পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ 8 ভারতবর্ষ । করেন। সুতরাং সে সময়ে পালি-ভাষার প্রাধান্ত বিস্তৃত হয় । কিন্তু পরিশেষে ভগবান BBBBBB BBBBB BBBB BBBB BBBB BBB BBB BBBB BBBBB S রাজ-চক্রবত্তী বিক্রমাদিত্য সংস্কৃত-ভাষাকেই রাজভাষ বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। তুলনায় সেদিনের নবদ্বীপ-রাজ্যে, বঙ্গভাষার প্রচলন থাকিলেও, সংস্কৃত-ভাষারই প্রাধান্ত খ্যাপন হইত। কাশী, কাঞ্চী, দ্রাবাড়, নবদ্বীপ, মিথিল। প্রভৃতি স্থানে রাজ-সম্মান লাভ করিয়া যে সকল পণ্ডিত যশস্বী হইয়া ছিলেন, তাহর সকলেই সংস্কৃত-সাহিত্যের সেবক ছিলেন । সুতরাং সংস্কৃত-সাহিত্যের মধ্যে যেরূপ শ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রাপ্ত হওয়া যায়, অপরাপর সাহিত্যে তাহ বিরল বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। ঐতিহাসিকগণ নির্দেশ করেন, ভারতের ইতিহাসের চতুৰ্ব্বিধ উপাদান প্রাপ্ত হওয়া যায়। প্রথম---fকংবদন্তী ; দেশের সাহিত্যের মধ্যে এই কিংবদন্তী নিহিত আছে। দ্বিতীয়— বৈদেশিক ভ্রমণকারীর ও ঐতিহাসিকগণের রচনায় ভারতের প্রসঙ্গোল্লেখ । তৃতায়—প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধানে ; অর্থাৎ—প্রাচীন স্থাপত্যের ভগ্নাবশেষ প্রভৃতি হইতে ইতিহাসের উদ্ধার-সাধন । এই প্রত্নতত্ত্বাঙ্গুসন্ধান—ত্রিবিধ উপায়ে সংসাধিত হইতে পারে। স্মৃতি-সৌধাদি হইতে, খোদিত লিপি হইতে, প্রাচীন মুদ্রা ও পদকাদি হইতে । চতুর্থ-—ঐতিহাসিক তথ্যপূর্ণ প্রাদেশিক সমসাময়িক সাহিত্যের আলোচন। দেশের ই তহাস-সংগ্রহের পক্ষে এ সকল উপাদান যে বিশেষ মূল্যবান, তাহাতে কোনই সন্দেহ নই। তবে এ সকল উপাদানের সাহায্যে দুই এক সহস্ৰ বৎসরের পূৰ্ব্ববৰ্ত্তি-কালের ইতিবৃত্ত সংগৃহীত হইতে পারে। তাহার অধিক পূৰ্ব্বের ইতিহাসের উপাদান, এ সকল হইতে স্বতন্ত্র বলিয়। মনে হয়। কারণ, কালের কঠোর কষাঘাতে এ সকল উপাদান বিধ্বস্ত হইতে পারে । একটা দৃষ্টান্তের উল্লেখ করিতেছি । আর্য্যগণের মধ্যএসিয়া-বাসের সিদ্ধান্তের মহারা পোষকতা করেন, আমর। নিশ্চয়ই বলিতে পারি, তাহারা কেহই উল্লিখিত চতুৰ্ব্বিধ উপাদানের কোনও উপাদানই প্রমাণ-স্বরূপ উপস্থিত করিতে পারেন না। ভারতবর্ষেরও স্মরণাতীত-কাল পূৰ্ব্বের ইতিহাসের উপাদান-রূপে ঐ সকল সামগ্রী প্রাপ্ত হই না। অধোধায়, মিথিলায় বা হস্তিনাপুরে ভগ্নস্তুপের মধ্যে রামায়ণমহাভারতের কথিত জনপদের স্মৃতি-চিহ্ন কি আছে ? রামচন্দ্রের মুদ্র বলিয়া প্রচারিত মুদ্রাখণ্ড দেখিলেও শ্রীরামচন্দ্রের বা তাহার সমসাময়িক স্মৃতি চিত্রপটে উদ্ভাসিত হয় না। ঋগ্বেদে সহস্র-স্তস্তযুক্ত অট্টালিকাদির বর্ণন আছে। প্রত্নতত্ত্বায়ুসন্ধিৎসু তাহার কি কোনও স্মৃতিচিহ্ন অনুসন্ধান করিয়া পান ? তবেই বুঝা যায়, সৰ্ব্ববিধ্বংসী কালের করাল গ্রাসে এ সকল উপাদান বিলুপ্ত হয় –সুতরাং এ সকল উপাদানের অক্ষুসন্ধানে প্রাচীনতম কালের ইতিহাস সংগৃহীত হয় না। তবে কি উপায়ে সে ইতিহাস সংগ্ৰহ হওয়া সম্ভবপর ? পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, পুনঃপুনঃ বলিতেছি, ধৰ্ম্ম-সংএবযুক্ত সাহিত্য ভিন্ন সে উপাদান অন্যত্র কোথাও অনুসন্ধান করিয়া পাইবেন না। ধৰ্ম্মগ্রন্থ-সমূহই সে ইতিহাস বক্ষে ধারণ করিয়৷ আছে । ধৰ্ম্মগ্রন্থের আলোচনা হইতেই সে ইতিহাসের উদ্ধার হওয়া সম্ভবপর। আমরা তাই সেই অনুসন্ধানের অনুসরণেই ভারতের প্রাচীন ইতিহাস সংগ্রহের চেষ্ট পাইতেছি । ইতিহাসেব উপাদান ।