পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । 8్నరి

এক ভাবে শিক্ষা লাভ করেন, এক সঙ্গে পরিবর্দ্ধিত হন। কিন্তু সংসার-ক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া BBBBB BBB BBB BB BBBB BD S DBBB BBB BB BB BBB BBBB BB দশ কুমারের সেই দশবিধ চরিত্র-কাহিনী কীৰ্ত্তন করিয়াছেন । এই গ্রন্থে কুট-রাজনীতির শিক্ষাই বিশেষভাবে প্রদত্ত হইয়াছে। ছলনা প্রভৃতি কৌশল-জাল-বিস্তারে কি প্রকারে রাজ্যৈশ্বৰ্য্য বৃদ্ধি পায়, এ গ্রন্থের তাহাই প্রধান শিক্ষা । এই গ্রন্থ-রচনার একটু ইতিহাস আছে। দণ্ডাচাৰ্য্য আকুমার সন্ন্যাসত্রতধারী ছিলেন। বিভিন্নদেশে পরিভ্রমণানন্তর একদা তিনি মালবরাজো উপস্থিত হন। সেই সময়ে দণ্ডাচার্য্যের উপর মালবাধিপতি আপনার পুত্ৰকস্তাগণের সুশিক্ষার ভার দ্যস্ত করিয়াছিলেন। কুমার-কুমারীগণকে শিক্ষাদান বাপদেশে তিনি ‘কাবাদশ’ নামক অলঙ্কার-গ্রন্থ এবং ‘দশকুমারচরিত' নামক সাহিত্য-গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। সংসারতাগী সন্ন্যাসী কি করিয়া সংসারের নিগুঢ় তত্ত্ব অবগত হইলেন, কেমন করিয়া দশকুমারচরিতে রাজকুমারগণের প্রণয়-কাহিনী ও কৌশলক বিবৃত করিলেন,—তাত বুঝিবার জন্ত রাজার মনে বড়ই কৌতুহল জন্মে। দণ্ডাচাৰ্য্য সন্ন্যাসী কি ছদ্মবেণী-রাজা বিবিধ বিধানে তাহার সন্ধান লহতে প্রবৃত্ত হন । সংসারের সহিত সৰ্ব্বতোভাবে লিপ্ত না থাকিলে এ সকল রাজসংসারের চক্রাস্ত ষড়ধস্থ BBBB BBB BBBB BBBBB BBBB BSBB BBB BB BB BBBBBBS BBBB তাহা বুঝিতে পারিলেন । রাজা ও একজন কবি বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিলেম। সেই সুত্রে কৌশলক্রমে দ গুণচায্য রাজাকে দারিদ্র্য-সম্বন্ধে একটি কবিতা রচনা করিতে অনুরোধ করেন । BBS SLggSBBS BB BBB BB BBBS BB BBBB BBBB BB S BB BBB দারিদ্র্যের বিষয় অতি স্বভাবসঙ্গ তরূপে বিবৃত হয়ছিল। সেই শ্লোকাষ্টকের একটি শ্লোক,— “মন্থহে মুর্বলাব মুষিকবধুমুীব মার্জারিকা \ মার্জারীব শুনী শুমীব গৃহিণী বাচ্যাঃ কিমস্তে জনাঃ । মুচ্ছৰ্গপন্নশিশূনসুন বিজহত: সম্প্রেক্ষ্য ঝিল্লীরবৈঃ সূতাতন্থবিতান-সংবৃতমুখী চুল্লী চিরং রোদিতি ॥” নিরশ্ন দরিদ্রের গৃহে ইকুর বিড়াল কুকুর প্রভৃতি প্রাণিগণের, এমন কি—উননের পর্যাস্তু কিরূপ শোচনীয় অবস্থা হয়, কবি এই শ্লোকে তাহারই বর্ণনা করিয়াছেন। নিরশ্ন দরিদ্রের গৃহে ইদুর যেন টিকটিকির ন্যায় কৃশ হয় ; বিড়াল ইকুরের ন্যায় হইয় পড়ে ; কুকুর বিড়ালের আকার প্রাপ্ত হয় ; গৃহিণী অনাহারী কুঙ্ক,ীর স্থায় কৃশা হইয় পড়েন। মুচ্ছাবস্থায় শিশুসন্তানগুলি মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছে ; তাহ দেখিয়াই যেন চুল্লী লুতাতস্থবিতানে মুখমণ্ডল আচ্ছাদিত করিয়া ঝিল্লীবরছলে ক্ৰন্দন করিতেছে।” এবম্বিধ কবিতা রচনায় রাজা যখন সমর্থ হইলেন,-দারিদ্র্যের সংশ্রবে না আসিয়াও তিনি যখন এরূপভাবে দারিদ্র্য-সম্বন্ধে কবিতা রচনা করিতে সমর্থ হইলেন, তখন দ গুচিার্য্যই বা কেন সন্ন্যাসাশ্রমে থাকিয়াও সংসার-রহস্ত না জানিতে পারিবেন ? কবির-ভাবুকের স্বক্ষদর্শন ভূয়োদশন স্বভাবজ। প্রকৃতিবশেই তাহার যুগ্ম-দৰ্শন-শক্তি লাভ করেন। প্লাজার ভ্রম ঘুচিল ; দণ্ডাচাৰ্য্য রাজসংসারে সন্মানের উচ্চ আসন লাভ করিলেন। বোধ হয় সেই সময় হইতেই নিম্নোদ্ভূত উদ্ভট শ্লোকটি জগতে দণ্ডাচার্য্যের মহিমা-প্রচারে প্রযুক্ত হইয়াছিল । শ্লোকটি.এই—“জাতে জগতি ৰাঞ্জাকে)