৌড়কেই ‘গেঞ্জিয়া রেজিয়া’ ( Gengia regia ) নামে অভিহিত করিয়াছেন—অষ্ণুমান হয়। এই নগর গঙ্গার পূর্ব তীরে রাজমহলের প্রায় পঁচিশ মাইল নিয়ে (দক্ষিণে ) অবস্থিত। খৃষ্ট জন্মের ৭৩০ বৎসর পূৰ্ব্বে এই গৌড় নগর বাঙ্গালার রাজধানী ছিল। চমায়ুন বাদশাহ এই নগরের জীর্ণসংস্কার করিয়া ইহাকে নূতন সৌন্দর্য্যে ভূষিত করেন। তৎকর্তৃক এই নগর জেরুতিয়াবাদ' নামে পরিচিত হয়। এই নগর যে সরকার’ বা বিভাগ ভুক্ত ছিল, তাহার কতকাংশ অদ্যাপি জে তিয়াবাদ' নামে পরিচিত হইয়া থাকে। ফেরিস্তা বলেন,— এই নগরের জলবায়ু অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় এই নগর অল্পদিন পরেই পরিত্যক্ত হইয়াছিল। তখন গঙ্গর কয়েক মাইল উজানে "তাও বা তাড়া নগরে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। গঙ্গাতীর হইতে প্রাচীন গৌড়ের কোন অংশই এখন সাড়ে চারি মাইলের কম দূরবী নহে। কোনও কোনও অংশ – পূৰ্ব্বে যাহ। গঙ্গার স্রোতে নিত্য-বিধৌত হইত—এক্ষণে বার মাইল দূরবর্তী হইয়াছে। তবে গঙ্গার সহিত সংশুবযুক্ত যে একটী ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী এক্ষণে গৌড়ের পশ্চিম পার্শ্ব দিয়া প্রবাহিত হইতেছে, বর্ষাকালে তদ্বারা নৌকা চলাচল করে। গৌড়ের সীমানার পূর্ব পার্থে,কোন কোন স্থানে,দুই মাইলের মধ্যে মহানন্দ নদী প্রবাহিত। এই নদী গঙ্গার সহিত সংযুক্ত এবং ইহাতে বার মাস নৌকা-চলাচল করে । বিশেষ বিবেচনা করিয়া পরিমাণ নিৰ্দ্ধারণ করিলেও, গৌড়ের ধ্বংসাবশেষের দৈর্ঘ্য (গঙ্গার পুরাতন তটে প্রসারিত ) পনের মাইলের কম ছিল মা ; প্রস্ত দুই তিন মাইল ছিল । কতকগুলি পল্লী এখনও গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ মধ্যে বিদ্যমান আছে ; অবশিষ্ট সমস্তই গভীর অরণ্যে পরিণত হইয়াছে, ব্যাঘ্ৰাদি শ্বাপদের আবাসভূমি হইয়া দাড়াইয়াছে। কোনও কোনও অংশ বা ইষ্টকটুর্ণ স্মৃত্তিক-পূর্ণ কৃষিক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে। ধ্বংসাবশেষ মধ্যে বহুকারুকার্যা-সমন্বিত Wide Tevernier's Travels in India (Bangabasi edition) Book 1, Chap, viii.,