পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । ● ግ কচ্ছ-উপসাগরস্থিত তরুকচ্ছ, চম্প প্রভূতি নগরী সেই বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল। সুপারকের অধিবাসী পুঞ্জের ও ত্বদীয় ভ্রাতা চোলপুঞ্জের বাণিজ্য-ব্যপদেশেও বৌদ্ধ-প্রভাবের সময় তারতের বৈদেশিক বাণিজ্যের বিবিধ বিবরণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। তিন শত বণিক সহ একখানি অর্ণবপোতে যাত্রা করিয়া চোলপুঞ্জ বিদেশ হইতে বহুপরিমাণ রক্তচন্দন কাষ্ঠ জানয়ন করিয়াছিলেন । সুপারক হইতে যাত্রা করিয়া তাহারা সমুদ্র-পথে উত্তর-কোশলে, শ্রাবস্তী নগরে এবং অন্যান্য-দেশে সৰ্ব্বদা গতিবিধি করিতেন। বঙ্গদেশের তাম্রলিপ্ত হইতে সমুদ্রপথে লঙ্কাদ্বীপে বাণিজ্যের বিবরণ বৌদ্ধ-গ্রন্থ-সমুহে দেখিতে পাওয়া যায়। বুদ্ধদেবের বিদ্যমানকালে ভারতবর্ষ হইতে সমুদ্রপথে পারস্তের বন্দর-সমূহে বাণিজ্য-ব্যপদেশে ভারতীয় বণিকগণের গতিবিধির বিষয় নানারূপে প্রতিপন্ন হয় । ভারতীয় গ্রন্থ-সমূহে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য-সম্বন্ধে যে প্রমাণ-পরম্পরা প্রাপ্ত হই, প্রাচীন বৈদেশিক গ্রন্থকার-গণের গ্রন্থপত্রেও তদ্রুপ প্রমাণের অসম্ভাব নাই । খৃষ্ট-জন্মের aps an তিন হাজার বৎসর পূৰ্ব্বেও ভারতীয় বণিকগণ সমুদ্রপথে দূরদূরান্তে বৈদেশিক বাণিজ্য করিয়াছিলেন, ইউরোপীয় মনীষিগণও এ কথা এখন স্বীকার শ্ৰধকাৰ" করিতেছেন। ফিনিসীয়গণের, ইহুদীগণের, মিশরীয়গণের, অাসিরীয়গণের, গ্রীকগণের এবং রোমের অধিবাসিগণের সহিত প্রাচীনকালে ভারতবর্ষ কিরূপ বাণিজ্যসম্বন্ধে সম্বন্ধযুক্ত ছিল, তদ্বিষয়ে পাশ্চাত্য-পণ্ডিতগণের কতকগুলি উক্তি এতৎপ্রসঙ্গে উল্লেখ করিতেছি । ডক্টর সেস, প্রাচীন আসিরীয়-রাজ্যের প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধানের জন্য অশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। বাবিলন-রাজ্যে ধর্মের অভু্যদয় ও বিকাশ সম্বন্ধে গবেষণাপূর্ণ গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়া তিনি বিশেষ যশস্বী হন। র্তাহার সেই গ্রন্থে প্রকাশ,—খৃষ্ট-জন্মের তিন সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে ভারতের সহিত বাবিলনের বাণিজ্য-সম্বন্ধ ছিল । কাল্ডিয়া ও বাবিলন রাজ্য যখন একসাম্রাজ্যভুক্ত হয়, উড়-বাগাস সেই যুক্ত-সাম্রাজ্যের সিংহাসন লাভ করেন। তিনিই ঐ যুক্তসাম্রাজ্যের প্রথম নৃপতি । উড়-নগরে তাহার রাজধানী ছিল । উডু-নগরীর ভগ্নাবশেষ মধ্যে ভারতীয় সেগুণ-কাষ্ঠ প্রাপ্ত হওয়া যায়। ছোট-নাগপুরের ভুতপুৰ্ব্ব কমিশনর মিষ্টার হিউয়েট আদিম জাতি-সমূহের ইতিবৃত্ত-সংগ্রহের জন্য প্রখ্যাত। তিনি সিদ্ধান্ত করেন,— উড় রাজধানীতে প্রাপ্ত সেগুণ-কাষ্ঠগুলি ভারত হইতে সংগৃহীত হওয়াই সম্ভবপর। ঐ কাষ্ঠ মালবর-উপকূলের কোনও বন্দর হইতে সমুদ্রপথে বাবিলন-দেশে রপ্তানি হইয়াছিল। ঐ শ্রেণীর সেগুণকাষ্ঠ মালবর-উপকূলেই উৎপন্ন হয়। মালবর-উপকূলের কোনও বন্দর হইতে প্রাচীন-কালে ঐ কাষ্ঠ বাবিলনে রপ্তানি হইত এবং সেই কাষ্ঠের ব্যবসায়ে ভারতীয় বণিকগণ বিশেষ লাভবান হইতেন । ভারতবর্ষ হইতে বাবিলনে মসলিন রপ্তানি হইত,—ডক্টর সেস তাহারও প্রমাণ প্রদর্শন করিয়াছেন । বাবিলনে মসলিন-বস্ত্রের সিন্ধু? নামের পরিচয় পাওয়া যায়। যে সকল বস্ত্র বাবিলনে ব্যবহৃত হইত, তাহার একটা তালিকায় মসলিনের ঐ সংজ্ঞা পাওয়া গিয়াছে। মসলিনের সিন্ধু' নাম দেখিয়া, উহ। সমুত্রপথে সংবাহিত হইয়াছিল বলিয়া, হিউয়েট সিদ্ধান্ত করেন। তিনি বলেন,-“যদি জেন্দভাষাভাষী বণিকগণ কর্তৃক স্থলপথে উহা বাবিলনে সংবাহিত হইত, তাহ হইলে উহার নাম sฐ์โ๒