পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য । ఏ పా কালে ভারতের বাণিজ্যের গতি কোন পথে প্রধাবিত হয় এবং কিরূপভাবে কোন বাণিজ্য-কেন্দ্রের অভু্যদয় হয়, যথাস্থানে তাহার আলোচনা করা যাইবে । উপসংহারে বিবিধ বক্তব্য । ভারতের বাণিজ্যের কথা কহিতে গেলে, আরও কত কথাই কহিবার প্রয়োজন হয় । এতৎপ্রসঙ্গে এ পর্য্যন্ত যে সকল কথা বলা হইল, তাহাতে প্রদেশ-বিশেষের আংশিক an.. কথারই আলোচনা হইয়াছে। বিশদভাবে কহিতে গেলে, ভারতের প্রয়োজনীয় ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার প্রতি লক্ষ্য করিতে হয় । দাক্ষিণ* তোর এবং পশ্চিম-ভারতের কথা যতটুকু যে ভাবে বলা হইয়াছে, সে ভাবে ও যদি অন্ত প্রদেশের কথা কহিতে হয়, কত অনুসন্ধানের ও কত সময়ের আবশুক এবং তাহাতে গ্রন্থকলেবরই ব| কি পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, সহজে অকুমান করা যাইতে পারে । এ পর্য্যন্ত বঙ্গদেশের বাণিজ্যের কথা আমরা উল্লেখই করি নাই । অনেকে হয় তো মনে করিতে পারেন,—বঙ্গদেশ সেদিন মাত্র সমুদ্র-গর্ভ হইতে উত্থিত হইয়াছে ; বঙ্গদেশের আর গৌরবের কথ। কি আছে ; আর তাই বুঝি আমরা বঙ্গদেশ সম্বন্ধে নীরব রহিয়া গিয়াছি।” কিন্তু বাস্তবিক কি তাই ? সত্যসত্যই কি বঙ্গদেশ সেদিন মাত্র সাগর-গর্ভ হইতে উথিত হইল ? অার সত্যসত্যই কি বঙ্গ-দেশের গৌরবের কথা কিছুই নাই ? বঙ্গের বাণিজ্য-সম্পদের এবং অন্যান্য গৌরবের একটু সংক্ষিপ্ত পরিচয়, এই খণ্ডে পরিচ্ছেদান্তরে প্রকটন করিবার প্রয়াস পাইলাম। তাহাতেই বঙ্গদেশ সম্বন্ধে ভ্ৰম-ধারণা দূরীভূত হইবে। বঙ্গদেশ ভিন্ন, মধ্য-ভারত, বিহার, উড়িষ্য, উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ, লঙ্কা-দ্বীপ প্রভৃতি প্রসঙ্গেও কত কথাই বলা যাইতে পাবে। কলিঙ্গ-রাজ্যের অভু্যদয়ের দিনে এবং চোল-রাজ্যের প্রতিষ্ঠার সময়ে তত্তৎ-রাজ্যের বিভিন্ন বন্দর হইতে যে বাণিজ্য-প্রভাব দিকে দিকে বিস্তৃত হইয়াছিল, তদ্বিষয় আলোচনা করিলেও কত তত্ত্ব অবগত হওয়া যায় । ভারতের বাণিজ্যসৌকর্য্যের জন্য ভারতের বিভিন্ন জনপদ হইতে প্রাচ্যে ও প্রতীচ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজ-প্রতিনিধিগণ গতিবিধি করিতেন । ধৰ্ম্মপ্রচার-ব্যপদেশে ভারতীয় ধৰ্ম্মপ্রচারকগণ বিভিন্ন প্রদেশে গমন করিয়া প্রকারাগুরে ভারতের বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করিয়া দিয়াছিলেন। যেমন বহিৰ্ব্বাণিজ্যে, তেমনই অন্তৰ্ব্বাণিজ্যে ভারতের কৃতিত্ব প্রকট পরিদৃশ্যমান। কোন দেশে কোন দ্বীপে কোথায় কি ভাবে ভারতের উপনিবেশ-সমূহ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল এবং কেমন ভাবে ভারতীয় নৃপতির রাজ্যের বা নামের অনুসরণে উপনিবেশাদির নামকরণ হইয়াছিল, সে সকল তত্ত্ব অনুসন্ধান করিলেও এতদ্বিষয় হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে। প্রাচ্যের ও পাশ্চাত্যের প্রত্নতত্ত্ববিদ্বগণ প্রায় সকলেই সিংহল-দ্বীপকে বৈদেশিক বাণিজ্যের একটা কেন্দ্রস্থান বলিয়া উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন । সিংহল-দ্বীপ নানা সময়ে निश् নানা নামে পরিচিত ছিল । রামায়ণে ও পুরাণ-পরম্পরায় লিঙ্কা’ মায় याँ দেখিতে পাই। লঙ্কাকে অনেকে সিংহল’ বা ‘সিলোন’ নামে অভিহিত "" করেন। বৌদ্ধ-জাতক গ্রন্থে এবং পরবর্তী সাহিত্যে সিংহল নাম উজ্জ্বল হইয় আছে। মধ্যযুগে এই দ্বীপ ‘তাপ্রোবেণ’ নামে পরিচিত হয় । ‘ওনিস্ক্রিাইটস”