পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন বঙ্গের গৌরব-বিভব । २ ¢ s গ্রহণ করেন। তাহাতে দয়ারাম রায়ের পরিচালিত নাটোরের সৈন্যদলের কৌশলে সীতারাম সমূলে উৎপাটিত হন। এই যুদ্ধে, জয়-পরাজয়ে, উভয়ত্রই বাঙ্গালীর বীরত্ব বিঘোষিত । বাঙ্গালার পূর্বতন ইতিহাসে বাঙ্গালীর এবম্বিধ বীরত্বের বহু বিবরণ অনুসন্ধান করিয়া পাওয়া যায়। কাহাকে রাখিয়া কাহার পরিচয় ঘোষণা করিব ? বিক্রমপুরের অন্তর্গত শ্ৰীপুরের রাজ চাদরায়, চন্দ্রদ্বীপের দনৌজামাধব বা দনুজমর্দনের উত্তরাধিকারী কন্দপনারায়ণ, ফতেহাবাদ ও ভূষণা-পরগণার মুকুন্দরাম রায়, ভুলু্যার লক্ষ্মণমাণিক্য— ইহার। সকলেই ভৌমিক’-আখ্যায় অভিহিত এবং বীর বলিয়া পরিচিত ছিলেন । রাজা চাদরায় আপন বাহুবলে বিক্রমপুরের রাজধানী হইতে সন্দ্বীপ পর্য্যন্ত আপনার অধিকার বিস্তার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । র্তাহার সেই প্রভাবের নিদর্শন—ৰ্তাহার s, । প্রদত্ত ব্রহ্মোত্তর, রাজাবাড়ীর মঠ প্রভৃতি দেবালয় ও বিভিন্ন স্থানের কন্দপনারায়ণ শিব-মন্দিরাদিতে আজিও বিদ্যমান রহিয়াছে । কন্দপনারায়ণের প্রসিদ্ধি o প্রভৃতি । দেশে-বিদেশে পরিকীৰ্ত্তিত। রাল্ফ ক্ৰীচ, ১৫৮৬ খৃষ্টাব্দে, কন্দপনারায়ণের রাজধানীতে উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং র্তাহাব প্রতিপত্তির বিষয় প্রত্যক্ষ করিয়াছিলেন । রাজ কন্দপনারায়ণের বহুসংখ্যক সমর-পোত ছিল। র্তাহার ব্যবহৃত পিত্তলের একটা বৃহৎ কামান আজিও তাহার রাজধানীতে দৃষ্ট হয়। ঐ কামানে কন্দপনারায়ণের নাম ও ৩৮৮ অব্দ খোদিত অাছে। প্রতাপাদিত্যের প্রতিযোগী পূৰ্ব্বোক্ত রামচন্দ্র রায়—এই কন্দপনারায়ণেরই পুত্র । ফরিদপুরের নিকটে পদ্মার পরপারে চরমুকুন্দিয়া পল্লী—মুকুন্দরায়ের প্রভাবের বিষয় আজিও স্মরণ করাইয়া দেয়। মুকুন্দরায়, মুরাদর্থ-পরিচালিত মোগল-সৈন্তের বিরুদ্ধে অন্ত্ৰধারণ করিয়াছিলেন। মুরাদ খা —মুকুন্দ রায়ের হস্তে নিহত হন। ১৫৭৫ খৃষ্টাব্দে মুকুন্দরায়ের এই বীরত্ব প্রকাশ পাইয়াছিল। ‘আকবরনামা’ প্রভৃতি গ্রন্থে মুকুন্দরায়ের বীরত্বের কথা লিপিবদ্ধ আছে। লক্ষ্মণমাণিক্য—নোয়াখালী-জেলার ভুলুয়া-পরগণার ভূম্যধিকারী ছিলেন। তিনি মেঘনা-নদীর পূর্ব-তীর পর্য্যন্ত আপনার আধিপত্য বিস্তার করিতে সমর্থ হন। বর্তমান নারায়ণগঞ্জের উত্তরে, ক্রোশেক ব্যবধান মধ্যে, খিজিরপুর নামে এক পল্লী পরিদৃষ্ট হয়। ঐ পল্পী ঈশা খার ক্রীড়াভূমি ছিল। পরিশেষে তিনি স্ববর্ণগ্রামে রাজধানী স্থাপন করেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে তাহার দুর্গ-সমূহ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। আসাম-প্রদেশের রাঙ্গামাটীতে, নারায়ণগঞ্জের পরপারে ত্রিবেণীতে এবং ব্রহ্মপুত্রের লক্ষণশাখামূলে এগারসিন্ধুতে—র্তাহার দুর্গের পরিচয়-চিহ্ন আজিও পরিলক্ষিত হয়। ১৫৮৩ খৃষ্টাব্দে রালফ ফীচ সুবর্ণগ্রামে গিয়া ঈশা খার প্রভাব লক্ষ্য করেন। ফাঁচের ঈশ স্ব। বর্ণনায় প্রকাশ,—‘এক সময় সমগ্র পূর্ববঙ্গে ঈশা খার প্রাধান্য বিস্তৃত - হইয়া পড়িয়াছিল। ঈশা খা খৃষ্টানদিগকে বড়ই সমাদর করিতেন । দিল্লীর বাদসাহের প্রাধান্ত স্বীকার না করায়, ঈশা খার বিরুদ্ধে মোগল-সম্রাটের সৈন্যদল প্রেরিত হইয়াছিল। ১৫৮৫ খৃষ্টাব্দে মোগল-সেনাপতি সাহাবাজখী ঈশা খার রাজ্য অাকমণ করেন। যুদ্ধে ঈশা খাঁ বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করিয়াছিলেন। তাহাতে পরাজিত হইয়।