পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । ২৯৩ কৃষ্ণমর্শ্বরপ্রস্তর-নিৰ্ম্মিত একটা মসজিদ এবং প্রাচীন দুর্গের দুইটী বিশাল অত্যুচ্চ সিংহদ্বার দর্শকের বিস্ময় উৎপাদন করিতেছে। এই কয়ট এবং আরও কয়েকটি ইমারত যে এতকাল বিদ্যমান রহিয়াছে, তাহার প্রধান কারণ-নিৰ্ম্মাণোপকরণসমূহের গুণ । ঐ সকল উপকরণ সচরাচর বাজারে বিক্রীত হয় না এবং সাধারণ ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত ইমারতের ন্যায় সহজে ভাঙ্গিয়া ফেলাও যায় না। যাহ। হউক, গৌড়ের ভগ্নাবশেষ সামান্য সামাঙ্ক ইষ্টকালয়গুলিকে ভাঙ্গিয়া এখন বাজারে বিক্রয় করা হইতেছে এবং মালদহ মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি স্থানে অট্টালিকাদি নিৰ্ম্মাণের জন্য চালান যাইতেছে । আমি এ পর্য্যন্ত যত প্রকার ইষ্টক দেখিয়াছি, তন্মধ্যে গৌড়েল ইষ্টকগুলি সৰ্ব্বাপেক্ষ দৃঢ়গঠিত। বহু যুগ হইতে উহার প্রান্তভাগের সূক্ষ্মতা ও গাত্রের মস্থণতা কি মুন্দরভাবে অব্যাহত রহিয়াছে ! বঙ্গ ও বিহার, উভয় প্রদেশের সম্মিলিত রাজ্যের অতি উপযোগী স্থান দেখিয়াই গৌড় নগরের প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। উভয় প্রদেশের বহুজনাকীর্ণ অংশের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে, ঐ নগর তৎকেন্দ্র-গত স্থান ছিল বলিয়াই উপলব্ধি হয় । বঙ্গ ও বিহারের অধিকাংশ স্থানে নৌ-যানে গমনাগমন সুবিধাজনক । প্রধান প্রধান নদীর সঙ্গম-স্থলে গৌড় রাজধানী প্রতিষ্ঠিত থাকায় সৰ্ব্বত্রই গতিবিধির সুবিধা ছিল । যেদিক হইতে বঙ্গদেশ আক্রমণের আশঙ্ক, গঙ্গ ও অপরাপর স্রে তস্বতী সে সকল দিকে যেন রক্ষ। করিয়। বিরাজমান ছিল । * ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে মেজর রেনেল গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ দেখিয় তাহার এই বর্ণনা লিখিয়। গিয়াছেন । এই বর্ণনায়, গৌড়ের প্রাচীনত্ব, প্রভাব-প্রতিপত্তি, বাণিজ্য-সমৃদ্ধি সকল পরিচয়ই প্রাপ্ত হই। নদীতীরে দৈর্ঘ্যে পনের মাইল বিস্তৃত সহরের বাণিজ্য-প্রভাব: স্বতঃই উপলব্ধি হয় না কি ? রেনেল নদীর একধারে সহর ছিল বলিয। উল্লেখ করিয়া, গিয়াছেন । কিন্তু বাঙ্গালার ভূতপূৰ্ব্ব সারভেয়ার-জেনারেল কর্ণেল কোলব্রুক এবং মিষ্টার, উইলফোর্ড বলেন,—‘গৌড় নগরের মধ্য দিয়াই পূৰ্ব্বে গঙ্গা প্রবাহিতা ছিলেন । ‘তবকাত মশেরী' গ্রন্থের রচয়িত। মেনুতাজউদ্দিন ১২৪৩-১২৪৪ খৃষ্টাব্দে গৌড় নগরে বসিয়া যে গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, তাহাতেও এই বিবরণ অবগত হওয়া যায় ? f হিন্দু-রাজত্ব-কালে, গৌড়ের বাণিজ্য-বিভব কিরূপ বিস্তৃত ছিল, সে পরিচয় এ দেশের ইতিহাসে মিলিতে ৰ? পারে ; কিন্তু প্রাচ্যে চীনে ও পাশ্চাত্যে নানাস্থানে সে পরিচয আজিও মানভাবে বিদ্যমান্নআছে । { মুসলমানগণের প্রাদুর্ভাব-কালে গৌড়ের বাণিজ্য একদিকে তুরস্কে, অন্ত, দিকে চীনদেশে যে বিশেষভাবে বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল, তাহার উজ্জ্বল নিদর্শন বিদ্যমান রহিয়াছে। ১২০২ খৃষ্টাব্দে মুসলমানগণ গৌড় বা লক্ষ্মণাবতী অধিকার করিয়াছিলেন বলিয়া। প্রচার । ১২১২ হইতে ১২২৭ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ‘গয়েস উদ্দিন ইয়জ লক্ষ্মণাবতী রাজধানীতে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। বোগদাদের কালিফের সহিত তিনি সম্বন্ধ-সংশ্রব রাথিয়াছিলেন। তখন গৌড় রাজধানী হইতে গঙ্গর মোহান দিয়া সমুদ্র-পথে বসোরা ৰন্দরে পণ্যবাহী পোত Major Rennell's Memoir of a Map of IIindoostan. vae Stewart's History of Bcngal, Sec. 1 11. and Asiatic Researches, Vol, vut. ऋक्रङ्ग प्ले"निएक्षण अङ्घकिन्न वनtत्र 4ठबिबझ4 झट्टेक् ।