পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Ꮼ8 ভারতবর্ষ। BBBBSBBB BBBBBB BBBB BBBS BDEYBD DD S DDD BBBS তাহাকে বুদ্ধদেবের প্রতিকৃতি বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। জোগাফাট নামটা পৰ্য্যন্ত বোধিসত্ত্ব নামের অপভ্রংশ বলিয়া প্রতিপন্ন হয়। এই জোসাফাট ক্রমশঃ গ্ৰীকদিগের এবং রোমকদিগের সেন্ট অর্থাৎ দেবতার মধ্যে গণ্য হইয়াছিলেন। ধর্শের অভু্যদয়ের ইতিহাসে প্রাচ্যের-প্রভাৰ পাশ্চাত্যেবিস্তৃত হওয়ার এ দৃষ্টান্ত-অনুকৃতির চরম চিত্র নহে কি ? - এমন দৃষ্টাত্ত অনেক আছে । অনুকরণের আর এক জীবস্ত প্রমাণ সতরঞ্জ (চতুরঙ্গ বা দাবা ) ক্রীড়ায় পরিলক্ষিত হয়। কতকাল হইতে চতুরঙ্গ ক্রীড়া ভারতবর্ষে প্রচলিত আছে, তাহার ইত্তে৷ হয় না। ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের ৯২ স্থক্তের একাদশ খকে চতুরঙ্গ শব্দের উল্লেখ আছে। ঋগ্বেদে 'চতুরঙ্গ’ শবের উল্লেখে চতুরঙ্গ-ক্রীড়ার অস্তিত্ব কত পূৰ্ব্বের, সহজেই অনুভূত হয়। মহাভারতে চতুরঙ্গের এবং চতুরঙ্গ-ক্রীড়ার পরিচয় দেদীপ্যমান। কি ভাবে কোথায় কোন বল সন্নিবিষ্ট হয়, তিথিতত্বে তাহার উল্লেখ দেখিতে পাই। বাণভট্টের গ্রন্থ মধ্যে চতুরঙ্গ ক্রীড়ার উল্লেখ এবং কাশ্মীর-দেশীয় পণ্ডিত রুদ্রত প্রণীত কাব্যালঙ্কারে চতুরঙ্গের প্রসঙ্গ আছে। কাশ্মীরী কবি রুদ্রত নবম শতাব্দীর কবি বলিয়া পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণই নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। র্তাহার গ্রন্থে কবিতাছনো প্রহেলিকায় দাবাখেলা-সংক্রাস্তু প্রশ্ন আছে। ভারতবর্ষ হইতে ষষ্ঠ শতাব্দীতে চতুরঙ্গ-ক্রীড়া পারস্ত-দেশে প্রবর্তিত হয় ; সেখান হইতে আরবগণ কর্তৃক উহ ইউরোপে গিয়াছিল। ইউরোপে একাদশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বে চতুরঙ্গ-ক্রীড়ার অস্তিত্ব সপ্রমাণ হয় না । এইরূপ দেখিতে গেলে নানা বিষয়েই ইউরোপে প্রাচীন ভারতের প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । যতই দিন যাইবে, ভারতবর্ষের জ্ঞান-ভাণ্ডারের মধ্যে ইউরোপ যতই প্রবেশ-লাভ করিবে, ইউরোপের জ্ঞান-গরিমা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, ভারতের অতীত গৌরবের ঐশ্বৰ্য্য-বিভব সনদর্শন করিয়া, সংসার ততই চমৎকৃত হইবে। ইংলণ্ডের সহিত ভারতের সম্বন্ধ-স্থত্রের পূৰ্ব্বে, ভারতবর্ষের জ্ঞান-বিজ্ঞান—ভারতবর্ষের কাব্য-মহাকাব্য, দর্শনশাস্ত্র, আয়ুৰ্ব্বিজ্ঞান, গল্প-উপাখ্যান প্রভৃতি—বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পথে প্রবর্তিত হইয়াছিল। সে সময়ে ভারতবর্ষ সৰ্ব্ব বিষয়ে পৃথিবীর অন্যান্য : দেশের মধ্যে বরেণ্য আসন অধিকার করি ছিলেন। স্বতা তৎকালে ভারতবর্ষের যে সকল সম্পৎ অন্যান্য দেশে গিয়াছিল, তাহা ভারতবাসীর দ্বারাই সেই সকল দেশে বিতরিত হইয়াছিল। দৰ্শন-শাস্ত্রের আলোচনায়, আয়ুৰ্ব্বেদ

  • এ অনুকরণের বিষয় পাশ্চাত্য পণ্ডিতের মুখেই প্রকাশ পাইয়াছে। সুতরাং এ সম্বন্ধে উাহাজের উক্তিই

উদ্ধত *faces, "The very hero of the story, Prince Josaphat, has an Indian origin, being, in fact, no other than Buddha. The name has been shown to be a corruption of Bo thisattva, a well-known designation of the Indian reformer. Josaphat rose to the rank of a saint both in the Greek and the Roman Church, his day, in the former being August 26, in the latter November 27. That the founder of an atheistic Oriental religion should have developed into a Christian saint is one of the most astounding facts in religious history",