পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । \రిల বালা-জীবন। নাটকের সহিত অবশ্য ইহার কোনও সম্বন্ধ নাই। নাটকায়স্ত— শকুন্তলার যৌবনোন্মেষের সময় হইতে । শকুন্তলা সখীগণ-সহ উদ্যানে জলসেচন করিতেছেন, কুস্য-শোভা-সম্প্রদর্শনে মুগ্ধ হইয়া আছেন ; সহসা মৃগয়া-উপলক্ষে রাজা কুষ্মন্ত সেখানে উপস্থিত হইলেন। রাজাব দৃষ্টি শকুন্তলার প্রতি পতিত হওয়ায় তিনি অলক্ষ্যে থাকিয়া সেই রূপ মাধুরী দর্শন করিতে লাগিলেন। তখন তাহার মনে হইল,-"এই স্বভাব-সুন্দরীকে ঋষি কেন কঠোর তপস্ত-কার্য্যে ব্ৰতী করিলেন ? শকুন্তলার বিষয় চিন্তা করিতে করিতে রাজা যখন অলক্ষ্যে অবস্থিতি করিতেছিলেন, সেই সময়ে, পরিধেয় বন্ধল কটিদেশে দৃঢ়-সম্বদ্ধ-হেতু শকুন্তলা কষ্ট অনুভব করিয়াছিলেন। সখী অনস্বয়া শকুন্তলার পরিধান-বস্কল শিথিল করিয়া দিয়া হাসিতে হাসিতে কহিলেন,— “বহুল আঁটিয়া বাধা হয় নাই । তোমার পয়োধর-বিস্তাব হেতুই ঐৰূপ বোধ হইতেছে।” এই সময় রাজা দুষ্মন্তের মনে অভিনব চিন্তার উদয় হইল। তিনি একবার ভাবিলেন,— ‘বস্কল-আচ্ছাদনে এ দেহের কমনীয়তা বিলুপ্ত হইতেছে ;–পাণ্ডুবৰ্ণ পত্রের মধ্যস্থিত কুসুমের স্তায় আপনার কান্তির পুষ্টিতা-সাধনে সমর্থ হইতেছে না। কিন্তু পরক্ষণেই মনে মনে কহিলেন,—ন, তা নয়। বল্কল অযোগ্য হইলেও উহাতে শোভার হানি কিছুই হয় নাই। শৈবাল-সংযুক্ত সরোজের মনোহারিস্ক কবে না প্রত্যক্ষীভূত ! হিমাংশুর চিহ্নমলিন সরোজও শোভান্বিত। আকৃতি মধুর হইলে, সকল ভূষণই স্বন্দর দেখায়। যথা— “সরসিজমকুবিদ্ধং শৈবালেনাপি রম্যং মলিনমপি হিমাংশোলঙ্ক লক্ষ্মীং তনোতি। ইয়মধিকমনোজ্ঞা বন্ধলেনাপি তন্ত্রী কিমিবহি মধুরাণাং মণ্ডনং নাকৃতীনাম ॥” শকুন্তলা জলসেচন-কালে সখীদ্বয়ের সহিত যতই কথাবাৰ্ত্ত কহিতে লাগিলেন ; রাজ্য দুষ্মন্ত র্তাহার রূপে ও স্বরে ততই মাধুর্য্য অনুভব কপিতে লাগিলেন । ইতিমধ্যে কুসুমমধুপান-প্ৰমত্ত এক মধুকর শকুন্তলার মুখ-কমলের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া, তাহাকে ব্যাকুল করিয়া তুলিল। দুষ্মন্ত এইবার আত্ম-প্রকাশের অবসর পাইলেন। যেন মধুকরকে প্রতিনিবৃত্ত করিবার উদ্দেশ্যে শকুন্তলার সম্মুখীন হইয়া কহিলেন,—“কঃ পৌরবে বসুমতীং শাসতি শাসিতরি দুৰ্ব্বিনীতানাম। অয়মাচরত্যবিনয়ং মুগ্ধামু তপস্বিকাসু ॥” “দুৰ্ব্বলের সহায় পুরুবংশীয় রাজার শাসনকালে অবলা সরলা তপস্বিকস্তার প্রতি কে দুই-আচরণ করিতেছে ?? রাজা যেন তাহার শাসনের জন্য সম্মুখীন হইলেন। শকুন্তলা প্রভৃতি রাজাকে সম্বৰ্দ্ধনা করিলেন । পরিচয়াদির পর রাজা দুষ্মন্ত কশ্ব-মুনির আশ্রমে অতিথি হইলেন। শকুন্তলার মনে অভিনব অননুভূত ভাবের উদ্রেক হইল। সেই সময়ে রাজা Thus translated by Mr. E. B. Eastwick — “Wouldst thou the young year's blossoms and the fruits of its decline, And all by which the soul is charmed, enraptured, feasted, fed, Wouldst thou the earlh, and heaven itself in one sole name combine ! I name thee, O Sakuntala 1 and all at once said." Viae Aufrecht ( Theodor) Catalogus Catalogorum, An Alphabetical Register of Sanskrit Works and Authors, Leipzig, 1891,