পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । &sóግ পাতমূলীধুৰরিতদিগন্তরালাং পরমেশ্বরসেবা সমাগতাশেষজম্বুদ্বীপভূপালানন্ত BBBBBBBBB BBBBBBBBBBBBBBBBBB BBDBBBBBS BBBS সৌগতোমহারাজাধিরাজঃ শ্রীরামপালদেবপাদানুধ্যাতঃ পরমেশ্বরঃ পরমভট্টারকো মহারাজাধিরাজঃ শ্ৰীমন্মদনপালদেবঃ কুশলী।" ধৰ্ম্মপাল-দেব-প্রদত্ত পূৰ্ব্বোন্ধুত দানপত্রে যে নৌবল-বাহুবলের পরিচয় প্রাপ্ত হই, এই তাম্রশাসনেই সেই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। যেমন পাটলিপুত্র-নগরে নৌবাহিনীর সাহায্যে পথ অবরুদ্ধ হইয়াছিল, এখানেও শৈল-শৃঙ্গবৎ নৌবাটক সাহায্যে সেইরূপ শক্রর পথ অবরুদ্ধ ছিল। কুমারপাল-পাল-বংশীয় পঞ্চদশ নৃপতি বলিয়া অভিহিত হন। তাহার সেনাপতি বৈদ্ধদেব কর্তৃক একখানি তাম্রশাসনে ভূখণ্ড-দানের বিষয় লিখিত আছে। সেই তাম্রশাসনে প্রকাশ,—বৈদ্যদেব দক্ষিণ-বঙ্গ অধিকার করিতে গিয়াছিলেন । র্তাহার সঙ্গে বহু গজারোহী সৈন্য গমন করে। দক্ষিণ-বঙ্গের নোেবল প্রথমে তাহার সৈন্যদলকে বিপৰ্য্যস্ত করিয়াছিল ; পরিশেষে তিনি জয়যুক্ত হন। তাম্রফলকে তাহার সেই দক্ষিণ-বঙ্গ অধিকারের বিবরণ এইরূপভাবে লিখিত আছে,— “যন্তামুত্তরবঙ্গবিজয়ে নৌবাটহোহোরবত্রস্তৈর্দিকুকরিভিশ্চ যন্ন চলিতং চেন্নাস্তি তদ্‌গম্যভূঃ। কিঞ্চোৎপাতুককে নিপাতপতনপ্রোৎসর্পিতৈঃ শীকরৈরণকাশে স্থিরতা কৃত। যদি ভবেৎ স্তান্নিস্কলঙ্ক শশী ॥ " * পাল-বংশের প্রদত্ত তাম্রশাসনে যে পরিচয় প্রাপ্ত হই, সেন-বংশের তাম্রশাসন-সমূহেও সেই পরিচয় দেদীপ্যমান। রাজসাহী-জেলার দেওপাড়া গ্রামে, সেন-বংশীয় নৃপতি বিজয়-সেনের একখানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে। বিজয়-সেন একাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বিদ্যমান ছিলেন । র্তাহার নৌ-বাহিনী পশ্চিমাভিমুখে অগ্রসর হইয়া, গঙ্গানদীর উপকূলস্থিত সমস্ত দেশে তাহার বিজয়-পতাকা উড্ডীন করিয়াছিল। প্রস্তর-খণ্ডে খোদিত লিপিতে সংস্কৃত ভাষায় f সে বিবরণ এইরূপ পরিবর্ণিত আছে ;--- “পাশ্চাত্যচক্রজয়কেলিযু যন্ত যাবদগঙ্গাপ্রবাহমকুধাবতি নৌবিতানে । ভগস্ত মৌলিসরীদম্ভসি ভক্ষপঙ্কলগ নোজিতেব তরিরিন্দুকলাচকাস্তি ॥” বিজয়সেনের পুত্র ও উত্তরাধিকারী রাজা বল্লালসেনের একখানি তাম্রশাসন সম্প্রতি আবিষ্কৃত হইয়াছে । যে সকল সম্রাস্ত ও পদস্থ বাক্তির সমক্ষে দান প্রদত্ত হইয়াছিল, সেই তাম্রশাসনে তাহাদের পরিচয় লিখিত আছে। তাহাদের মধ্যে নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধায়ক “নেবলব্যাপৃতক’ নামে পরিচিত হইয়াছেন। ঐ রাজা লক্ষ্মণ-সেনের এবং তৎপুত্ৰ রাজা বিশ্বরূপ-সেনের প্রদত্ত চারিখানি তাম্রশাসন অধুনা আবিষ্কৃত হইয়াছে। লক্ষণসেনের প্রদত্ত তাম্রশাসন দুইখানির একখানি দিনাজপুর-জেলায় তৰ্পণদীঘির সন্নিকটে ও অল্পখানি রাজসাহী-জেলায় মাৰাইনগর গ্রামে পাওয়া যায় । বিশ্বরূপ-সেনের তাম্রশাসন • Epigraphia Indica, Vol. 11, article on the Copper Plate Grant o^ Waidyadeva by Arthur Venis, M, A. + Epigraphia Indica, Vol. I, article on the Deopara Stone înscription of Vijayasena by Dr. F. Kielhorn, Ph. D.

  • সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকার সপ্তদশ খণ্ডে এই তাম্রশাসনের প্রতিলিপি প্রকাশিত হইয়াছে।