পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 శి ভারতবর্ষ। অষ্টাত্রিংশ প্লোকে বসন্ত-বর্ণনের পরিসমাপ্তি দেখি। প্রথমোক্ত সংস্করণের শেষ শ্লোক,— “আশ্ৰীমথুলমঞ্জরীবরশর সংকিস্তকং যন্ধমু জ্যায়স্তালিকুলং কলঙ্করহিতং ছত্ৰং সিতাংগুঃ সিতঙ্গ। মত্তেভো মলয়ানিলঃ পরভৃতে যদ্বন্দিনে লোকজিৎ সোহয়ং বো বিচরীতুচৈব বিতনুর্ভদ্রং বসন্তান্বিতঃ ” এ শ্লোকটীও বসন্ত-বর্ণনার অঙ্গবিশেষ । অপিচ, এই শ্লোকে কবি মঙ্গল-প্রার্থনা করিয়াছেন । শ্লোকে কবি বলিতেছেন,-“মনোহর আম্র-মুকুলরূপ শর, কিংশুক পুষ্পরূপ ধনু, অলিকুলাপ উৎকৃষ্ট ধমুগুণ, চন্দ্ররূপ শ্বেত ছত্র, মলয়-বায়ুরূপ মত্ত গজ এবং কোকিলকুলক্লপ বন্দিগণকে লইয়। নিজ সহচর বসন্তেব সহিত কামদেব তোমাদের মঙ্গল বিধান করুন। এক হিসাবে এই শ্লোককেই শেষ শ্লোক বলা যাইতে পারে ; কারণ, অন্যান্ত ঋতুর নিকটও এই ভাবেরই প্রার্থন আছে । সেই জন্ত বসন্তবর্ণনাব শেষ আটটি শ্লোক কেহ কেহ প্রক্ষিপ্ত বলিয়া মলে করেন । মেঘদূত ও ঋতুসংহার ভিন্ন কালিদাসের ‘পুষ্পবাণবিলাস’, ‘শ্রুতবোধ’, ‘দ্ধত্রিংশংপুত্তলিকা’ প্রভৃতিও এক হিসাবে খণ্ড-কাব্যের অন্তভূক্ত হইতে পারে । ‘দ্বাত্রিংশৎপুত্তলিকা—গদ্যে লিখিত আছে বটে ; কিন্তু উহার মধ্যে যে নীতি-বাক্যগুলি আছে, তাহা কবিত্বের, উপমার ও উপদেশের উৎসস্বরূপ। পঞ্চতন্ত্রে যেরূপ নীতি-উপদেশ আছে, উহার নীতিবাক্যগুলি প্রায় তদনুরূপ। চাণক্যের সংগৃহীত এবং অগ্নিপুরাণের ":" অন্তর্গত নীতিবাক্যসমূহ দ্বাৱিংশং-পুত্তলিকায় দেখিতে পাওয়া যায়। এমন কি, কুমার-সম্ভব প্রভৃতিতেও যে সকল উপমা ও নীতিবাক্য দেখিতে পাইয়াছি, তাহারও কতকগুলি দ্বাত্রিংশংপুত্তলিকায় দৃষ্ট হয়। সংহিতার কতকগুলি শ্লোক ও নীতিবাক্য এতন্মধ্যে স্থান পাইয়াছে। এ সকল দেখিয়া, দ্বাত্রিংশৎপুত্তলিকা রঘুবংশরচয়িতা কালিদাসের রচনা কিনা, তদ্ধিষয়ে অনেকেই সংশয়ান্বিত। যাহা হউক, যেখান হইতেই সংগৃহীত হউক, ঐ নীতিকথাগুলি যে চিরদিনই মূল্যবান, তাহাতে কোনই সংশয় নাই। প্রথমেই বলা হইয়াছে,—“যজীব্যতে যশোধৰ্ম্মসহিতং তদ্ধি জীবিতঃ” ; অর্থাৎ,−‘বশ ও ধৰ্ম্মের সহিত যিনি জীবিত থাকিতে পারেন, তাহার জীবন-ধারণই সার্থক। যাহারী আপন ভরণ-পোষণ-ব্যাপারে ব্যাপৃত থাকিয় কেবল নিজেদের মাত্র উদর পূরণ করে, তাহারা ক্ষুদ্র ও নীচাশয় ; এরূপ ব্যক্তি সহস্ৰ সহস্ৰ বিদ্যমান আছে। কিন্তু পরার্থই যাহার স্বাৰ্থ, সেরূপ সজ্জনাগ্রগণ্য পুরুষ এক একটি মাত্র। দেখ, বাড়বানল আপন দুষ্পরণীয় উদর পূরণার্থ সমুদ্র পান করিয়া তৃপ্ত হয় না ; আবার মেঘ নিদীঘসন্তপ্ত বিনষ্টপ্রায় জগতের তাপ-শাস্তির নিমিত্ত সমুদ্র-বারি পান করিয়া থাকে। এইরূপ নীতিশিক্ষায় নীতি-উপদেশে গ্রন্থের আরম্ভ । এখানেও বুঝা যায় না যে, কবির রচনায় অন্তের ছায়াপাত ঘটিয়াছে। কিন্তু ইহার পর যখন গ্রন্থের বিভিন্ন স্থানে দেখিতে পাই, নীতিসার ও অন্যান্ত নীতিগ্রস্থ হইতে,— “মদীনাঞ্চ নখীনাঞ্চ শৃঙ্গিনাং শস্ত্রপাণিনাম্। বিশ্বাস নৈব কর্তব্যঃ স্ত্রীষু রাজকুলেষু চ ॥ ক্ষণং তুষ্টা ক্ষণং রুষ্ট ন তুষ্টাচ ক্ষণে ক্ষণে। অব্যবস্থিতচিত্তানাং প্রসাদোইপি ভয়ঙ্কর ॥ DBB BBBB BBBBBBS BBB BB BBB S BBBBB BBBBBBBB BBBB BBBBBBBS