পাতা:পৃথিবীর ইতিহাস - চতুর্থ খণ্ড (দুর্গাদাস লাহিড়ী).pdf/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిపి به ভারতবর্ষ। সমসামরিক-ছিলেন । বিক্রমার্ক, জৈন-ধৰ্ম্মের প্রতিষ্ঠাতা মহাবীরের দেহত্যাগের পরবৰ্ত্তিকালে ৪৭০ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। ৫২৭ পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দে মহাবীরের বিদ্যমানতার বিষয় প্রতিপন্ন হয়। এ হিসাবে যাদবের পিতা ৫৭ পূৰ্ব্ব-খৃষ্টাব্দে বিদ্যমান ছিলেন। সুতরাং যাদব কর্তৃক বাণিজ্য-পোত প্রেরণ পুৰ্ব্বোক্ত সময়েই সম্ভবপর। চীন-সম্রাট ‘হোতি এবং ‘হিয়ান্তির সময়ে রাজদূতগণ উপঢৌকন লইয়া গিয়াছিলেন,—সে পরিচয় পূৰ্ব্বেই আমরা প্রদান করিয়াছি । সে সময়ে প্রধানতঃ জিনান’ ( বর্তমান টঙ্কুইন ) হইতে স্থলপথে চীনদেশে দুত গিয়াছিল । খৃষ্টীয় তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে ‘ওয়ে’ ও ‘সিন বংশের রাজত্বকালে (২২০ খৃষ্টাব্দ হইতে ৪১৯ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত ) কিছুদিন দূত-প্রেরণাদির প্রথা রহিত ছিল বলিয়। প্রতিপন্ন হয় । ঐ সময়ে ভারতবর্ষ নন। অন্তবিপ্লবে সংক্ষুব্ধ ছিল । সুতরাং বাণিজ্যসৌকর্য্যার্থ তখন প্রায়ই কোনও দূত প্রেরিত হওয়ার বিষয় জানিতে পারা যায় না। তবে ধসন’-বংশীয় সম্রাট মৌ-টি যখন সিংহাসনে অধিরূঢ়, সেই সময়ে (৩৫৭ খৃষ্টাব্দে ) ভারতবর্য হইতে একজন চেন্‌-টান বা দুত সম্রাট-সকাশে উপস্থিত হইয়া কতকগুলি সুশিক্ষিত ঘোটক ও হস্তী উপহার দিয়াছিলেন । পণ্ডিতগণ অনেকে সিদ্ধান্ত করেন, উপহৃত হস্তী ও অশ্ব প্রভৃতি সামগ্রী অর্ণবপোত-সাহায্যে ভারতবর্ষ হইতে চীনদেশে সংবাহিত হইয়াছিল। চীনে তাহা হইলে, তখন কত সুবৃহৎ বাণিজ্য-পোত চীনদেশে গমনাগমন হত্ব ও জনা করিত, সহজে প্রতীত হয়। ভারতবর্ষ হইতে ফা-হিয়ানের চীনদেশে প্রেরণ । প্রত্যাগমনের পর রাজদূতগণের গতিবিধি অধিক মাত্রায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। বিশেষতঃ মুঙ-বংশীয় সম্রাট ওয়েন-টি'র রাজত্বকালে (৪২৩ খৃষ্টাব্দ হইতে ৪৫৩ খৃষ্টাব্দে) ভারতের সহিত চীনের বন্ধুত্ব-বন্ধন দৃঢ়তর হইয়াছিল। সম্রাট ওয়েন-টি ত্রিশ বৎসর রাজত্ব করেন। চীন-সাম্রাজ্যে বৌদ্ধধশ্নের সুপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষভাবে চেষ্টাম্বিত ছিলেন । সেই সূত্রে, ভারতবর্ষ হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্মপ্রচারকগণকে তিনি চীনে আনয়ন করিতেন। বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রতি চীন-সম্রাটের ঐকান্তিক অনুরাগ দেখিয়া, ভারতবর্ষের রাজন্তবর্গ অনেকেই দূত-প্রেরণে উাহাকে সম্ভাষণ জানাইতেন। ‘মুঙ-বংশের ইতিহাসে লিখিত আছে,— ‘জেবাবাদী’ নামক জনৈক ভারতীয় নৃপতি, সম্রাট ওয়েন-টি’র অশেষ প্রশংসাজ্ঞাপক পত্রসছ দূত পঠাইয়াছিলেন। তিনি লিখিয়াছিলেন,—‘যদিও বিস্তৃত মহাসমুদ্র এই দুই রাজ্যকে পৃথক করিয়া রাখিয়াছে, কিন্তু সৰ্ব্বদা দুতগণের গতিবিধি-স্থত্রে উভয় দেশের পরস্পরের মধ্যে নিকট-সম্বন্ধ স্থাপিত হয়, ইহাই তাহার ইচ্ছ। ভারতের কোন প্রদেশের কোন নৃপতি মুঙ-বংশের ইতিহাসের ইংরাজী অনুবাদে ‘জেবাবাদী’ (Jebabada ) নাম পরিগ্রহ করিয়াছেন, তাহা নির্ণয় করা দুঃসাধ্য। উচ্চারণের তারতম্যে ভাষার বিকৃতি ঘটিয়৷ এমনই একটা প্রহেলিকার মধ্যে লইয়া যায়। সম্রাট ‘ওয়েন-টি'র রাজত্বকালে লঙ্কাদ্বীপ হইতেও ঐরূপ রাজদূত গমন করিয়াছিলেন। সেই দুভের হস্তে লঙ্কাদ্বীপের তাৎক্লালিক অধিপতি সম্রাট-সকাশে একখানি পত্র লিথিয় পাঠান। সে পত্রে লিখিত থাকে,—“কিব। জলপথে, কিবা স্থলপথে, এই রাজ্য হইতে চীনদেশে তিন বৎসরে পৌছান যাইত ; কিন্তু এখন উভয় রাজ্যে সৰ্ব্বদা লোকজন যাতায়াত করিতেছে।" এইরূপ পত্রসহ ৰে