পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের সাহিত্য-সম্পং । 8.శ్రీఫి. বঙ্গদেশে বিশেষভাবে প্রচলিত। কাব্যপ্রকাশের প্রায় পঞ্চাশ জন টীকাকারের পরিচয় পাওয়া যায় । এই সকল অলঙ্কার-গ্রন্থ সংস্কৃত-সাহিত্যের বিজয়-বৈজয়ন্তী স্বরূপ । সভ্য-সমুন্নত সমাজের সর্বাবয়বসম্পন্ন সাহিত্যে আর আর যে সকল সম্পৎ থাকা আবশ্যক, ভারতবর্ষের সংস্কৃত-সাহিত্য মধ্যে তৎসমুদায়েরও অসম্ভাব নাই । ব্যবহার-বিধি—শ্বতিar, aw, শাস্ত্রের মধ্যে দেদীপ্যমান। শারীর-বিজ্ঞান, ভৈষজ্য-বিজ্ঞান—আয়ুৰ্ব্বেদের ইতিহাস অস্তর্নিহিত । ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব প্রভৃতি রামায়ণ-মহাভারতে ও পুরাণাদি ' শাস্ত্র মধ্যে বিদ্যমান রহিয়াছে। গণিত, জ্যোতিৰ প্রভৃতি সম্বন্ধে সিদ্ধান্তগ্রন্থ-সমূহ প্রকটত আছে। ঐ সকল গ্রন্থের অনেকগুলিরই পরিচয় ইতিপূৰ্ব্বে ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গে উত্থাপন করা হইয়াছে। ব্যবহার-বিধি সম্বন্ধে আৰ্য্য-মহর্ষিগণ যে সংহিতা-শাস্ত্র সমূহ রাখিয়া গিয়াছেন, সমাজের শৃঙ্খলা-রক্ষার পক্ষে তাহার অধিক বিধিবিধান আবশ্বক হয় না । এ পর্য্যস্ত যে দেশে যে নিয়মই প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছে, অভিনবত্বে তাহার কোন ও বিধি-বিধানই ংহিতা-শাস্ত্রসমূহকে উল্লঙ্ঘন করিতে পারে নাই। ভারতবর্ষেও প্রাচীন সংষ্ঠিতা-শাস্ত্রের টীকা ও ব্যাখ্যা প্রভৃতির দ্বারাই সাময়িক অভাব পুরণ হইয়া আসিতেছে। ময়ু যাহা লিথিয়া গিয়াছেন, যাজ্ঞবল্ক্য যাহা বলিয়া গিয়াছেন, বিষ্ণু-স্মৃতি প্রভৃতিতে যাহার বিধান আছে, তাহার উপর ব্যবহার-বিধি কে কি প্ৰবৰ্ত্তন করিতে পারে! অধুনা বহু বিধি বিধান প্রবর্তিত হইয়াছে ও হইতেছে বটে ; কিন্তু সকলেরই মূলে পূৰ্ব্বোক্তের প্রভাব পরিদৃশুমান। শাখা-পল্লব পরিবর্তিত হইতে পারে ; কিন্তু মূল একই রহিয়াছে। দুই একটা দৃষ্টান্তের উল্লেখ করিতেছি। যাজ্ঞবল্ক্যের অমুসরণে র্তাহার ব্যাখ্যা-স্বরূপে বিজ্ঞানেশ্বর ভট্টারক মিতাক্ষরা প্রণয়ন করেন । ১১০০ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে বিজ্ঞানেশ্বরের প্রাচুর্ভাবকাল প্রতিপন্ন হয়। যাজ্ঞবন্ধ্যের অনুসরণে মিতাক্ষরায় তিনি যে মত প্রকাশ করেন, এক সময়ে তাহাই সমগ্র ভারতের প্রামাণ্য গ্রন্থ মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিল। দাক্ষিণাত্যে, বারাণসী প্রদেশে এবং উত্তর ভারতের অনেক স্থানে আজিও ঐ মত প্রচলিত আছে। কোলক্রক ঐ মিতাক্ষরার অনুবাদ প্রকাশ করেন। উত্তরাধিকার-বিধির মধ্যে আজিও মিতাক্ষর সমাদৃত হয়। ‘ধৰ্ম্মনিবন্ধ’ নামে ব্যবহারবিধি সংক্রান্ত বহু সংগ্রহ-গ্ৰন্থ ১••• খৃষ্টাব্দের সমসময়ে ভারতবর্ষে প্রচলিত ছিল। আনুমানিক ১৩•• খৃষ্টাব্দে হেমাদ্রি কর্তৃক “চতুৰ্ব্বৰ্গচিন্তামণি" নামে ব্যবহারবিধির এক গ্রন্থ সঙ্কলিত হইয়াছিল। ঐ গ্রন্থে স্মৃতি-পুরাণের অশেষ মূল্যবান সামগ্ৰী সংগৃহীত হয়। "ধৰ্ম্মরত্ন” নামে ব্যবহারবিধির এক প্রসিদ্ধ গ্রন্থ জীমূতবাহন কর্তৃক সঙ্কলিত হইয়াছিল। সেই গ্রন্থেরই অংশবিশেষ ‘দায়ভাগ’ নামে পরিচিত। ঐ দায়ভাগও ইংরাজি ভাষায় কোলব্রুক অনুবাদ করেন। উত্তরাধিকার-বিচারে ঐ গ্রন্থ বঙ্গদেশে প্রামাণ্য । পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণ খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে জীমূতবাহনের বিদ্যমানকাল নির্দেশ করেন। ঐ সকল আইনের গ্রন্থ ভিন্ন সমাজের নিত্যনৈমিত্তিক ক্রিয়াকলাপের ও জীবনগতি-নির্ণয়ের পক্ষে রঘুনন্দনের অষ্টাবিংশ সংহিতা বিদ্যমান রহিয়াছে। তিথিতত্ত্ব, শ্রাদ্ধতত্ত্ব প্রায়শ্চিত্ততত্ত্ব প্রভৃতির মধ্যে রূপাস্তরে ব্যবহারবিধির সকল কথাই নিহিত আছে। জ্যোতিষ সম্বন্ধে স্বৰ্য্যসিদ্ধান্ত প্রভৃতি নৰসিদ্ধান্তু বহুদিন হইতে প্রচলিত ছিল । বহু জ্যোতিৰ্ব্বিা ভারতবর্ষে আবিভূর্ত হইয়া