পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/২৯০

ভারতবর্ষ । 8 سb& ছুইটী খোকে কালিদাসের ও প্রবরসেনের নাম আছে বটে, কিন্তু তাহাতে দুই জনষ্টে সমসাময়িক কবি বলিয়া উল্লেখ নাই । কাশ্মীরের প্রবরুসেন ও একজম কবি ছিলেন এবং কালিদাসও একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন,—কবিতা-পংক্তিদ্বয়ে ইহাই মাত্র বুঝিতে পার। যায়। তৃতীয়তঃ, অধ্যাপক ম্যাক্সমুলার ‘যামিত্র' শব্দ লইয়া যে বিতর্ক উত্থাপন করিয়াছেন, তাহা একান্তই ভিত্তিহীন । অতি প্রাচীনকাল হইতে ভারতবর্ষ জ্যোতিষ-শাস্ত্রের আলোচনায় প্রসিদ্ধি-সম্পন্ন। ভারতবর্ষে জ্যোতিষ-শাস্ত্রের ক্ষুৰ্ত্তির পূৰ্ব্বে পৃথিবীর কোনও দেশের জ্যোতিষBSBB BBBSBBB BBBSB BB BBBS BB BS BBBBSBBBBB BBBB BBB ভারতবর্ষের নিকট ঋণী, কিন্তু ভারতবর্ষ কখনই গ্রীসের নিকট ঋণী হইতে পারে না । অতএব, ম্যাক্সমুলারের এ যুক্তির কোনই মূল্য নাই । চতুর্থতঃ, হুন-জাতির উল্লেখ । ছনগণ খৃষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে ভারতবর্ষে পরাক্রমশালী হইয়াছিলেন, সুতরাং কবি র্তাহীদের আদর্শ চক্ষের সমক্ষে রাখিয়া রঘুবংশ কাব্য প্রণয়ণ করেন,—ইহাও এক হাস্যকর যুক্তি। ভারতের সহিত স্থনগণের কত দিনের সম্বন্ধ, তাহা নির্ণয় করা যায় না। আচারভ্রষ্ট যে সকল ক্ষত্রিয় ভারতবর্ষ হইতে বিতাড়িত হন, হুনগণ র্তাহীদের অন্যতম । মন্ত্ৰাদি সংহিতায় এবং পুরাণপরম্পরায় তাহার উল্লেখ আছে। খৃষ্টীয় প্রথম শতাব্দীর প্রারস্তে স্থনগণের গতিবিধি ছিল— এবম্বিধ প্রমাণের অসদ্ভাব নাই । যে রামায়ণের অাদর্শ চরিত্র গ্রহণে কালিদাস রঘুবংশ মহাকাব্য রচনা করিয়াছেন, সে রামায়ণেও ছন-গণের উল্লেখ আছে। কুরুপণ্ডিবের যুদ্ধকালে মহাভারতে হুন-জাতির বিষয় দেখিতে পাই। সুতরাং ষষ্ঠ শতাব্দীতে ছনগণকে দেখিয়! মহাকবি কালিদাস অাপন কাব্য-মধ্যে ছনগণের বর্ণনা সন্নিবেশ করিয়াছেন, ইহা কোনক্রমেই মনে করা যায় না । পৃথিবীর ছায়াপাতে চন্দ্রের কলঙ্ক সম্বন্ধে রঘুবংশের বর্ণনা,— “অবৈমি চৈনামনঘেতি কিন্তু লোকাপবাদে বলবান মতে মে। ছায়া হি ভূমেঃ শশিনে মলত্বেনারোপিতা শুদ্ধিমতঃ প্রজাতিঃ ।” এই শ্লোকের দ্বিবিধ অর্থ নিম্পন্ন করা হইয়া থাকে । কেহ বলেন,—এই শ্লোকে চন্দ্রগ্রহণের উপমা দেওয়া হইয়াছে ; কেহ বলেন,—চঞ্জের উপরিস্থিত কৃষ্ণবর্ণ চিহ্নসকলকে বুঝাইয়। থাকে। আমরা কিন্তু গ্রহণের বিষয়ই বুঝিতে পারি। সীতাদেবীর চরিত্র নির্গল বটে ; কিন্তু প্রবল লোকাপবাদে তাহাকে আচ্ছন্ন করিয়াছে। এই কথা বলিবার উদ্দেশ্রে কঞ্চি উপমা দিয়াছেন,-চন্দ্র শুভ্র নিষ্কলঙ্ক বটে ; কিন্তু পৃথিবীর ছায়া চঞ্জের উপর পড়িঙ্গে তাহা কলঙ্কযুক্ত হয়। এ উপমায় গ্রহণকালের অবস্থাই মনে পড়ে। গ্রহণকালেই পৃথিবীর ছায়া চক্সের উপর পতিত হয । মল্লিনাথের টীকায় যদিও গ্রহণ শব্দ নাই ; কিন্তু ছায়াপাত-জনিত কলঙ্কের উল্লেখ থাকায় গ্রহণের অবস্থার বিষয়ই বুঝা যায়। মল্লিনাথ লিখিয়াছেন,-“কুতঃ হি যক্ষাৎ প্রজাতিঃ ভূমেশায় প্রতিবিম্বং শুদ্ধিমতে নিৰ্ম্মলগু শশিনে মলগ্ৰেম কলঙ্কত্বেন আরোপিত।” ইহাতে, পৃথিবীর ছায়াজনিত কলঙ্কই বুক যাইতেছে ; চন্দ্রমণ্ডলস্থিত কাল দাগ কিছুতেই বুঝায় না । এই শ্লোকের আলোচনায়, BBBB BBBBS BBBS BBBS BBBB BBB BB BBB BBBSSSBBBBtt TD B BBB বিষয় বিশেষভাবে জালোচিত হইয়াছে ।