পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৪৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ుః ভারতবর্ষ । - বাঙ্গালার ‘এসিয়াটিক সোসাইট সাহিত্য-সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ দেশে আসিয়া, সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া, ১৭৮৯ খৃষ্টাব্দে সার উইলিয়ম জোন্স অভিজ্ঞান-শকুন্তল নাটকের অনুবাদ প্রকাশ করেন। তাহার সেই অনুবাদ দেখিয়া ইউরোপ বিমুগ্ধ হইয়াছিল। শকুন্তলার অনুবাদের পর তিনি মনুসংহিতার অনুবাদ করেন । ঋতুসংহারের সংস্কৃত মুলাংশ প্রকাশ করার জন্যও তিনিই প্রথম সংস্কৃত-সাহিত্য প্রকাশ করিলেন বলিয়া প্রতিষ্ঠান্বিত হন। ১৭৯২ খৃষ্টাব্দে তাহার সেই ঋতুসংহার প্রকাশিত হয়। সার উইলিয়ম জোন্সের অব্যবহিত পরে, ( হেনরি টমাস ) কোলব্রুক সংস্কৃত সাহিত্যের গবেষণায় প্রবৃত্ত হন । তিনিই প্রথমে বিজ্ঞান-সন্মত পদ্ধতিতে ংস্কৃত-ভাষা আলোচনা করিয়াছিলেন। অনেক সংস্কৃত-গ্রন্থের মূল, অনুবাদ এবং তৎসংক্রান্ত প্রবন্ধ প্রকাশ করিয়া তিনি যশস্বী হন। ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে বেদ সম্বন্ধে তাহার এক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় । বোধ হয় তাহাই বেদ সম্বন্ধে ইউরোপের প্রথম পরিচয় । কোলক্রকের ভারতবর্ষে অবস্থিতি-কালে আলেকজাণ্ডার হামিণ্টন নামক জনৈক ইংরেজ সংস্কৃতভাষা শিক্ষা করেন। ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে তিনি ইংলণ্ডে প্রত্যাবৃত্ত হইতেছিলেন। সেই সময় ফরাসীর সহিত ইংরেজের বিবাদ বাধিস্নাছিল। সেই ৰিবাদ-স্থত্রে, স্বদেশ-গমনের পথে, হামিণ্টন ফ্রান্সে আবদ্ধ হন। নেপোলিয়নের আদেশ ছিল,—ইংরেজ-মাত্রকেই বন্দী করিতে হইবে। সেই আদেশ অনুসারেই হামিণ্টনকে কিছুকাল বন্দিভাবে পারিস-নগরে অবস্থান করিতে হয় । সেই সময় কয়েকজন ফরাসী পণ্ডিত এবং জন্মণীর প্রসিদ্ধ কবি (ফ্রেডরিক ) শ্লেজেল তাহার নিকট সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করেন। ফলে, ১৮০৮ খৃষ্টাব্দে ভাবতের ভাষা ও জ্ঞান সম্বন্ধে শ্লেজেলের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাহাতে,সাহিত্য-জগতে এক যুগান্তর উপস্থিত হইয়াছিল; বিভিন্ন ভাষার সাদৃশু-তত্ত্ব-নিরূপণের পথ প্রশস্ত হইয়া আসিয়াছিল। এই সময়েই ( ফ্রাঞ্জ ) বোপ—গ্ৰীক, লাটিন, পারসিক, জন্মণ প্রভৃতি ভাষার সহিত সংস্কৃত-ভাষার ধাতু-রূপ প্রভৃতির সাদৃশু-তত্ত্ব প্রকাশ করেন। ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে বোপের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ভারতবর্ষের ভাষা ও অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে শ্লেজেলের গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার পর, জৰ্ম্মণ-দেশে সংস্কৃত-সাহিত্যালোচনার ধূম পড়িয়া যায় । জৰ্ম্মণ পণ্ডিত এফ রোসেন, ইউরোপকে প্রাচীন ভারতের সাহিত্য-সম্পং প্রদর্শন করিবার জন্য উদবুদ্ধ হন। ইষ্ট ইণ্ডিয়া হাউসের সংগৃহীত পৗধুলিপি হইতে সংগ্ৰহ করিয়া তিনি লাটিন ভাষায় অনুবাদ সহ ঋগ্বেদের প্রথম অষ্টক প্রকাশ করেন । * এইরূপে ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে ইউরোপে ঋগ্বেদ প্রচারিত হয় । ইহার পর (রাডলফ.) রোথ ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে বেদের ইতিবৃত্ত ও ভাষাতত্ত্ব বিষয়ে এক ক্ষুদ্র গ্রন্থ প্রকাশ করেন । তাহাতে এক নূতন চিস্তাম্রোত প্রবাহিত হয় —বৈদিক সাহিত্যের অধ্যয়ন ও প্রচার জন্ত জন্মণগণের প্রবল স্পৃহ প্রকাশ পায়। ফলে, সেই হইতে পঞ্চাশ বৎসরের মধ্যে শ্রুতি-স্থতির অধিকাংশ গ্রন্থ জৰ্ম্মণ-ভাষায় অনুদিত ও প্রকাশিত হইয়াছে। এই উপলক্ষে ফরাসী পণ্ডিত ৰামুফের নাম বিশেষ-ভাবে উল্লেখযোগ্য । বামু ফই প্রথম জেন্দ-ভাষার সহিত বৈদিক ংস্কৃতের সম্বন্ধ-তত্ত্ব নিরূপণ করেন। তিনিই প্রথম জেন্দ-ভাষার ধৰ্ম্মগ্রন্থাদির পাঠোদ্ধারে BB BBBB BB BBBD DBB BD D DD DDD BD BDDD DDD DS রামমোহন রায়ের সহায়ত পাইয়াছিলেন বলিয প্রকাশ আছে।