পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন-ভারতের ইতিহাস । Y? ‘জামিত্বে আত্মহারা হয়, স্বরূপ-তত্ত্ব ভুলিয়া যায়, বিভ্রান্ত-পথের অনুসরণ করে ; তখন দিব্যজ্ঞান প্রদান জন্য, সুপথে পরিচালিত করিবার অভিপ্রায়ে, পতিতপাবন ভগবানের আবির্ভাব ঘটে । মৎস্য-কুৰ্ম্মাদি অবতার-পঞ্চকের কার্য্যকারিত • বিষয়ে মতান্তর থাকিতে পারে ; কিন্তু ত্রেতায়, দ্বাপরে ও কলিযুগে যে সকল অবতারের আবির্ভাব হইয়াছে, র্তাহাদের কার্য্যকারিতা সম্বন্ধে কাহারও মনে কোনরূপ দ্বিধা উপস্থিত হইতে পারে না । সসাগরা ধরিত্রীর আধিপত্য লাভ করিয়া, ঐশ্বৰ্য্য-গৰ্ব্বে গরীয়ান হইয়া, লঙ্কেশ্বর রাবণ নিদারুণ অত্যাচার আরম্ভ করিয়াছিলেন । র্তাহার অত্যাচার-প্রভাবে ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম লোপ পাইতে বসিয়াছিল যাগযজ্ঞ পণ্ড হইতেছিল ;–ভগবৎ-সন্নিকর্ষ-লাভের জন্য সংসার যে পথে অগ্রসর হইয়াছিল, যে পথ অবরুদ্ধ হইতে চলিয়াছিল ; ঘোর অজ্ঞানান্ধকারে সং আচ্ছন্ন করিতেছিল। স্ত্রীরামচন্দ্র-রূপ জ্যোতিৰ্ম্ময়ের আবির্ভাবে সে অজ্ঞান-আঁধার দূরীভূত হয় ; অত্যাচার দূরে যায় ;–গন্তব্য পথ মুক্ত হয় —যাগ-যজ্ঞাদির বিস্তু বিদূরিত হয়। রামায়ণ মহাকাব্যে ভারতের ইতিহাসের এই এক অভিনব স্তর প্রত্যক্ষীভূত হইয় থাকে। পুরাণাদি শাস্ত্রগ্রন্থে ও মহাভারতে—এবম্বিধ নানা স্তর-পৰ্য্যায় পরিদৃশ্যমান। পুখাস্তুপুঙ্খ পরিচয় প্রদান বাহুল্য-মাত্র । তুলনায় সে দিনের যে গৌতম-বুদ্ধ—র্তাহার আবির্ভাব-তিরোভাবকেও তদ্রুপ একটি স্তর-পৰ্য্যায় বলিষা নির্দেশ করিতে পারি। সাম্যে—স্বষ্টি-রক্ষণ ; বৈষম্যে—বিনাশ । প্রকৃতি-রাজ্যে সাম্য-বৈষমোর চির-সংগ্রাম চলিয়াছে । বিকারে বৈষম্য ঘটিতেছে ; প্রকৃতি প্রতিনিয়ত সাম্যরক্ষার প্রয়াস পাইতেছেন। সাম্য প্রচণ্ড রৌদ্রের খরকরতাপে সংসার দন্ধীভূত হইবার উপক্রম হইয়াছিল ; wo বারিবর্ষণে তাহার তপ্ত-প্রাণ শীতল হইল। বর্ষার প্রবল-প্রবাহে পৃথিবী *" পরিমগ্ন হইতে চলিয়াছিল ; দিনমণি উষ্ণ-নিশ্বাসে তাহ শোষণ করিয়া লইলেন। নিসর্গের এই রীতি নরদেহে নিত্য-প্রত্যক্ষীভূত। আয়ুৰ্ব্বেদ নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন,—বাধু-পিত্ত-কফ তিনের সমতায় মানব-জীবন ; একের অত্যধিক প্রাবল্যে জীবনভার দুৰ্ব্বহ হইয়া পড়ে। দেখিতেও পাই,—দেহের মধ্যে সমতা-রক্ষার জন্য নিয়ত একটা সংঘর্ষ চলিয়াছে । সমতা-ভঙ্গ হইলেই স্থষ্টি-নাশের আশঙ্কা ; তাই বুঝি প্রকৃতি প্রতিনিয়ত সমতা-রক্ষার জন্য প্রয়াসী রহিয়াছেন । শাস্ত্র-গ্রন্থাদির মধ্যে ভারতের যে ইতিহাস বিচ্ছিন্ন-ভাবে অবস্থিত রহিয়াছে, সাম্য-স্থাপনের দৃষ্টান্তই তাহার সর্বত্র প্রকট পরিদৃশ্যমান। মহাভারতে শ্ৰীভগবান যে নীতি-তত্ত্ব প্রচার করিয়া গিয়াছেন, সাম্যরক্ষাই তাহার মূল লক্ষ্য নহে কি ? অধৰ্ম্মের উদ্বেল তরঙ্গে ভারতবর্ষ ধ্বংসের অতল-তলে নিমজ্জিত হইতেছিল,—ধৰ্ম্মসংস্থাপন-রূপ সমতা-রক্ষায় স্ত্রীভগবান তাহার উদ্ধার-সাধন করেন । “সৰ্ব্বমত্যন্তগর্হিতম্”—অতি-বৃদ্ধি কোনও বিষয়েই সমীচীন মহে। দান-ধৰ্ম্ম সৰ্ব্বজন-শ্লাঘনীয়। কিন্তু রাজচক্রবর্তী বলি, ঐশ্বৰ্য্য-মদে মত্ত হইয়া, পাত্রাপাত্র বিবেচনা না করিয়া, ক্ষমতা-অক্ষমতার বিষয় না ভাবিয়া, পরিমাণের পর্য্যায় না বুঝিয়া, আত্ম • নির্ঘন্টায়ুসরণে “পৃথিবীর इंऊिहाrमङ्ग” सिछिद्र हांtन, बक्डांद्र अरकब्र माप्लांक्लबाग्न, cन नकल उक् जयशंठ श्रेष्ठ *ांब्रिtवन ! g