পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । Y } (t গম্য ছিল,—মার্কোপোলোর বর্ণনায় এতদ্বিবরণ অবগত হওয়া যায়। জল-দস্থ্যগণ প্রতি বৎসর শতাধিক পোত সহ সমুদ্র-পথে গতিবিধি করিত। আপনাদের পোত মধ্যে আপন আপন পুত্র-পরিবারকেও তাহার সঙ্গে লইত। সারা গ্রীষ্মকাল তাহারা সমুদ্র-পথে শিকার অন্বেষণে ঘূরিয়া বেড়াইত এবং পথে কোনও বাণিজ্য-পোত দেখিলে তাহ লুণ্ঠন করিত। সময়ে সময়ে পঁচিশ-ত্রিশ খানা দসু্য-পোতে তাহারা দুর্গশ্রেণী গঠন করিয়া রাখিত। পাচ-ছয় মাইল পৰ্য্যস্ত সমুদ্র-পথ তাহদের দুর্গ-মধ্যে পরিণত হইত। হঠাৎ কোনও পোত যদি তাহাদের কবলে পডিত, তাহার আর নিস্তার ছিল না । ‘সকোট্রা' দ্বীপে এইরূপ অসংখ্য DDSBBB BBS BB S BBBB BBBBBS BBBB BBB BBBBB BBB BBB S মার্কোপোলে ভারতবর্ষে সুবৃহৎ অর্ণবপোতসমূহ দেখিয়াছিলেন। এক-একখানি পোতপরিচালনায় তিন শতাধিক নাবিকের অাবগুক হইত। এক-একখানি পোতে পাঁচ-ছয় সহস্র বস্ত মরিচ বহন করিতে পারিত । ঐ সকল পোত বাণিজ্যের জন্য দেশে-বিদেশে গতিবিধি করিত। মালবার-উপকূলে মুক্ত উত্তোলন সম্বন্ধে বণিকগণের যে বন্দোবস্ত ছিল, তাহাতে সমবয়-বাণিজ্য-প্রথার ( জয়েণ্ট ষ্টক কোম্পানীর ) আভাস পাওয়া যায়। কতকগুলি বণিক একত্র মিলিত হইয়। নন-শ্রেণীর বিভিন্ন-আকৃতির পোতের ও ডুবুরীদিগের সাহায্যে শুক্তি উত্তোলন করিত। তৎকালে যে সকল ডুবুরী সমুদ্র-গর্ভ হইতে শুক্তি উত্তোলন করিত, তাহাদের কৃতিত্বের বিৰয় স্মরণ করিলে বিস্ময়াবিষ্ট হইতে হয়। ডুবুরীদিগের গায়ের সঙ্গে জালের থলে ঝুলান থাকিত । সমুদ্র-গর্ভে ডুব দিয়া যতক্ষণ নিশ্বাস বন্ধ রাখিতে সমর্থ হইত, ততক্ষণ শুক্তি তুলিয়। তাহার। জলের উপর ভাসিয়া উঠিত । পুনঃপুনঃ ডুব দিয়া শুক্তি তুলিয়। ডুবুরীরা কৃতিত্বের পরাকাষ্ঠ দেখাইত। এইরূপভাবে শুক্তি উত্তোলন করাইয়া বণিকগণ মুক্তার ব্যবসায়ে বিশেষ লাভবান হইতেন । মার্কোপোলোর পরবত্তী বৈদেশিক ভ্রমণকারী বা গ্রন্থকারগণের মধ্যে আবুল-ফোফায়ার ওডোরিক, ইবন-বাতুতা, ওয়াসেফ, মাহুয়ান, আবদার রাজ্জাক, নিকোলো-কটি, পরষত্তী ষ্টেফানো, বার্থেমা প্রভূতির প্রদত্ত ভারতের বাণিজ্য-সংক্রান্ত বিবরণ মকে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আবুল-ফেদা—ডামাস্কাসের অধিবাসী । তিনি ভ্রমণকারিগণ । খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে ( ১২৭৪ খৃঃ—১৩৩১ খৃঃ) ভারতবর্ষপরিভ্রমণে আগমন করিয়াছিলেন । তিনি মালবার-বন্দরে মরিচ-ব্যবসায়ের বিষয় এবং করোমগুল-উপকূলে সূক্ষ্ম কার্পাস-বস্ত্র ব্যবসায়ের বিষয় উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ( ১৩২১ খৃঃ ) ফ্রায়ার ওডোরিক ভারত-মহাসমুদ্র পার হইয়া ভারতবর্ষে উপনীত হন। যে অর্ণবপোতে তিনি আরোহণ করিয়াছিলেন, রাজপুত নাবিকগণ কর্তৃক সেই অর্ণবপোত পরিচালিত হইয়াছিল। সেই অর্ণবপোত সাত শত আরোহী বহন করিয়া অনিয়াছিল। এই বিবরণ পাঠ করিয়া ডক্টর ভিনসেন্ট স্মিথ বলেন – 'ফ্রায়ার ওডোরিকের এই ভ্রমণ-বৃত্তাত্তের বর্ণনায় প্রতিপন্ন হয়, গুজরাটের নাবিকগণ এইরূপ স্ববৃহৎ অর্ণবপোত-সমূহ আগাথারসাইডিসের সময় হইতে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত ভারত-মহাসাগরে পরিচালন করিতে অভ্যস্থ ছিল। চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগে আরব